যত মাঠ তত টীম

লিখেছেন লিখেছেন শান্তির দূত ১০ মার্চ, ২০১৫, ০১:৪৮:১৮ দুপুর

"যত মাঠ, তত টীম"

মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন

বিশ্ব এখন ১০০ডিগ্রী ক্রিকেট জ্বরে ভুগছে। নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই খেলা দেখছে বা খবর রাখছে।শিক্ষিত যুব সমাজ এর প্রতি বেশি আকৃস্ট। ক্রিকেট থেকে ফুটবল খেলার দর্শক বেশি। আবার ফুটবল থেকে ক্রিকেটের খেলোয়ার বেশি।বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আমাদের দেশে বিভিন্ন দলের সমর্থনে পতাকা উড়ায় ও মিছিল বের হয়।গ্রামে ফুটবল বেশি খেলে আর শহরে ক্রিকেট বেশি খেলে।

খেলাধুলা জীবনের অংশ হয়ে পড়েছে। বৃদ্ধরা যারা খেলতে পারেনা তাদেরকে খেলার পরিবর্তে হাটতে হয়। ছাত্র ও শিক্ষিত যুব সমাজকে খেলার মাঠে দেখা যায় বেশি। অনেকে আবার খেলাকে জান প্রান দিয়ে ভালবাসে। অনেক ছাত্র যুবক সারাদিন খেলার মাঠেই থাকে।

খেলাকে আগে অনর্থক মনে করা হত। এখন খেলাই হল সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও লোভনীয় পেশা। এর মাধ্যমে সাস্থ্য, ধন- সম্পদ,সম্মান সবই অর্জন করা যায়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি ও নেতৃত্ব দেয়া যায়।

সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রভাবশালীরাই বেশি খেলে। ডানপিঠে ও নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন খেলোয়ারই বেশ ভাল করে। খেলার মাঠ থেকেই সমাজ ও রাস্ট্রের নেতৃত্ব উঠে আসতে পারে। যেমন: পাকিস্থানের ইমরান খান।

দুনিয়ার জীবনের সাথে তুলনা করে আল্লাহ বলেছেন, "দুনিয়ার জীবন শুধু খেলা,কৌতুক,সাজ-সজ্জা,পারস্পরিক ধন-সম্পদ ও সন্তানাদির অহংকার"। এই বিষয়গুলো অল্প সময়ের জন্য হয়ে থাকে। আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন সংক্ষিপ্ত, তাই এই বিষয়গুলোর সাথে তুলনা করা হয়েছে। আখেরাতের সাথে দুনিয়ার কল্যান চাইতেও আল্লাহ দোয়া শিখিয়েছেন। যে খেলার মাঝে দুনিয়াবী এত কল্যান রয়েছে,সেই খেলাকে বাদ দেয়া মুমিনদের জন্য উচিৎ হবে না।

ইসলাম সর্বকালের সর্বাধুনিক ধর্ম। কোটি কোটি দর্শকের বিরুদ্বে ইসলামের বক্তব্য থাকতে পারে না। ইসলামের প্রাথমিক যুগে দৌড়, কুস্তি,ঘোরা দৌড়,প্রতিযোগিতার প্রচলন ছিল। আল্লাহ রাসুল স: নিজেই হযরত আয়েশার রা:সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা খেলেছেন। একদিন আল্লাহর রাসুল জিতেছেন, আরেক দিন হেরেছেন। রাসুল স: নিজেই কুস্তি খেলেছেন এবং বিজয়ী হয়েছেন। ছতর ঠিক রেখে অশ্লীলতা মুক্ত থেকে ফুটবল ও ক্রিকেট, দাওয়াতের উদ্দেশ্যে খেলা ও দেখা উচিত।

হরতাল অবরোধে প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বিশ্বকাপে প্রভাবিত হয়ে ছাত্ররা এখন মাঠেই ক্লাশ করে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠ ভরপুর থাকে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় যারা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পায় না, তাদের জন্য এখনই সুবর্ন সুযোগ। এই সুযোগকে দায়িত্বের অন্তরভুক্ত করে,"যত মাঠ,তত টীম"এই স্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রত্যক মাঠে কমপক্ষে একটি টীম থাকবে। এরা দেখবে, খেলবে,পরিচয় লাভ করবে,সময়মত সবাইকে নিয়ে নামাজ পড়বে,ক্রমধারা অবলম্বন করবে,ক্রমান্বয়ে জনশক্তি বানাবে।

সুতরাং, সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে খেলা সম্পর্কে জানতে হবে,দেখতে হবে,খেলতে হবে।আকর্ষন সৃষ্টি করতে হবে,পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দাওয়াতের এই বিশাল ক্ষেত্রে বিচরন করে এক মাসে বার মাসের কাজ করার চেষ্টা করতে হবে সকল দায়ীকে। আল্লাহ যেন সবাইকে তাওফিক দেন।আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১২২৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308193
১০ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:২১
হতভাগা লিখেছেন : ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা অপ্রতুল । সেখানে একটা মাঠে ১০ টা টিমও খেলে কখনও কখনও।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File