নামেন না হয় থামেন

লিখেছেন লিখেছেন শান্তির দূত ০৬ মার্চ, ২০১৫, ০৫:৪৮:১২ বিকাল

"নামেন না হয় থামেন"

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন

ব্যাবসায়ীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বলা হয়েছিল, "হয় নামেন না হয় থামেন"। কথাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ন। দেশকে অস্থিতিশীল থাকতে দেয়া যায় না। বাক্যটি খুবই আকর্ষনীয় ও সংক্ষিপ্ত। টোকশোতে বাক্যটি উঠে এসেছে বারবার।

২০০৭ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকারকে বৈধতা দিয়ে ভারতের সুক্ষ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছিল। হাছিনা-হিলারীর ফোনালাপের মাধ্যমে তা প্রমানীত।

বিতর্কিত,প্রশ্নবিদ্ধ ও মীমাংসিত যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে হিলারী প্রধানমন্ত্রকে বলেছিলেন," I hope you know much,we know how your government came to power. don't forget that we helped you, congratulating you after the election turning, it as free and fair. you know how this election results was pre-arranged at the behest of our good friend in new Delhi. we acted the way they suggested us"

যাহোক ক্ষমতায় এসে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে হত্যা করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করল।ভারতের সাথে দেশবিরুধী চুক্তি সম্পাদন করল। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নাস্তিকতা প্রতিষ্ঠা করল। জনমতকে উপেক্ষা করে তত্তাবধায়ক ব্যাবস্থা বাতিল করল।ভারতীয় অপসংস্কৃতি চালু করল। শিক্ষাব্যবস্থা ধবংস করল।আলেম-ওলামা সহ ত্রিশ হাজার বিরুধী নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করল। যুদ্ধোপরাধের নাম দিয়ে জোট ভাঙ্গার জন্য শুধু জামাআত নেতেদের বিচার শুরু করেছিল। শেয়ারবাজার লুট করে ত্রিশ লক্ষ ব্যাবসায়ীকে পথে বসিয়েছে। সংবিধান রক্ষার নামে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচন করে আবার ক্ষমতা দখল করল।

৫ই জানুয়ারির ১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনঃ

১)বিনা ভোটে নির্বাচিত ১৫৩ জন।

২)আট আসনে নির্বাচন স্থগিত

৩) ৬৪ কেন্দ্রে ১জনও ভোট দেয়নি

৪)নির্বাচন প্রতিরোধে ২৬জন মারা গেছে

৫)স্বরাস্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর ছেলে একাই ভোট দেয় ৪৭৫টি।

৬)জালভোটের কারনে২১ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করে।

৭)জাপা নির্বাচন বর্জন করেও ৩৩টি আসন পায়।

৮)এরশাদ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেও বিজয়ী হয়।

৯)৪০টি দলের মধ্যে ১৫টি দল অংশ নেয়।

১০)হাছিনা,খালেদা,হামিদ,শিরিন,রাকীব কেহ ভোট দেয়নি।

১১)সরকারের মতে৩০% ভোট পড়েছে।

১২)ফেমা বলেছে,১০% এর বেশি পড়েনি

নির্বাচনের পর সরকারকে বিরুধী দলের পক্ষ থেকে একবছরের সময় দিলেও কোন উদ্যেগ নেয়নি। বরং বিরুধী দল দমন করে গঠনতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার। মিডিয়া নিয়ন্ত্রন, সকল সরকারী প্রতিস্টান দলীয়করন করে বাকশাল কায়েম করেছে।

জনগন,বিরুধীদল,সুশীলসমাজ, মানবাধিকার সংস্থা,কুটনিতিক, জাতিসংঘের দাবী করার পরও অবৈধ সরকার সংকট সমাধানের কোন চেষ্টা করছেনা।২০১৯সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ঘোষনা দিচ্ছে বারবার।

ব্যাবসায়ীদের "নামেন বা থামেন" স্লোগান না দিয়ে দেশ,জাতী, ইসলাম ও গনতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে থামা যাবেনা,চলিয়ে যেতে হবে,অবৈধ সরকারে পতন নিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনের এই টার্নিং পয়েন্টে মাওলানা আব্দুস সুবহানের রায় ও কামারুজ্জামানের পুর্নাঙ্গ রায় প্রকাশ করে নতুন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সুতরাং ব্যাবসায়ী,গনতন্ত্রকামী,দেশপ্রেমিক কোন তৌহিদী জনতা এই সরকারকে আর এক মুহুর্তও সহ্য করতে পারে না।

বিষয়: বিবিধ

১০২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File