কামরুল সাহেব, রায়টা আপনিই লিখে দিন!
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ০৫ মার্চ, ২০১৬, ০৯:৫০:৪৭ রাত
শনিবার একটি অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে অনুমান করা যাচ্ছে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল নাও থাকতে পারে। তাই প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের আপিল পুনরায় শুনানি করা উচিৎ। ”
বটতলার উকিল খাদ্যমন্ত্রী কামরুলকে অনেকে গমরুলও বলেন। কারন পঁচা গম আমদানি ও চুরিতে তার অসামান্য কৃতিত্ব রয়েছে।
এসব চোর বাটপারদের ধৃষ্টতা ইদানিং সীমা অতিক্রম করেছে। স্বাধীন(??) বিচার বিভাগ যেনো তাদের অঙ্গুলী হেলনে কাতচিত হয়!!!
অবৈধ ক্ষমতার দাপটে এসব চোর বাটপারের অবস্থা অনেকটা আগুনের চেয়ে পাতিল গরমের মত!! প্রধানমন্ত্রীর চাইতেও যেনো কয়েক ধাপ এগিয়ে ওরা!! কার রায় কি হবে, কাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে সব যেনো ওদের কথা মতই হবে!!
সব যেনো মগেরমুল্লুক!! বিচারের রায় কি হবে না হবে এসব কি কোনো মন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে?? একজন মন্ত্রীর প্রকাশ্যে এমন মন্তব্যের পরও বিচার কিভাবে স্বচ্চ কিংবা নিরপেক্ষ থাকে?? টার্গেটই যখন ফাঁসি দেয়া, সিদ্ধান্তই যখন ফাঁসি দেয়া, তখন বিচারের নামে তামাশার কি প্রয়োজন?? ধরে ধরে ঝুলিয়ে দিলেই তো হয়!! কিংবা রায়টা আপনিই লিখে দিন!!!
তবে মনে রাইখেন, আপনাদের এসব ধৃষ্ঠতার রেকর্ড কিন্তু খুব সুন্দরভাবেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষমতার দাপট যখন চলে যাবে, মন্ত্রীপাড়া থেকে যখন বটতলায় ট্রান্সপার হবেন, ট্রাইব্যুনাল কি জিনিস তখন হাড়ে হাড়ে টের পাইবেন।
হাকিম নড়লেও হুকুম নড়েনা। আপনাদের তৈরি এই ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায়ই একদিন আপনাদেরকে দাঁড় করানো হবে। চল্লিশ বছর আগের কোনো বানোয়াট সাক্ষ্যের ভিত্তিতে নয়, জলজ্যান্ত চাক্ষুষ সাক্ষ্যর ভিত্তিতেই।।
বিষয়: বিবিধ
৭৬৩৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন যাই লেখাটা পড়ে আসি
আর হ্যাঁ, অনুরোধ রাখার শুকরিয়া
এগুলোকে দেখলে, কথা শুনলে মনে হয়, একটা নর্দমা থেকে ঊঠে এসেছে।
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন