এক নজরে অধ্যাপক গোলাম আযম (র.)
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০৪:০৩ রাত
অধ্যাপক গোলাম আযম (র.)। একটি নাম, একটি ইতিহাস । তিনি একাধারে একজন বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা সৈনিক, ডাকসুর সাবেক জিএস, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপকার। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের উত্থান-পতনের প্রতিটি ঘটনায় এবং এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অধ্যাপক গোলাম আযমের ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ২০১৪ সালের আজকের এই দিনেই(২৩ অক্টোবর) বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের এই প্রাণপুরুষ জালিমের কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। একনজরে দেখে নেই অধ্যাপক গোলাম আযম (র) এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
অধ্যাপক গোলাম আযম ১৯২২ সালের ৭ই নভেম্বর মঙ্গলবার (বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ণ) ঢাকা শহরের লক্ষ্মীবাজারস্থ বিখ্যাত দ্বীনী পরিবার শাহ সাহেব বাড়ী (মিঞা সাহেবের ময়দান নামে পরিচিত) মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ওনার আদি নিবাস ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও গ্রামে।
শিক্ষা জীবন
১৯৩৭ সালে জুনিয়ার মাদ্রাসা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এসএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ত্রয়োদশ স্থান লাভ করেন। ১৯৪৪ সালে ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকেই আইএ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ঢাকা বোর্ডে দশম স্থান অধিকার করেন। ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনের কাজে জড়িয়ে পড়ায় গোলাম আযম পরীক্ষা দিতে পারেননি এবং ১৯৪৯ সালে দাঙ্গাজনিত উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি। ফলে তিনি ১৯৫০ সালে এম. এ পরীক্ষা দেন। ঐ বছর কেউ প্রথম বিভাগ পায়নি। চারজন ছাত্র উচ্চতর দ্বিতীয় বিভাগ লাভ করেন এবং অধ্যাপক গোলাম আযম তাদের মধ্যে একজন।
শিক্ষকতা
১৯৫০ সালের ৩রা ডিসেম্বর তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবনের সূচনা করেন। তিনি ১৯৫০ সালর ৩রা ডিসেম্বর থেকে ১৯৫৫ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজ বিভাগের ছাত্ররা ছাড়াও তার লেকচারের সময় অন্যান্য ক্লাসের ছাত্ররা ক্লাসে যোগদান করতো।
একনজরে দায়িত্ব পালন ও কর্মকান্ড
- ১৯৪৫-১৯৪৬ সালে পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের এ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৪৬-১৯৪৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের জিএস নির্বাচিত হন।
- ১৯৪৭-১৯৪৮ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়।
- ১৯৪৭-১৯৪৮ সেশনে পূর্ব-পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৪৮-১৯৪৯ সেশনেও তিনি ডাকসুর জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৫০-১৯৫৫ সালে অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রংপুর কারমাইকেল কলেজ।
- ১৯৫২-১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, তমদ্দুন মজলিস, রংপুর।
- ১৯৫১-১৯৫৪ সালে আমীর, তাবলীগ জামায়াত, রংপুর।
- ১৯৫৭-১৯৫৯ সালে সেক্রেটারি, জামায়াতে ইসলামী, পূর্ব পাকিস্তান।
- ১৯৫৮ সালে সভাপতি, সম্পাদনা পরিষদ, দৈনিক ইত্তেহাদ।
- ১৯৬৭-১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে (PDM) পূর্ব-পাকিস্তান আঞ্চলিক কার্যপরিষদ-এর জেনারেল সেক্রেটারি।
- ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের আমন্ত্রণে Democratic Action Committee (ড্যাক) -এর কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ।
- ১৯৬৯-১৯৭১ সালে আমীর, জামায়াতে ইসলামী, পূর্ব পাকিস্তান।
- ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলা’ উপস্থাপন।
- ১৯৯১-১৯৯৩ সেশনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর নির্বাচিত।
- ১৯৯৪-১৯৯৭ সেশনে পুনরায় আমীর নির্বাচিত।
- ১৯৯৮-২০০০ সেশনে পুনরায় জামায়াতের আমীর নির্বাচিত।
- ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে মজলিসে শূরার কাছে বিশেষ আবেদনের প্রেক্ষিতে আমীরে জামায়াত-এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ।
আন্তর্জাতিক সভা সেমিনারে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ
- ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে World Association of Muslim Youth (ওয়ামী) কর্তৃক আহূত International Islamic youth Conference এর উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৭৩ সালে Islamic Youth Conference at Tripoli, Annual Conference of Federation of Students Islamic Socities (Fosis), England, 11th Convention of Muslim Students Association of America held at Michigan University Annual Conference of U.K. Islamic Mission এ অংশ গ্রহণ।
- ১৯৭৭ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত International Federation of Students Organization-এর সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ।
