রোহিঙ্গাদের আবার মানবতা কিসের? তারা তো মুসলমান!!

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ১৫ মে, ২০১৫, ১২:১২:২৭ রাত



বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা। এটা আমার কথা নয়, স্বয়ং জাতিসংঘের কথা।

কিন্তু এই স্বীকৃতিতেই শেষ!!

দরিদ্র কৃষকের ছাগল চুরি করে খেয়েছে গ্রামের কিছু বখাটে। অসহায় কৃষক গ্রামের মেম্বারের কাছে নালিশ করেছে। মেম্বার সাহেব ঘটনা শুনে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দিলেন।

ব্যস!! নিন্দাতেই শেষ!!

আরে বেটা নিন্দা কি কৃষক খাবে না মাথায় দিবে? তার দরকার ছাগল, দরকার ক্ষতিপূরণ, দরকার নিরাপত্তা, দরকার সমস্যার স্থায়ী সমাধান।

রোহিঙ্গাদের পরিচয় যদি মুসলিম না হয়ে খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, ক্যাথলিক বা হিন্দু হতো, তাহলে তাদের অবস্থা আজ এই কৃষকের মত হতোনা!!

মুসলিম পরিচয় না হলে আজ তাদেরকে সাগরে ভাসমান অবস্থায় অনাহারে মরতে হতোনা, জীবন বাঁচাতে নিজের মূত্র পানও করা লাগতোনা!!

হাজার হাজার নিরস্ত্র রোহিঙ্গাকে চেঙ্গিসীয় কায়দায় কচুকাটা করে হত্যা করে ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেও আজ খুনি বর্বর বৌদ্ধ বার্মিজদের জঙ্গি বলা হয় না।



থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া মিলে সাগরে ভাসমান হাজার হাজার অসহায় অনাহারে মৃত্যুপথযাত্রী রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেনো ফুটবল খেলছে।

থাইল্যান্ড সীমান্তে গেলে লাত্থি মেরে ইন্দোনেশিয়ার দিকে, ইন্দোনেশিয়া সীমান্তে গেলে লাত্থি মেরে মালয়েশিয়ার দিকে, মালয়েশিয়া আবার লাত্থি মেরে ইন্দোনেশিয়ার দিকে!!!

এ এক নির্মম খেলা!! মানবতার নির্মম পরিহাস!!

তদেরও দোষ কি? তারা কত যায়গা দিবে? যায়গা দিলে তো আসতেই থাকেবে।

প্রয়োজন তো মিয়ানমারের জানোয়ার সরকারকে শায়েস্তা করা। যত প্রকারের চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব সব করা। যাতে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন না হয়, নিজ দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য না হয়।

কিন্তু জাতিসংঘ তা না করে, ভাসমান রোহিঙ্গাদের অন্য দেশে ডুকতে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মেকি মানবতা দেখায়!!

চুনোপুটি মিয়ানমারকে সায়েস্তা করাটা কি এতই কঠিন?

আসল কথা কোনো সমস্যার সমাধান তারা চায়না। তারা বরং সমস্যাকে জিঁইয়ে রাখতে চায় আজীবন। যাতে তাদের দুয়ারে বার বার ধরনা দেয়া লাগে। আর মুসলিম হলেতো কথাই নেই।

বিশ্বমোড়লরা নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে একসময় দেখা যাবে মিয়ানমারে সমস্যা আরো বাড়িয়ে নির্মুলের অযুহাতে সেনা ঘাঁটি গেঁড়ে বসেছে!!

এটাই তাদের নীতি!! এটা জাতিসংঘ নয়, এটা মোড়লসংঘ।

তাই জাতিসংঘের দিকে তাকিয়ে না থেকে মুসলিম দেশগুলোর উচিত অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো। (ইন্দোনেশিয়া আর মালয়েশিয়া হাসিনা টাইপের মুসলমান, এরা বাদে)

তারা সাগরে ভাসছে দিনের পর দিন। কোনো খাবার নেই। বিবিসির সাংবাদিকদের নৌকা দেখে পানি পানি বলে করুন চিৎকার করা শুরু করেছে। জীবন বাঁচাতে নিজের মূত্র পান করতে বাধ্য হচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যেহেতু যায়গা দিচ্ছেনা। মুসলিম দেশগুলি কি পারেনা হেলিকপ্টারে করে তাদেরকে নিরাপদ যায়গায় নিয়ে যেতে??

এরদোগান বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‍‍‍‍‍"আসুন, আমরা অসহায় অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াই"

প্লীজ..... তাদের পাশে দাঁড়ান। এখনি।

বিষয়: বিবিধ

১৪৪৪ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

320134
১৫ মে ২০১৫ রাত ০১:২৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
১৫ মে ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
261269
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
১৬ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৪৫
261427
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : স্বাগতম, হে প্রিয় ভ্রাতা..
320176
১৫ মে ২০১৫ সকাল ০৬:০৭
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : "এরদোগান বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‍‍‍‍‍"আসুন, । আমরা অসহায় অভিবাসীদের পাশে দাঁড়াই"
প্লীজ..... তাদের পাশে দাঁড়ান। এখনি।"


সুন্দর কথা বলেছেন, ধন্যবাদ।
আপনি শুধু শুধু ইহুদী-নাসারা-নাস্তিক মোড়ল জাতিসংঘের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি, চিল্লাপাল্লা করলেন। ওদের কি ঠেকা পরেছে আল্লার মুমিন রহিঙ্গাদের জন্য গলা পানিতে নামবে। এক চুনোপুটি মিয়ানমারকে সায়েস্তা করতে এতটা বিচিলিত হওয়ার দরকার নেই।

মুমিন মুসলিমদের কি নেই! মুমিনের পক্ষে আল্লা আছেন আল্লার কাছে চান, আল্লার কাছে দোয়া মোনাজাত করেন। আখেরি মোনাজাত করেন। আল্লা কি হিন্দুদের মাটির মূর্ত্তি নাকি?? তিনি ঝাকে ঝাকে আবাবিল পাখি পাঠিয়ে ইহুদী-নাসারা-নাস্তিকের জাতিসংঘকে ঘুড়িয়ে দিবেন। চুনিপুটি মায়ানমারের ১২টা বাজিয়ে ছাড়বেন।

রহিঙ্গা মুমিনদের এ মুহুত্বের করণীয় :
বাইদা বহরের মত চীন সাগরে ভেসে লাভ নেই। রহিঙ্গারা সবাই তাদের পরিবার পরিজন, গরু, ছাগল যার যা অবশিষ্ট আছে তা নিয়ে সৌদি আরব, দুবাই, আমিরাত, কাতার, কুয়েত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে হিজরত করতে হবে। সেখানে বিত্ত বৈভবের অভাব নেই। মুমিন মুসলিম সব ভাই ভাই। এ ভাবেই রহিঙ্গা সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। কি বলেন??

বিঃদ্র- ইহুদী-নাসারা-নাস্তিকের জাতিসংঘ যখন রাজাকার কামরুজ্জামানের ফাঁসি রহিত করার কথা বলে তখন কিন্তু আপনারা বান্দরের মত ফাল পারেন।
১৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৩
261273
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আপনার সাথে আজাইরা তর্ক করার সময় নাই। আজাইরা তর্কের জন্য কিছু আজাইরা শব্দের আমদানি করছেন, যেগুলো আমি বলিনাই।
কোন ব্যাক্তি বা সংগঠনের খারাপ দিকগুলার সমালোচনা করবো অথচ, ভালো দিকগুলার প্রসংশা করবোনা এমন অকৃতজ্ঞ আমরা নই। সুতরাং জাতিসংঘের সঠিক ও সত্যের পক্ষের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ফালাফালি খুবই স্বাভাবিক।
১৫ মে ২০১৫ রাত ০৮:০৭
261301
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : মানবিক কারনে জাতিসংঘ সবসময় মৃত্যু দন্ডের বিরোধী। জাতিসংঘ ইসলামের বর্বর কল্লা কাটা, পাথর নিক্ষেপ, চাবুক, দোররা, শরিয়া এবং নারী নির্যাতনেরও বিরোধ। এক্ষেত্রেও আপনি নিশ্চয় জাতিসংঘের সাথে একমত। তাই না?

এর অর্থ এই নয় জাতিসংঘ নরঘাতক রাজাকার কামরুজ্জামানের পক্ষে। তারা শুধু মানবিক কামরুজ্জামানের মৃত্যু দন্ড রহিত করার কথাই বলেছে মাত্র।
১৫ মে ২০১৫ রাত ১১:২৪
261311
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আগেই বলেছি জাতিসংঘের সঠিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্তকেই আমরা সাপোর্ট দেই, অযৌক্তিকগুলা নয়।
আর জাতিসংঘ শুধু মৃত্যুদন্ড বাতিলের কথাই বলেনাই আরো বলেছে বিচার ত্রুটিপূর্ন, এটা একশভাগ সত্য, তাই এটাকে সাপোর্ট করেছি।
১৫ মে ২০১৫ রাত ১১:৫৯
261316
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : জামাতী মতলব পুরণ হলে সব হালাল।
১৬ মে ২০১৫ রাত ১২:২৯
261317
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : তাদের মতলবগুলাইতো হালাল, পূরন হলে হারাম হবে কেনো?
১৬ মে ২০১৫ রাত ১২:৫২
261320
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : তাহলে রহিঙ্গা মুমিনদের বিষয়ে জাতিসংঘের উপর এত ক্ষোব ক্যান?
১৬ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
261399
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : কারন এটা অন্যায়, অবিচার, জুলুম।
১৬ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
261400
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : তাদের মতলব বলতে জামাতের মতলব বুঝিয়েছি, জাতিসংঘের নয়। রোহিঙ্গাদের ব্যপারে জাতিসংঘের আচরন অন্যায়, অবিচার, জুলুম। তাই এত ক্ষোভ।
320188
১৫ মে ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশের অবস্থাও তাই।
১৫ মে ২০১৫ দুপুর ১২:১৪
261274
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : জী ভাই
320297
১৬ মে ২০১৫ রাত ০৩:২৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : খুবি কষ্টকর এই পরিস্থিতি! কি জবাব আমরা দিব পরকালে?
১৬ মে ২০১৫ সকাল ১১:৪১
261401
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : যারা সামর্থ থাকা সত্বেও এগিয়ে আসেনি জবাব তাদেরকেই দিতে হবে, আমাদের দোয়া ছাড়া কি করার আছে?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File