বিশ্ব নারী দিবস

লিখেছেন লিখেছেন শান্তির দূত ০৮ মার্চ, ২০১৫, ০১:১৯:১৯ রাত

"বিশ্ব নারী দিবস"

মুহাম্মাদ মহিউদ্দিন

৮ই মার্চ নারী দিবস। ১৯১৪ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়। পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ নারী। এই ভুবন গঠনে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। শুধু একদিনের আনুষ্ঠানিকতায় নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। তাই তো

"জনপ্রিয় নারী কন্ঠশিল্পি কনক চাপা বলেন,পুরুষ দিবস থাকলে নারী দিবস মানা যায়। আমার জানা মতে পুরুষরাও অনেক সমস্যর মাঝে কষ্ট করে জীবন যাপন করে। তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একটা দিবস দরকার। একদিন পুরুষের,একদিন নারীর,বাকীদিনগুলো মানুষের। হা হা হা হা হা"

আধুনিক সভ্যসমাজ নারীকে পরিপূর্ন অধিকার দিতে পারেনি।আধুনিক সভ্যতার মোড়ল যুক্তরাট্রে ১০৭ সেকেন্ডে একজন ধর্ষত হয়। বছরে ২৯৩০০০ জন ধর্ষিত হয়। ৬৮% নির্যাতিতা রিপোর্ট করে না।৯৮% ধর্ষক একদিন ও জেলে থাকা লাগে না।

যুক্তরাজ্যে ১০ লাখ শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার।এ পরিসংখ্যানকে জাতীয় দুর্যোগ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন রথারহ্যামের লেবার এমপি সারাহ চ্যাম্পিয়ন।

ভারতে ২০১০ সালে শিক্ষিত ধনী পরিবারে নারী ভ্রুন হত্যার প্রবনতা ১কোটি একুশ লাখ। মানবসম্পদ মন্ত্রী,সৃতি ইরানী বলেছিলেন,"মেয়ে বলে আমাকেও মেরে ফলতে চেয়েছিল"।

বাংলাদেশে ধর্ষক মানিক চেনচুরি করেছিল। বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে, গ্রামে গ্রামে মানিক তৈরী করা হচ্ছে।

বর্তমান বিশ্বে বাহ্যিকভাবে কিছু নারী অধিকার ভোগ করছে দেখা গেলেও অধিকাংশ নারীই অধিকার বঞ্চিত। জাহেলী সমাজে নারীর কোন অধিকারই ছিল না।বর্তমান বিশ্ব এখন নারী অধিকারের আওয়াজ তুললেও ১৪০০বছর আগে নারীর জীবনের প্রতিটি স্তরের অধিকার প্রতিষ্টা করেছেন বিশ্বনবী স:।

হযরত খাদীজা রা: ব্যাবসায়ী ছিলেন। হযরত ফাতেমা শিক্ষিকা ছিলেন। বিভিন্ন যুদ্ধে রাসুল স: নারীদের নিয়ে যেতেন। ইয়ামামার যুদ্ধে হিন্দা পালায়নরত সৈন্যদেরকে চেচিয়ে বলেছিলেন," তোমরা চুড়ি পড়ে বাসায় থাক,আমরা সৈন্যদের তাড়িয়ে আসি"

ইশলাম নারীর সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করেছে। পাশ্চাত্যে নারীর কর্ম জীবনের অধিকার দিলেও তাদের ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নাগরিক অধিকার আদায়ে মানুষ আদালতে যায়। কিন্তু ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সমস্য সমাধানের জন্য আদালতের প্রয়োজন হয় না।

আদালতের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী,পিত-মাতা,সন্তান ও ভাই -বোনের অধিকার আদায় সম্ভব নয়।এই সমস্যার একমাত্র সমাধান আল্লাহকে ভয় করা যা সুরা নিসার প্রথম আয়াতেই বলে দিয়েছেন।

"হে মানব জাতি! তোমােদর রবকে ভয় কর। তিনি তোমােদরকে একটি প্রান থেকে সৃস্টি করেছেন। আর একই প্রান থেকে সৃস্টি করেছেন তার জোড়া।তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন অনেক নারী ও পুরুষ।সেই আল্লাহকে ভয় কর যার দোহায় দিয়ে তোমরা পরস্পরের অধিকার আদায় করে থাক এবং আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাক। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ আল্লাহ তোমাদের উপর কড়া নজর রেখেছেন"

বিষয়: বিবিধ

১১৫২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307736
০৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৯
অভিমানী বালক লিখেছেন : ভালো লাগলো
307740
০৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:০৬
আব্দুল জাব্বার লিখেছেন : অসাধারণ
307756
০৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:৫৭
আফরা লিখেছেন : ইসলাম ছাড়া নারী পুরুষ কেউই শান্তি পাবে না । শান্তির দুত হয়ে এসেছেন বেশী বেশী শান্তির কথা শুনাবেন আশা করি ।
307770
০৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:৩৪
সোহেল মোল্লা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
307788
০৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ১০:০২
হতভাগা লিখেছেন : এই সব দিবস পালন করে আসলে মূল বিষয়টাকেই তাচ্ছিল্য করা হয় ।

সারা বছর ইংরেজী সন পালনকারীরা শুধু ১লা বৈশাখ পালন করেই বাংলা সনের প্রতি শদ্ধা দেখাতে চায় ।

২১ শে ফেব্রুয়ারী ছাড়া অন্য কোন দিনে বাংলা ভাষাকে নিয়ে এতটা আবেগপ্রবন হতে দেখা যায় না ।

২৬ শে মার্চ ও ১৬ ই ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নিয়ে কাহিনী করলেও সারা বছর মন পড়ে থাকে বিদেশে পাড়ি দেবার ও বিদেশী পন্য কেনার ।

মা দিবস ও বাবা দিবস পালন করার মধ্য দিয়েও এত শ্রদ্ধেয় মানুষদেরকে সীমিত আকারে নিয়ে আসা হয়েছে । বাকীটা দিন বাবা মায়ের স্থান হয় বৃদ্ধ নিবাসে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File