- ১৯৯৫ সালের মে মাসে তুরস্কে আয়োজিত রিফা পার্টির সম্মেলনে অংশগ্রহণ।
- ১৯৯৫ সালের আগস্টে লন্ডনে ইসলামী সংস্থাগুলোর সম্মিলিত গণসম্বর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
- ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে Islamic Society of North America-এর উদ্যোগে বাল্টিমোরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অতিথি বক্তা হিসেবে ও Muslim Ummah in America-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ।
- ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে International Islamic Federation of Students Organization-এর উদ্যোগে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি এবং ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইসলামী সংস্থাগুলোর সম্মেলনে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী ড. নাজমুদ্দীন আরবাকানের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ।
- ১৯৯৯ সালের জানুয়ারীতে Islamic Mission Japan-এর বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান।
- ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে বাল্টিমোরে Islamic Circle of North America (ICNA) বার্ষিক কনভেনশনে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান।
- ১৯৯৯ সালের আগষ্ট মাসে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত U.K. Islamic Mission সম্মেলনে অতিথি বক্তা এবং ইংল্যান্ডের শেফিল্ডে অনুষ্ঠিত U.K. Islamic Mission সম্মেলনে অতিথি বক্তা হিসেবে যোগদান।
- ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার শিকাগোতে অনুষ্ঠিত Islamic Society of North America (ISNA) -এর বার্ষিক মহাসম্মেলনে অতিথি বক্তা এবং Muslim Ummah in America-এর উদ্যোগে আয়োজিত শিকাগো শাখার সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগদান।
- ২০০১ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরে অনুষ্ঠিত Islamic Forum Europe-এর সম্মেলনে প্রধান বক্তা, দাওয়াতুল ইসলাম ইউ.কে এন্ড আয়ার-এর উদ্যোগে আয়েজিত ২দিন ব্যাপী সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগদান।
- ২০০১ সালের নভেম্বরে দুবাই সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কুরআন পুরস্কার পরিষদের সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগদান।
লেখক ও চিন্তাবিদ অধ্যাপক গোলাম আযম
১৯৫৮ সালে দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার সম্পাদনা বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম সম্পাদকীয়সহ বিভিন্ন কলামে নিয়মিত লিখতেন। তাফসীর, নবী জীবন, ইসলাম, সংগঠন, আন্দোলন, রাজনীতি ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি ১০৭ টি বই লিখেছেন। অধ্যাপক গোলাম আযম লিখিত কিছু বই ইংরেজী ছাড়াও উর্দু, তামিল ও অহমিয়া ভাষায় অনুদিত হয়েছে। এ ছাড়া অধ্যাপক গোলাম আযমের জীবনী নিয়ে ইংরেজী ভাষায় একটিসহ ৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
কারাবরণ
অধ্যাপক গোলাম আযম শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনেই ৫ বার কারাবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকার জন্য ১৯৫২ সালে তিনি সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার হন। ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ততার জন্যই ১৯৫৫ সালে পুনরায় তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে তখন তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকার গোলাম আযমকে বিদেশী নাগরিক হিসেবে গ্রেফতার করে(কারন শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে)। ১৬ মাস কারাবরণের পর আদালত অধ্যাপক গোলাম আযমের পক্ষে রায় দেয়। ১৯৯৪ সালের ২২ জুন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ৫ জন বিচারপতির সমন্বয়ে পুর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বহালের আদেশ দেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অর্ডারকে বেআইনী ঘোষণা করেন। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি কথিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরলোক গমন
২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি কথিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেপ্তারের পর সাজানো বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে তাকে ৯০ বছরের কারাদন্ড প্রদান করে। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি পরলোক গমন করেন। আল্লাহ তাঁকে শহীদের সর্বোচ্চ মর্জাদা দান করুন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অধ্যাপক গোলাম আযম (র.) এর এক ঐতিহাসিক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইতিহাস সৃষ্টি করা এই জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে। এছাড়া সারা দেশ ও বিশ্বব্যপী গায়েবানা জানাজাগুলোতেও অগনিত মানুষের স্রোত নেমেছিলো।
বিষয়: বিবিধ
৩৮৫৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমীর কে ছিল?
