শহীদ দিবস
লিখেছেন লিখেছেন শান্তির দূত ১১ মার্চ, ২০১৫, ০২:০৩:৪৫ দুপুর
"শহীদ দিবস"
মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন
১৯৮২ সালের ১১ই মার্চ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্টানে ছাত্রমৈত্রী,ছাত্রলীগ,ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ ছাত্রলীগের হামলায় শাহাদাত বরন করেন চারজন ভাই। শিবির প্রতিষ্টার পর এরাই প্রথম শহীদ। তাই এই দিবসটি শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। শহীদরা হলেন:-
১) শহীদ শাব্বির আহমদ ২) শহীদ আব্দুল হামিদ ৩) শহীদ আইয়ুব আলী ৪) শহীদ আব্দুল জাব্বার।
সকল প্রানীই মৃত্যুবরন করবে। মৃত্যুর হাত থেেক পালায়ন করার সুযোগ কারো নেই।জম্মের পর থেকে প্রানীর মৃত্যুর দিনক্ষন এগিয়ে আসে। নির্ধারিত সময়ে প্রানীর জান কবজ করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত আছেন হযরত আজরাইল আ: ও তার সহকর্মীরা।যিনি স্বাভাবিকভাবে মারা গেলেন,তিনি স্বাভাবিকভাবেই চলে গেলেন। কিন্তু যিনি আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিল,তার জীবনটাই হয়ে গেল মৃত্যুহীন জীবন। আর এদেরকে আল্লাহ মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং শাহাদাতের মৃত্যুই, মৃত্যুহীন জীবন।
"যাদেরকে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হয়েছে, তাদেরকে তোমরা মৃত ভাববে না,বরং তারা জীবিত, তাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক দেয়া হয়"। আলকুরআন।
"জান্নাতে যাওয়ার পরে কোন জান্নাতী দুনিয়ার মালিকানা পাওয়ার প্রস্তাবে দুনিয়ায় আসতে চাইবে না তবে শহীদরা জান্নাতে তাদের মর্যাদা দেখে দুনিয়ায় দশবার আসতে ইচ্ছা পোষন করবে"।(হাদীস)
"শহীদের মৃত্যুর যন্ত্রনা পিঁপড়ার কামড় থেকে বেশি কিছু নয়"। হাদীস।
"সত্যিকার অর্থে যিনি শাহাদাত কামনা করেন,তিনি বিছানায় মারা গেলেও আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন"হাদীস।
"যে মারা গেল,কোন সংগ্রাম করলো না,মনে কামনাও করলো না, তার মৃত্যু হবে মুনাফিকের মৃত্যু"।হাদীস।
"আল্লাহর রাসুল স:বলেন,শহীদ পাচঁ প্রকার,মহামারিতে নিহত,পেটের পিড়ায় নিহত,পানিতে ডুবে নিহত,দেয়াল চাপায় নিহত,দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নিহত"হাদীস।
প্রতিনিয়ত মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে। কত গুরুত্বপুর্ন ব্যাক্তি কতভাবে মারা যাচ্ছে।কত রাজা বাদশা, ক্ষমতাধর ব্যাক্তিরা মারা গেছে তাদের কথা এতবেশি স্বরন হয় না। কিন্তু যারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে জীবন দিয়েছেন তাদেরকে নিয়ে সময়ে সময়ে,বছরের পর বছর, কিয়ামত পর্যন্ত আলোচনা হবে দোয়া হবে। এজন্যই তাদের মৃত্যুই হল অনন্ত জীবন।
ইসলাম প্রতিষ্ঠায় যারা জীবন দিয়েছেন তাদের নেতা হলেন হযরত হামজা রা: যাকে শাহাদাতের পরেও নির্যাতন করা হয়েছে। যোগে যোগে শহীদ হয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। বাংলাদেশেও কালেমার পতাকা উড়াতে ছাত্রশিবিরের ২২০জন শাহাদাত বরন করেছেন। আল্লাহ যেন তাদেরকে জান্নাতের সর্বোচ্ছ মর্যাদা দান করেন।
বিষয়: বিবিধ
১২১৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঐ সব লোকদের কাছে কি তারা মাফ পাবে যাদেরকে তারা মেরেছিল বা তাদের ওয়ারিশদের কাজ থেকে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন