একটি মন্তব্য ও তার প্রতিবাদ আর একটি আশাবাদ
লিখেছেন লিখেছেন ইরফান শাহরিয়ার ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:২৭:৩৯ সন্ধ্যা
মন্তব্যঃ মুসলিমদের মধ্যে দর্শন আছে, নিদর্শন নেই
ত্বত্তগতভাবে বিষয়গুলোকে জটিল মনে হলেও আমি নিজেকে বোঝানোর জন্য একটা ব্যাখ্যা তৈরী করতে কিন্তু পারি। জন্মগতভাবে আমরা এমন একটি সময়ের সাক্ষী যে সময়টাতে ইতিহাস তার পথ মূর্হুমূহ্ পরিবতর্ন করছে। আমার ছোট্ট সময়ের অভিজ্ঞতার আলোকে জীবন থেকে লব্ধ একটা শিক্ষার কথা আলোচনা করতে চাই। কাব্যশৈলীর কমতি থাকায় আমার কথাগুলো পাঠকের সামনে ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারছি কিনা সেটা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দও আছে।
আমাদের মধ্যে দর্শন আছে নিদর্শন নেই, বক্তা মুসলিম না অমুসলিম সেটা জানা নেই।
তবে তাকে লাল সালাম।
জীবনের ভাজে ভাজে দেখেছি ”সময়” একটা অদ্ভুত গুরুত্বপূর্ন বিষয়। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আমাদের শিক্ষাদানের জন্য সময়ের কসম দিয়ে কথা বলেছেন। পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রদের প্রতিঃনিয়তই নাভিঃশ্বাস উঠে যায় টাইম ফ্যাক্টরটা নিয়ে। সমাজ জীবনেও টাইম ইজ দ্যা বেস্ট লিডার। আমাদের চলার পথে এমন অনেক সময় আসে যখন কথা না বলাই যেন সবচেয়ে বড় কথা। প্রচন্ড অন্যায়কে মুচকি হাসি দিয়ে মেনে নেয়াই যেন প্রতিবাদ। বহুবছরের ¯্রােতে আমরা এতটা দূরে যেন পৌছেছি এখান থেকে কিছুটা নিরবে এগিয়ে চলাটাই আমারদের আদর্শ । সংঘাত এড়িয়ে সম্মানের পথে হাটাই আমাদের লক্ষ্য। যে দর্শনটিকে এত ভয়ে শত শত বছরে দংশন করা হয়েছে সহস্্রবার, নিঃশেষ করতে চেষ্টা করা হয়েছে শতযুগ ধরে সেই দর্শনের প্রতিটি দূর্বলতম অনুসারীই সেই দর্শনের উত্তম নিদর্শন নয় কি?
অমুসলিম একটি জাতি একশত বছর (প্রায়) জ্ঞান-শিক্ষার নিরব আন্দোলনের মাধ্যমে উচু করেছে শির, আঘাত না করেই বলতে চাই তাদের নিদর্শন আছে কিন্তু দর্শন বলে যা কিছু আছে বলে তারা দাবী করে তা শতবছর ধরে ধর্ষিত করে চলেছে মানবতাকে। বিশ্ব শান্তির নামে আজকাল কি হচ্ছে এসব? শত শত কোটি ডলার ব্যায়ে বিশ্ব শান্তি ক্রয়ের যে নিদর্শন আপনারা দেখাচ্ছেন তার পেছনের দর্শনটি কি দর্শনের পর্যায়ে পড়ে?
কমপক্ষে আমাদের এরুপ নিদর্শন নেই। আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ নিদর্শনের। আর যে নিদর্শন আপনি আজ দেখতে পাচ্ছেন না অচিরেই তা দেখতে পাবেন বলে আমার আশাবাদ। মহান আল্লাহ সবচেয়ে বড় পরিকল্পনাকারী। আল্লাহর সিডিউল অব টাইমেই সব নিদর্শন স্পষ্ট হবে বলে মনে করি। সমালোচনার জন্য আলোচনা নয়। বিশ্বব্যাপি মুসলিম নিধনের যে ঘৃন্য অপচেস্টা চলছে। সেদিন এক মিডিয়াতে বলতে শুনলাম ”ইসলামিক সত্রাসবাদ”। হাস্যকর!! যে দশর্ন মানুষকে সভ্যতা, ভদ্রতা, নিদর্শন শেখাল তার নামের আগে একটা লেবেল জুড়ে দিলাম। তাও আবার বলছে কারা, একজন মুসলিম বুদ্ধিজীবি। আমার কাছে ব্যাখ্যাটি এমন; ”মা” শব্দটির আড়ালে আরেকটি শব্দ ভেসে আসে সেটি হল ”মমতাময়ী”। আজ আমরা মমতাময়ী মাকে ডাইনি মা বলতে শিখে গেছি যা কিন্তু তাদের নিদর্শন.. .. .. .. .. .. কর্পোরেট কালচারের নামে গোটা বিশ্বব্যাপি যে নিদর্শন আপনা দেখিয়ে গেছেন তার দর্শন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম।
আমি কিছুটা দুঃখিতও বটে আমার বক্তব্যকে আক্রমনাত্তক ভেবে আবার জিহাদী বলে বসবেন না। যুক্তি, শিক্ষা ও জ্ঞান নির্ভও একটি জাতি হিসেবে খুব শিগ্গিরি আবার আমরা মাথা তুলে দাড়াব ইন্শাআল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১০০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন