" মানবতা যেথায় লজ্জায় মুখ লুকায়!! "
লিখেছেন লিখেছেন এন্টি পয়জন ১১ জুলাই, ২০১৫, ১০:১২:৫৫ রাত
বিশ্বে যে ছবিগুলো আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার একটি হচ্ছে সোমালিয়ার একটি বাচ্চার ছবি। খাদ্যের অভাবে মৃত্যুর দ্বারে পৌঁছে যাওয়া কঙ্কালসার একটি শিশুর পিছে একটি শকুন অপেক্ষারত। শিশুটির মৃত্যুর জন্য দোয়া করছে। শিশুটি মরলেই সে খেতে পারবে।
.
সেই নির্মম চিত্রকেও হার মানিয়েছে গতকালের ঘটনা। এ দেশের শকুনদের দোয়া করতে হয়না অপেক্ষাও করতে হয়না। সাতাশটি লাশ একদিনে। কত খাবে তারা!
.
মানবতার কত নির্মম চিত্র ফুটে উঠল ময়মনসিংহে। যাকাতের শাড়ি নিতে গিয়ে পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে সাতাশ জনকে জীবন দিতে হল একদিনে। একটি দুটি নয়, সাতাশটি লাশ। ঘটনাটি তেমন সাড়াও তোলেনি। এ যেন স্বাভাবিক ঘটনা এ অঞ্চলের মানুষের কাছে।
পৃথিবীতে যে সকল অঞ্চলে মানব জীবন সবচেয়ে সস্তা তার মাঝে বাংলাদেশ অন্যতম। এখানে অনিয়মের কারণে বিল্ডিং ধ্বসে একদিনে হাজার মানুষ মারা যায়। আবার সেই চাপা পড়া মানুষদের পুনরায় ধামাচাপা দেয়া হয় সামান্য রাজনৈতিক স্বার্থে। বিদেশ থেকে আসা সাহায্যে চোরদের ভাগ বসে।
.
এখানে যে শুধু বিল্ডিং ধ্বসেছে তা নয়, ধ্বসেছে মানবতা, ধ্বসেছে বিবেক। হারিয়েছে মনুষ্যত্ববোধ। নতুবা কেন ধর্মীয় নৈতিক কর্মকান্ডেও অনৈতিকার ছোয়া লাগাবে। ইফতার পার্টি থেকে সেহরি পার্টি এখন পালন করা হচ্ছে নাইট ক্লাবের পার্টির আদলে।
.
যাকাত ইসলামের একটি মহৎ তাৎপর্যপূর্ণ ও কল্যানকর অর্থব্যবস্থা। এর সঠিক সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে সমাজ থেকে সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। যার বাস্তব উদাহরণ রয়েছে ইসলামের স্বর্গ যুগে হযরত ওমর রাঃ এর শাসনামলে। যখন দারিদ্র্য এতই কমে গিয়েছিল যে যাকাত নেয়ার লোক খুজে পাওয়া যেত না।
.
কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল মদিনা সনদে দেশ চললে দেশ মধ্যম আয় থেকে হয়ত শীঘ্রই উচ্চ আয়ের দেশে পরিনত হবে কিন্তু জনগণের ভাগ্যের নূন্যতম পরিবর্তন হবেনা।
.
আজ ময়মনসিংহের সেই যাকাত দাতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই গ্রেফতার দিয়ে কি সমগ্র সমাজে ধরা এই পঁচন রোধ করা যাবে?
যেখানে ঔষধেই বিষ, রক্ষকই ভক্ষক।
.
এখানে ৯০% মসজিদ গড়া হয় সমাজসেবক খেতাব পাওয়ার জন্য, বড় গরু কোরবানির প্রতিযোগিতা হয় লোক দেখানোর জন্য। সর্বাঙ্গেই ঘাঁ মলম দিবেন কোন জায়গা?
.
এ জাতির মুক্তির জন্য প্রয়োজন ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও অনুশীলন। ব্যক্তি পরিবার সমাজ রাষ্ট্র পররাষ্ট্র সকল পর্যায়ের জন্য রয়েছে কোরআনের সঠিক গাইডলাইন।
.
আসুন ইসলামকে জানি এবং সঠিক উপায়ে পালনের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি নিশ্চিত করি।
বিষয়: বিবিধ
১২৭০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের এই শ্রেনীর মানুষেরা অস্থির রকমের ক্রেজি । ঈদের সময় দেশের বাড়িতে যেতে কি কাহিনীই না করে ! বাসের ছাদে , ট্রেনের ছাদে , লন্চের ছাদে ..... মানুষের এত পাগলামীর কারণেই বিক্রেতারা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৪-৫ গুন বেশী যাত্রী নেয় এবং ভাড়াও হাঁকায় প্রচুর ।
''ঈদের ছুটিতে বাড়িতে না গেলে মরেই যাবে'' - এরকম একটা মানসিকতা ধারনকারী এইসব মানুষেরা বেশী ভাড়া দিতেও কার্পন্য করে না এবং সাথে লাইফ রিস্ক নিতেও ।
এতই যদি শিকড়ের জন্য মায়া তাহলে সেটা ছেড়ে ঢাকায় এলই বা কেন ? দুই ঈদ ছাড়া বছরে আর কোন সময় ছুটি নিয়ে রিস্কটা এড়ানো যায় না ?
এসব ঘটনা থেকে বাংলাদেশীরা কোনকালেও শিক্ষা নেয় না , ফলে ঘটনা চলতেই থাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন