বাদ যায়নি সাংবাদিক-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ১২ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:১৮:০২ দুপুর



শিশুর মত ডুকরে কাঁদছেন একজন গ্রাম পুলিশ।

কার জন্য কাঁদছেন? সেই ব্যাক্তি তার কি হন? গ্রামের কত মানুষই তো মারা যায়। কই এমন কাঁদতে তো দেখিনি কাউকে!!

কিসির এত মায়া? কিসের এত দরদ?

এ দরদ কার জন্য? একজন খুনি কামারুজ্জামানের জন্য? একজন ধর্ষকের জন্য? এ কেমন খুনি, কেমন ধর্ষক?

হাজার হাজার অপেক্ষমান মানুষকে জানাজায় অংশগ্রহন করতে দেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানাজা শেষে নিরাপত্তা শিথিল হওয়ার সাথে সাথে নারী-পুরুষ আম জনতার ঢল নামে (ভিডিও লিংক)

শোকাতুর এলাকাবাসীর আহাজারিতে তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। এলাকাবাসীর মাতম দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যের চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে।

(প্রথম ছবিতে) গ্রাম পুলিশটির পিছনে দাঁড়ানো এটিএন নিউজের সাংবাদিকের চেহারার দিকে একটু ভালো করে দেখুন। সেও অস্রুশিক্ত। এ অস্রু কার জন্য? একজন খুনির জন্য?

সারারাত ঘুমায়নি হাজার হাজার জনতা। প্রিয় নেতাকে শেষ দেখার অপেক্ষায় ছিলো। এরা সবাই তরুন নয়। এদের বেশির ভাগই বয়ষ্ক। যারা ৭১ সালেও জীবিত ছিলেন। তারা কামারুজ্জামানের তখনকার কার্যকলাপের চাক্ষুস সাক্ষী। কামারুজ্জামান খুনি ধর্ষক হলে তারা এখানে আসতো?

কোথায় সেই তথাকথিত বিরুধীতাকারীরা? যারা শেরপুরে কামারুজ্জামানের দাফনের বিরোধীতা করেছিলো?

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা ঠেলে হাজার হাজার আমজনতা কামারুজ্জামানকে কেবল এক নজর দেখতে আসতে পেরেছে, তাদের একজনকেও কেনো দেখা যায়নি দূরে কোথাও দাঁড়িয়েও বিরুধীতা করতে?

মিডিয়া অনেক আশা করেছিলো এমন কাউকে পাবে। তখন ফলাও করে প্রচার করবে। কিন্তু মাইক্রোস্কোপ দিয়েও কাউকে খুঁজে পায়নি তারা।



জানাজা শেষে মুনাজাতে বাচ্চা ছেলের মত কেঁদেছে তরুন যুবক বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই। যেই দৃশ্য মিডিয়া দেখেও দেখেনি। এই দৃশ্য মিডিয়ায় স্থান পায়নি। অথচ কোথাকার কোন বায়বীয় বিরোধীতার খবর প্রচার করতে ঠিকই উঠে পড়ে লেগেছে!!!

কারাফটকের ভি চিহ্ন তাদের অন্তরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা এটাকে ঐদ্ধত্য বলছে।

হুম, অবশ্যই এটা ঐদ্ধত্য। এই ঐদ্ধত্য জালিমের বিরুদ্ধে। এই ঐদ্ধত্য বাতিলের বিরুদ্ধে। এটাই তো হকপন্থি বীরের বৈশিষ্ট্য।

সত্য ও ন্যায়ের জন্য যারা হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়, তারাই তো সর্বশ্রেষ্ট বীর।

জান্নাতের পাখি সেই বীরকে সশ্রদ্ধ সালাম।



বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

314451
১২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৯
255389
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
314459
১২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৮
255388
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ। ছোট ভাইয়াই ভালো ছিলো। শ্রদ্ধা তো বড়দের জন্য।
314477
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
লাল সবুজ লিখেছেন : কোনভাবে হিসাব মিলাতে পারছে না মানুষ,বর্তমানে ২৫ বছর বয়সে কোন সংঘঠনের প্রধান হওয়া যায় না। অথচ ১৮ বছর বয়ষে কামরুজ্জামান সাহেব কিভাবে আল বদরের কমান্ডার হলেন, আর এত ধর্ষন করলেন। আল্লাহ উনাকে শহিদের মর্যাদা দান করুন।
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৫
255424
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আমিন।
314482
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
255425
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্সালাম। শুকরিয়া।
314483
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
শেখের পোলা লিখেছেন : হিসাব মিলবে কেয়ামতের দিন৷ আল্লাহ আমার যায়গা যেখানেই হোক, সেখানে যাবার আগে এই জালিমদের বিচার কাজ যেন দেখতে পাই৷ এই দোওয়া করি৷
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৮
255426
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আমারো একই কামনা ভাই।
314487
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আমারো একই কামনা ভাই।
314521
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভাষাহীন।
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:১৩
255436
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ..............
314556
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৪৮
মৃনাল হাসান লিখেছেন : অনেক দূর থেকে আমিও কেঁদেছি।
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৯
255453
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : কেঁদেছে প্রতিটি সুস্থ হৃদয়....।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File