এখনি সতর্ক হতে হবে, নচেৎ বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী

লিখেছেন লিখেছেন এন্টি পয়জন ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:০৭:০৬ দুপুর

জিওগ্রাফি চ্যানেলে একটা অনুষ্ঠান হয় "ট্যাবু "। Taboo শব্দের অর্থ নিষিদ্ধ।

এখানে নানা ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ তুলে ধরা হয়।

গতরাতে দেখাচ্ছিল বাংলাদেশের যৌনপল্লীর চিত্র। ওখানে পতিতারা কিভাবে দিনযাপন করে, কিভাবে খদ্দের আকৃষ্ট করে, কিভাবে নাচে, কিভাবে ভঙ্গি করে ইত্যাদি ইত্যাদি বিস্তারিত।

এই অনুষ্ঠানটির শিক্ষা কি? তাৎপর্য কি? উদ্দেশ্য কি?

সমাজে অনেক নিকৃষ্ট সত্য বিদ্যমাণ আছে, অনেক বিকৃত আচরণ আছে, এটা আমরা সবাই জানি, এটা যে মানবজাতির জন্য লজ্জা এবং কষ্টের তাও জানি। এবং লজ্জা বা ব্যর্থতা যে গোপণ রাখতে হয় তা জানি। কিন্তু এটা নিয়ে টিভি অনুষ্ঠান বানিয়ে দেখাতে হবে কেন? টিভি তো শুধু প্রাপ্ত বয়স্করাই দেখেনা।

এতদিন যেসব বিষয়গুলো জানত প্রাপ্তবয়স্ক লোকেরা আর এখন চ্যানেলের কল্যাণে পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্করা অকালে পরিপক্ক হচ্ছে।

মানুষের দেহে একটি গুপ্ত অংশ আছে যেটা ঢেকে রাখতে হয়। এখন যদি কেউ বলে এটাতো সবারই আছে সবাই জানে সুতরাং ঢেকে রাখার দরকার কি? খুলেই চলাফেরা করি। এটা কি সুস্থ চিন্তা হবে?

মিরাক্কেল অনুষ্ঠানটি একটি কৌতুক অনুষ্ঠান। পরিবারের ছোট বড় সকলে একত্রেই দেখে। কিন্তু দিনদিন অশ্লীল কৌতুকের পরিমাণ প্রতিযোগিতার সাথে এতই বেড়েছে যে এখন পরিবার নিয়ে দেখা সম্ভব নয়।

কেন এইসব অনুষ্ঠানে অশ্লীলতা ব্যবহারে কোন বিধিবিধান নেই কেন?

মানব সমাজে কোনকিছুর নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই। যেমন অশ্লীলতার নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই তেমনি ভদ্রতারও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। মানুষের রুচিবোধ, ন্যায়বোধ, সৌন্দর্যজ্ঞান সর্বদা পরিবর্তনশীল।

একসময় নায়ক নায়িকাকে জড়িয়ে ধরলে অশ্লীল মনে হত। বাবা মা চ্যানেল পাল্টে দিত আর এখন ভিলেন কতৃক ধর্ষণের চিত্রেও অনেক ফ্যামিলি চ্যানেল পাল্টায় না। পাল্টাবেন কেন? এটা যদি আপত্তিকর দৃশ্যই হত তবে গনমাধ্যমে তো প্রচার হতনা। মানুষের কনসেপ্ট সময়ের সাথে পরিস্থিতির আলোকে পরিবর্তিত হয়।

দশ বছর আগে যেটা ছিল অন্যায় এখন সেটা ন্যায়। দশ বছর আগে যেটা ছিল ফ্যাশন এখন সেটা বাতিল। মানব সমাজের জন্য কল্যাণ অকল্যাণ নির্ধারণ করার ক্ষমতা মানুষের নেই।

মানুষ মানুষের জন্য আইন করতে পারেনা। ন্যায় অন্যায় ইত্যাদি নির্ধারণ ও বিধান করার ক্ষমতা মানুষ রাখে না। যদি রাখত তবে এভাবে প্রকাশ্যে গনমাধ্যমে অশ্লীলতার প্রচার প্রসার করতে পারত না।

এটা অসুস্থ আচরণ। অসুস্থ সমাজের প্রতিচ্ছবি। এগুলো সমাজে বিপর্যয় ডেকে আনতে বাধ্য।

শুধুমাত্র আবিষ্কারকই জানে তার তৈরি মেশিন কিভাবে ভাল চলবে। সেই পারে ব্যবহারের ম্যানুয়েল বই রচনা করতে।

তাই আসুন স্রষ্টার দেয়া ম্যানুয়েল বই কোরআন অনুসরণ করি। মানব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করি। নতুবা শুধু টিএসসিতে নয় শুধু পহেলা বৈশাখে নয়, সমাজের সর্বত্র প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে, মানুষরুপি পশুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। সমাজ শৃংখলা হারিয়ে বিশৃংখল হয়ে পড়বে।

বিষয়: বিবিধ

১২০৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315269
১৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : চলচ্ছিত্রের একটা অপরিহার্য অংশই হচ্ছে সেক্স!!! ওটার অনুপস্থিতিতে চলচ্ছিত্র নিরস নির্জিব( ওদের মতে)
সুতরাং এটা দিন দিন বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আর জিওগ্রাফি তো প্রাণী বৈচিত্র নিয়েই কাজ করে। সুতরাং পতিতারাও তো একপ্রকার প্রাণী। সেটাই দেখাইছে, মানুষ হলে হয়তো দেখাতোনা!!!
১৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৩২
256352
এন্টি পয়জন লিখেছেন : হম.. . হয়তো তা ..।বড়ই আশঙ্কাজনক পথে এগোচ্ছি আমরা।
315276
১৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:০৯
256410
এন্টি পয়জন লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
315279
১৬ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৪
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : সুন্দর পরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
১৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:১০
256412
এন্টি পয়জন লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ মিস লায়লা।
315382
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৫৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন :
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : চলচ্ছিত্রের একটা অপরিহার্য অংশই হচ্ছে সেক্স!!! ওটার অনুপস্থিতিতে চলচ্ছিত্র নিরস নির্জিব( ওদের মতে)
সুতরাং এটা দিন দিন বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। আর জিওগ্রাফি তো প্রাণী বৈচিত্র নিয়েই কাজ করে। সুতরাং পতিতারাও তো একপ্রকার প্রাণী। সেটাই দেখাইছে, মানুষ হলে হয়তো দেখাতোনা!!!

সহমত....
১৭ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:২৪
256485
এন্টি পয়জন লিখেছেন : Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File