আজ ছাত্রশিবিরের “শহীদ দিবস”
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ১০ মার্চ, ২০১৬, ১১:৪১:৫০ রাত
আজ ১১ই মার্চ। ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহীদ দিবস।
১৯৮২ সালের আজকের এই দিনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় শাহাদাত বরণ করেণ ছাত্রশিবিরের প্রথম শহীদ সাব্বির। এদিন শহীদ সাব্বিরসহ মোট ৪জন ছাত্রশিবিরের কর্মীকে শহীদ করা হয়।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটাই ছিলো সংগঠনের কোনো কর্মীর শাহাদাতের প্রথম ঘটনা। এজন্য এই দিনটিকে ছাত্রশিবির শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে।
সেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার চত্বরে ইসলামী ছাত্রশিবির নতুন ছাত্রদের নিয়ে আয়োজন করে নবাগত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানে ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, ছাত্রলীগের অতর্কিত এবং নিষ্ঠুর হামলা চালায়। তাদের হামলায় শাহাদাত বরণ করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী সাব্বির, হামিদ, আইয়ুব, জাব্বার।
সেদিন লোহার রড, পাইপগান, দা, কিরিচ দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করা হয় সাব্বিরকে, ইটের উপর মাথা রেখে আরেকটি ইট দিয়ে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে মাথা থেকে আবদুল হামিদের মগজ বের করা হয়। মারাত্মক আহত আবদুল জাব্বার এবং আইয়ুব পরবর্তীতে শাহাদাৎ বরণ করেন।
১১ মার্চ ১৯৮২ সালের সেই দিনে আহতদের গগণ বিধারী চিৎকারে শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহীর আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়েছিল।
সারাদেশের মানুষ ধিক্কার জানিয়েছিল প্রগতিশীল দাবিদার মানুষ নামক রক্তচোষা দানবদেরকে।
আহতদের পাশে দাঁড়াতে এবং সহানুভুতি জানাতে তৎকালিন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার ছুটে গিয়েছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তিনি বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুচিকৎসার নির্দেশ দেন।
হিউম্যানিটি ধর্মের ধারক ও বাহকদের সত্যিকারের হিউম্যানিটি সেদিন দেখেছিলো সমগ্র দেশবাসী। সাথে জানিয়েছিলো শুধু ধিক্কার!!
সেদিনের এমন নিকৃষ্টতম মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এখনো হয়নাই। তবে ৭১ এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যেহেতু হয়েছে, এই বিচারও একদিন হবেই।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাইজান আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন