মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে ধর্ষণ ঠেকাতে টয়লেটে আয়া নিয়োগ!!

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ১৭ মে, ২০১৫, ১২:০২:৩০ রাত



মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালিকা স্কুলের ক্লাস ওয়ান ও ফাইভের দুই ছাত্রীকে যৌননির্যাতন(ধর্ষনের আপগ্রেড ভার্সন) করেছে গোপাল নামে স্কুলের এক হিন্দু পরিচ্ছন্নকর্মী।

ধর্ষকের বিচার দাবি করলে স্কুলের উপাধ্যক্ষ্ জিন্নাতুন্নেছা মহিলা অভিবাবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মধু থাকলে মৌমাছি আসবেই’। ‘আপনাদের বাসায় যখন স্বামীরা একা থাকেন তখন কাজের বুয়ার সঙ্গে তারা কী করেন তা কি আপনারা দেখতে পান?’

এই উপাধ্যক্ষ সাহেবা নিশ্চই কোনো হিজাবী নারী নন। কারন কোনো হিজাবী মহিলার মুখ দিয়ে কষ্ষিনকালেও এমন নোংরা মন্তব্য আসবেনা। তার কথার মধ্যে যেনো তসলিমার কথার প্রতিধ্বনি!!

আই মিন তিনি একজন চেতনাধারী মহিলা। যিনি এসব ধর্ষণ টর্ষণকে খুবই সাধারন ব্যপার মনে করেন।

নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা আর সমানাধিকারের চেতনা লালনকারী এমন উপাধ্যক্ষের প্রতিষ্ঠানে এরকম চেতনার লালনমুলক ঘটনা ঘটবেনাতো হিজাবীদের মাদ্রাসায় ঘটবে?

বিক্ষোভের মুখে ধর্ষণ ঠেকাতে অবশেষে স্কুলের সকল পুরুষকর্মীকে ছাটাই করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল প্রাঙ্গনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। স্কুলের প্রতিটি টয়লেটের সামনে একজন করে আয়া নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ছাত্রীরা কোনো সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জানাতে পারবে!!

ধর্ষণ ঠেকাতে বেচারাদের গলধ:ঘর্ম অবস্থা দেখে সত্যি হাসিয়া কুল পাইনা।

ইসলাম বলেছে নারী পুরুষের শরীরের গঠন, কাজ এবং কাজেরক্ষেত্র এক নয়। তারা অবাধে মেলামেশা করবেনা। পর্দা করবে। ইত্যাদি।

চেতনাধারীরা ইসলামের এসব বিধি বিধানকে নারীর প্রতি বৈষম্য বলে আসছে। এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।

অথচ তারাই আজ নারীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পুরুষদের সরিয়ে দিচ্ছে!! অর্থাৎ নারী পুরুষের কর্মক্ষেত্রকে আলাদা করে দিচ্ছে!!

ওরা গাধা। তাই জল ঘোলা করেই খায়।

তারা সেটাই এখন ধীরে ধীরে অনুধাবন করছে, যেটা সাড়ে চইদ্দশ বছর আগে কেউ একজন বলে গিয়েছিলো!!

বিষয়: বিবিধ

১২২১ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

320448
১৭ মে ২০১৫ রাত ১২:৫৫
মাজহারুল ইসলাম লিখেছেন : এরা সব কিছুই বুঝে শুধু চেতনায় সান দেওয়ার জন্য এবং কিছু টাকার লোভে এইসব করে।
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
261568
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : জেগে জেগে ঘুমায় আরকি ভাই।
320454
১৭ মে ২০১৫ রাত ০১:৩৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। সমাজের অবক্ষয় এমন সিমানায় পৌঁছেছে যার প্রতিরোধ এখনই দরকার..... দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া দরকার।
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
261569
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্সালাম। একমত ভাই।
320457
১৭ মে ২০১৫ রাত ০১:৪৪
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : পহেলা বৈশাখের আর দোষ কি? শকুন তো প্রাইমারী স্কুলেও আছে!
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
261570
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এই শকুনের সৃষ্ঠি করেছে বড় টিপ ওয়ালা চেতনার ব্যবসায়ীরাই।
320459
১৭ মে ২০১৫ রাত ০২:০৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : হায়রে মানুষ! কোথায় আজ মনুষত্ব্য? কোথায় বিবেকবোধ?
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৪৮
261571
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : বিবেক কি জিনিস? খায় না মাথায় দেয়?
320503
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৫২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওই মাস্টারনির জামাই কি তাহলে........
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
261577
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : সেটা আর বলতে.... ও ব্যপারনা, ওটা ওনারা স্বামী স্ত্রী মানিয়ে নিয়েছেন!!!
320513
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
বেআক্কেল লিখেছেন : যাউকগ্যা লাভের একখান কাম হইছে, শিশু শ্রেনির ছাত্রীরা ধর্ষন কি জিনিষ ইহা কিভাবে করে, কে করে, কেন করে, কি জন্য করে এসব জানিতে না পারিলেও এই ঘটনায় তাহারা রাস্তায় দাড়াইয়াছে, তারা বড়দের প্রশ্ন করিয়া জানিতে পারিবে ইহা করিলে কি লাভ। এদের মা-বাপ কুথায় ছিল? কেন শিশুদের হাতে ব্যানার ধরাইয়া রস্তায় দাড় করাইল.... বুঝিতে পারিলাম না
১৭ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
261584
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এটা আমাদের প্রশ্নফাঁস মন্ত্রীর ব্যপক সাফল্য বলা যায়। শিশুরাও আজ কাল সব বুঝে!! শুধু ধর্ষণের বিরুদ্ধেই নয় তারা বিরোধী দলের ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধেও আজ কাল রাস্তায় নামে। এটা হাসিনার পক্ষে একপ্রকার শিশু জাগরন।
320532
১৭ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
egypt12 লিখেছেন : ওই ম্যাডামের স্বামীর কুকর্ম সকল পুরুষের উপর চাপানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি। তোকে বলতে চাই সব পুরুষ তোর স্বামীর মত ব্যক্তিত্বহীন নয়।
১৭ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
261607
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : লেজকাটা শিয়াল
320689
১৮ মে ২০১৫ রাত ০২:০৫
১৮ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৪৮
261801
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : যা কেউ ভাবেনি আগে
১৮ মে ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
261857
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File