গোলাম আযম, তিনিই বলা যায় আমির ছিলেন। তাছাড়া শেখ মুজিব কর্তৃক একদলীয় বাকশাল কায়েম ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো দীর্ঘদিন।
জেল খানায় কাজ ছিল। আমীরও ছিল।আপনি যদি অধ্যাপক গোলাম আযম সাহেবের "জীবনে যা দেখলাম, বইটা ধারা বাহিক সিরীজ পড়তেন, তাইলে পেয়ে যেতেন।ফরীদ আহমেদ রেজা,কে,এম আমিনুল হক,তাদের লেখায় প্রকাশ করেছেন। পরবর্তিতে মাওলানা আঃ রহীমকেও বাদ দিয়েছে। ওরা জামাতে ছিল না।
০ ১৯৮০ সালে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফর্মুলা’ দিয়েছিলেন !!!!!
আমি তো জানতাম সেটা আওয়ামী লীগের সাথে মিলে ১৯৯৪-৯৬ সালে যখন উনারা বিএনপি বিরোধী আন্দোলন করছিলেন তখন এই ফর্মুলা থ্রো করেছিলেন ।
এর মজা জামায়াত ভালই চাখতেছে ।
১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ২৫ মার্চ হতে ১৬ ই ডিসেম্বর উনি কোন সেক্টেরর নেতৃত্বে ছিলেন/ কার অধীনে ফাইট করছিলেন ?
আর ১৯৭১ সালে গোলাম আযম কোনো সেক্টরে যুদ্ধের তো প্রশ্নই আসেনা, বরং তখন যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো জামায়াতে ইসলামী। যেমনভাবে এবং যে কারনে যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো বাংলার অধিকাংশ জনতা, বুদ্ধিজীবি, আলেম ওলামা, শিক্ষক, অধ্যাপকগনও।
কি কারনে এবং কারা কারা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলো(বর্তমানে তাদের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে জীবন চালাচ্ছেন) তাদের নামগুলো দেখে নিবেন নিচের লিংকগুলো ও “একাত্তরের ঘাতক ও দালালেরা কে কোথায়?” বইয়ের স্ক্রীনসট থেকে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান। পর্ব-০১
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান। পর্ব-০২
স্বাধীনতা বিরোধী ছিলেন সৈয়দ শামসুল হক
তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা যে বুমেরাং হয়ে আসবে সেটা কি দূরদর্শী রাজনীতি করার দাবিদার জামায়াত বুঝতে পেরেছিল ? কেনই বা তারা ১৯৯৪-৯৬ এ তাদেরই সমমনা সরকারের শরিক বড় দলের বিপক্ষে গেল এবং সম্পূর্ণ বিপরীত মনোভাবের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলো ? আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি তো জামায়াতের জন্য তুলনামূলকভাবে কম হস্টাইল।
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বুমেরাং করলো কোথায়? ফখরুদ্দিন সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারনে আসেনি, এসেছে বড় দুটি দলের স্বেচ্চাচারিতার কারনে। আর এরকম সেনা নিয়ন্ত্রিত ফখরুদ্দিন সরকার যেকোনো সময়ই ইচ্ছা করলে আসতে পারে। কারন সেনাশাসন কোনো আইন মেনে আসেনা। বর্তমানে বিএনপি এখনো আন্দোলন করছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য। তত্ত্বাবধায়কের চাইতে উত্তম পন্থাতো কেউ এখনো আবিষ্কার করতে পারলো না। আর ৯৬ এর আন্দোলনের ব্যপারটা বিষয় বহির্ভুত। এটার জবাব দেয়ার সময় হাতে নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন