মেয়েদের বিবস্ত্র করা বৈধ! নারায়ে তাকবীর বলা অবৈধ!!
লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:১৪:১৬ দুপুর
অসাম্প্রদায়িক চেতনার বর্ষবরণের দিনে সম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ মোল্লাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুণ দেখিয়ে দিলো অসাম্প্রদায়িক চেতনা কাকে বলে, সেটাকে কিভাবে প্রকাশ করতে হয়, কিভাবে চর্চা করতে হয়।
সারাটা দিন টিভিতে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা যে কতবার শুনেছি তার ইয়ত্তা নেই। খুব আগ্রহ জাগলো এই চেতনাটা দেখতে আসলে কেমন?
যাক অবশেষে রাতের বেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক এলাকায় কিছু তরুন সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দিলো।
এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে উল্লাস করে সেই তরুণরা বুঝিয়ে দিলো অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বস্ত্রের কোনো স্থান নেই। আদিম নগ্ন উদ্দামতাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বৈশিষ্ট্য।
চেতনার চর্চা করতে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে বেশ কয়েকজন তরুণীর। একজনকে বিবস্ত্র করে উল্লাস শুরু করলে এক ছাত্রনেতা বাধা দিলে চেতনার চর্চাকারীরা তার হাত ভেঙ্গে দেয়।
আশ্চর্যের ব্যপার হলো, চেতনা চর্চার এই শুভক্ষণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ংকর(মোল্লাদের বেলায়) সদস্যগন ছিলেনে একেবারেই চেতনাহীন!! অভিজিতের কোপানোর দৃশ্যের মতই সব দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।
পুলিশ নেতার বক্তব্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করেও যুবকদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।’
পুলিশ নেতার শেষোক্ত কথাটাই আমার ঘাত্রজ্বালার কারন।
লাঠিচার্জেও নিবৃত্ত হয়নাই। তাই বুঝি একজন নারীর বিবিস্ত্র করার দৃশ্য তোমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবা?
কেনো, তোমাদের বহুল ব্যবহৃত সেই গুলি, টিয়ারসেল, রাবারবুলেট তখন কোথায় ছিলো? কথায় কথায় যেগুলো ব্যবহার করেছো তোমরা?
রাস্তায় নারায়ে তাকবীর স্লোগান শুনামাত্রই দেখি বাছবিচার ছাড়াই নির্বিচারে গুলি করতে থাকো। যেনোতোনো গুলি নয়, একেবারে প্রাণঘাতি গুলি!
নারায়ে তাকবির স্লোগানওয়ালারা তো কারো ক্ষতি করছিলোনা। তাইলে তাদেরকে গুলি কেনো?
তাইলে কি দেশে নারায়ে তাকবীর স্লোগান নিষিদ্ধ? আর নারীকে বিবস্ত্র করা সিদ্ধ??
যে নারীকে বিবস্ত্র করা হয়েছে, সেই নারীর জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা আমার নেই। কারন ওরা যেই চেতনার চর্চা করতে সেখানে গেছে, সেই চেতনার ফলাফলই এটা। এটাই তাদের প্রাপ্য। এতে বরং আমি খুশি হয়েছি। কিন্তু বীরপুরুষ সেই পুলিশদের চেতনা এক্ষেত্রে নির্জিব কেনো সেটা নিয়েই আমার যত জ্বালা।
কি জানি হয়তো তারাও চেতনার চর্চা করতে গেয়ে বস্ত্র উন্মোচন উপভোগ করেছে। পুলিশ বলে তারা কি মানুষ না?
সে যাই হোক, এসব চেতনাধারীদের চেতনা যে দিন দিন অধপতনে যাচ্ছে তারই জানান দিতে তাদের চেতনায় হুল ফোটানো একটি খবর দিয়েই শেষ করবো।
বর্তমানে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা ক্রমেই যেমন বাড়ছে, তেমনি সাথে সাথে শরিয়া-সম্মত পোশাকের বাজারও বিকশিত হচ্ছে। বিস্তারিত পড়ুন ইসলামি পোশাকের ব্যবসায় রমরমা
বিষয়: বিবিধ
১৩৪০৫ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে সরকার বিরোধী কোন কর্মকাণ্ড হয়নি, বরং সরকারের চেতনার পক্ষে কাজ হয়েছে। এই চেতনা ধরে রাখতে পারলে আগামীতে বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ডে এই রকম ঘটনা হরহামেশাই ঘটবে.....! আমরাও গুম খুনের রাজনীতির মতো গা সওয়া হয়ে যাবো।।
আর এ রকম কুসংসকৃতি থেকে বের হতে হলে ধর্মীয় সংস্কৃতি অবশ্যই জরুরী!
আর এ রকম কুসংসকৃতি থেকে বের হতে হলে ধর্মীয় সংস্কৃতি অবশ্যই জরুরী!
সহমত
সুতরাং, তাদের সামান্য হাঁসতে দাও, অতঃপর তারা অনেক বেশি কাঁদবে, এটা হল তাদের (কৃতকর্মের) পুরস্কার যা তারা উপার্জন করতো। (সুরাহ তওবাহ, ৮২)"
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
আশ্চর্যের ব্যপার হলো, যে ছবিটি নিয়ে এত হইহুল্লোড়, সেই ছবিতে আসলে কোনো মেয়েই নেই, লাল বৃত্ত চিহ্নিত স্থানে মূলত শ্লীলতাহানির ছবি তুলতে গেলে যেই সাংবাদিককে মারধর করা হয়, তার ছবি..!!! হা হা হা... তবে শ্লীলতাহানি হয়েছে, বিবস্ত্র করা হয়েছে এটা ঠিকাছে..। সেই ছবি কেউ তুলতে পারেনি। আমি অবশ্য আমার লেখায় ঐ ছবির কোনো বিবরন উল্লেখ করিনি। এই ছবিটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। আমার লেখায় ঢাবি এলাকার বিবরন এসেছে। তবে ঘটনা দুটাই ঠিকাছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন