নেতা কোপায়, নেত্রী ভেটকি মারা সেলফি তুলে মজা লয় !!
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ০৬ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:০৮:৪০ রাত
ঠোঁটে টকটকে লিপস্টিক, মুখে মুসকি হাসি, আর গায়ে আইসিইউ গাউন। পেছনে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির মুহুর্মুহু কোপে মৃত্যুপথযাত্রী নাকে-মুখে নল লাগানো অচেতন খাদিজা বেগম। খাদিজাকে দেখতে গিয়ে আওয়ামী সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিন, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ অপু উকিল ও আরেকজন নেত্রীর তোলা সেলফির চিত্র এটি!!
আজ সন্ধ্যে ৭টার দিকে সাংসদ সাবিনা নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন এই সেলফি!! এক নেতা কোপায়, আরেক নেত্রী ঠোঁটে লিপষ্টিক লাগিয়ে সেটাকে সেলফির কাজে লাগায়!! বাহ! মানবতার সাথে এ কি অপূর্ব(?) উপহাস!!! ধিক্কার জানাই এমন নিকৃষ্ট মানসিকতার!!
তারা কি আসলেই খাদিজার প্রতি সহমর্মিতা জানাতেই সেখানে গেছেন? একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে দেখতে কেউ ঠোঁটে লিপস্টিক মেখে এভাবে সেজেগুজে যায়?? এ সাজতো কোনো মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপকের নয়! এ সাজতো দৌলতদিয়ার খদ্দের খোঁজকারীর!!
অনেকেই এই সেলফি নিয়ে ভর্ৎসনা করছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, রাস্তার বেশ্যাকে সাংসদ বানালে তো এমনটাই হবে। দেখেননা শোক দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়েও ওনাদের পুরুষ সহযাত্রীরা দাঁত কেলায়া সেলফি তুলেন!!! ওরা মানুষ না ওরা আওয়ামী লীগ!!
আসলেই তো? ওরা যে আওয়ামী লীগ, ওরাই যে ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবরের হিংস্র খুনির দল। লগি বৈঠা দিয়ে যারা জ্যান্ত মানুষকে সাপের মত পিটিয়ে মেরে তার উপর লাফিয়ে লাফিয়ে উল্লাস করে, তাদের কাছে একজন মৃত্যুপথযাত্রী নারীর অচেতন দেহ কোথাকার কোন ছাই??
ওরা কোনো স্বাভাবিক মানুষ নয়। আইসিইউর খাদিজার নয়, বরং ওদেরই কোনো চেতন নেই। প্লীজ ওদেরকে এখনই শৃঙ্খলে আবদ্ধ করুণ। খাদিজার পিতা মাতার আহাজারির সাথে ওদের দাঁত কেলানো কোনো সেলফি আর আমরা দেখতে চাইনা।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৪৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি পড়েন শাবিপ্রবি তে, আর প্রেম করতে গেলেন সিলেট সরকারি কলেজে পড়া একটা মেয়ের সাথে? কেনো ভাই? প্রেমেরও তো মিনিমাম একটা ক্লাশ থাকে, নাকি? শাবিপ্রবি তে কি মেয়ের এতই আকাল যে আপনাকে কলেজে আইসা ঘটনা ঘটাইতে হইলো? আপনি কেন জাফর ষাড়ের কচিকাঁচাদের দিকে নজর দিতে গেলেন!!!
আপনারা না দলীয় লোকদের শান্তি দিলেন, না জাফর ইকবাল স্যারকে। স্যার মাসের মধ্যে আর কতোবার 'ওরা অবুঝ' 'ওরা বুঝে না' 'ওদের সময় দিন' বলে আপনাদের ইমেইজ রক্ষা করে যাবে বলেন দেখি? মানুষের শব্দ ভান্ডারে এই জাতীয় কিউট শব্দগুলোরও তো একটা লিমিট থাকে, তাই না?
কোপাবেন ভালো কথা, সাথে অন্তত একবার 'আল্লাহু আকবার' বলে চিক্কুর দিলেই পারতেন। অথবা পুলিশকে বলতেন, আপনার দূরসম্পর্কের কেউ একজন শিবির করে, তাহলে সব ল্যাঠা জামাত-শিবিরের কান্ধে ট্রান্সফার হইয়া যাইতো। এই ছোটখাটো ভুলগুলা যে কবে আপনারা শুধরাবেন আল্লাহ মালুম...।
দেখাযাক কি হয়, বেশি টেনশন নিয়ে শরীর খারাপ কইরেন না...পাবলিকের সাময়িক চেঁচামেচিতে যদি আপনার কোনো শাস্তি হয়েও যায়...আমাদের মহামতি রাষ্ট্রপতি তো আছেন!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন