১৯ বছরের তরুণের নির্দেশ তামিল করলেন মেজর-কর্ণেলরা!!

লিখেছেন লিখেছেন আহমেদ ফিরোজ ০৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৫৪:২৩ দুপুর



সত্যি এ এক বিরল দৃষ্টান্ত! মাত্র ১৯ বছর বয়সের একজন তরুন নির্দেশ দিলেন সেনাবাহীনির প্রাপ্তবয়ষ্ক মেজর, কর্ণেল আর ব্রিগেডিয়ারদের। আর সাথে সাথেই তারা নত মস্তকে তা তামিল করলেন!!

না, এই তরুন সেকালের কোনো রাজার আদরের পুত্র ছিলেন না যে মেজর সাহেবরা নির্দেশ তামিল করতে বাধ্য ছিলেন। তিনি সাধারন একজন তরুণই ছিলেন।

সেই বিস্ময়কর তরুণের কথা একটু পরেই বলি, আগে কিছু আইকিউ টেষ্ট-

> এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হলো। এখন সাক্ষী বিচারককে বলছে, আমি তাকে সরাসরি হত্যা করতে দেখিনি, সাইদুরের কাছে শুনেছি। সাইদুর বলেছিলো সেও নাকি নিজে দেখেনি, মকবুলের কাছে শুনেছে।জানা গেলো মকবুল এখনো জীবিত থাকা সত্বেও তাকে সাক্ষী করা হয়নি।

এবার আপনাকে বলতে হবে এটা বিচার? নাকি তামাশা??

> আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো অনেক বছর আগে আপনি জনৈক প্রিন্সিপালকে নির্যাতন করেছেন। ৩ জন সাক্ষী জবানবন্দীতে ঘটনাটি ঘটার ৩ রকম তারিখের কথা বললেন। আশ্চর্যের ব্যপার হলো, যাকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই প্রিন্সিপাল এখনো জীবিত থাকলেও তাকে সাক্ষী করা হয়নি। এমনকি অভিযুক্ত ব্যাক্তি বলার পরও তাকে হাজির করা হয়নি।

আপনাকে বলতে হবে, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি আছে?

> জনৈক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো সে যুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষ মেরে লাশ ট্রাকে করে আক্কেলপুর থেকে বেআক্কেলপুরে নিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে জানা গেলো সেই যুদ্ধের সময় আক্কেলপুর থেকে বেআক্কেলপুরে ট্রাক চলাচলের কোনো রাস্তাই ছিলো না।

আপনাকে বলতে হবে, এই অভিযোগ যদি বিচারক বিশ্বাস করে তাহলে সেই বিচার কি আক্কেল? নাকি বেয়াক্কেল?

> আপনি ধর্ষণ করেছেন। না মানে ধরে নেন একজন অভিযোগ করলো যে আপনি তাকে ধর্ষণ করেছেন। এখন বিচারকের সামনে ঐ ধর্ষিতা(অন্য কারো দ্বারা ধর্ষিতা হতে পারে) বললো যে, ধর্ষণের অনেক পর থেকে তিনি ধর্ষককে(?) চিনেন, তবে মুরব্বিদের কাছ থেকে শুনেছেন এই ব্যাক্তি নাকি তাকে ধর্ষণ করেছে!!!

আপনাকে বলতে হবে…, না না এবার আপনাকে কিছুই বলতে হবেনা, জাষ্ট জানতে চাই এই কাহিনী শুনার পর আপনি সজ্ঞানে আছেন তো? নাকি মূর্ছা গেলেন?



এবার আসি সেই তরুণের কথায়। যার অঙ্গুলি হেলনে কাত চিত হতো মেজর কর্ণেলরা।

হুম…. উপরোক্ত কাহিনীগুলো একটিও বানোয়াট নয়। অনেকে হয়তো ইতোমধ্যেই আঁচ করে ফেলেছেন।

উপরোক্ত অভিযোগগুলো যার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। সেই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগও আনা হয়েছে যে, তিনি নাকি ৪০ বছর আগে মেজর কর্ণেলদের নির্দেশ দিয়ে শত শত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যখন তিনি ছিলেন মাত্র ১৯ বছরের স্কুল বা কলেজ পড়ুয়া তরুণ!!

এসব অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়ে দিয়েছে কিছু বিচারক! যেই বিচারকরা সেই অলমাঈটি মহা বিচারকের কথা বেমালুম ভুলে গেছে!!

এবার নিশ্চই চিনতে পেরেছেন এককালের সেই তরুণকে।

প্রতিমূহুর্তে জান্নাতের প্রহর গুণতে থাকা সেই তরুণের জন্য সবাই দোয়া করবেন, প্লীজ....।

হয়তো তিনি জান্নাতে গিয়ে সত্যি সত্যিই নির্দেশ দিবেন আল্লাহর নিয়োজিত মেজর কর্ণেলদের....

বিষয়: বিবিধ

২০১৫ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

313250
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:০২
খান জুলহাস লিখেছেন : ধন্যবাদ
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
254267
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনিও ব্লগে আছেন দেখি...। খুশি হলাম।
313251
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:০৭
খান জুলহাস লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:১১
254272
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আমি নিজেও নতুন চালিয়ে যান..।
313252
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৩০
হতভাগা লিখেছেন : সাঈদী , কাদের মোল্লারা যুদ্ধ করেছিলেন । পাকিস্তানের পক্ষে ।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:০৩
254271
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : তাইতো, যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গা তো তাই বলে..। যুদ্ধ করা ছাড়াতো যুদ্ধাপরাধী হওয়া যায়না।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩২
254295
হতভাগা লিখেছেন : ঠিকই , তবে সমস্যা হল যারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে তারা কেন পাকিস্তানে না গিয়ে বাংলাদেশে পড়ে আছে ?

এরকম বাংলাদেশী কেউ যদি পাকিস্তানে থেকে থাকে সে কি পাকিস্তানীদের নজরে ভাল থাকবে ?
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩৮
254313
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : এক নাম্বার কথা হচ্ছে তারা যুদ্ধ করেনাই। আর যুদ্ধরত অবস্থায় অপরাধ করাকেই যুদ্ধাপরাধ বলে। সে হিসেবে তারা ঐ কোটায় পড়েনাই। এজন্যই যুদ্ধাপরাধ বাদ দিয়ে নতুন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা ছড়ানো হয়। আর কথা হলো কোথাও যুদ্ধ বাধলে তার পক্ষে বিপক্ষে থাকার অধিকার সবার আছে, এটা অপরাধ নয়। এটা আওয়ামী আর শাহাবাগীরাও মানে। তাই তারা ঐটার বিচার করছেনা, করছে ঐসময় সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের। আর তখনকার মূল অপরাধী যারা তাদের বিচার না করে সরকার নিজ স্বার্থ হাসিলে জামায়াতের নেতাদের বিচার করছে। জামায়াত নেতারা পক্ষপাতিত্ব করলেও কোনো অপরাধ সংঘঠিত করেননি। তাই তারা একটি অপরাধেরও চাক্ষুস বা ভালো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। কারন তারা এসব করেনি।

আর তখন তারা কেনো পাকিস্তান দুখন্ড হয়ে যাক সেটাকে সমর্থন করেনি সেটা বর্তমানে ভারতের গোলামী দেখলে নিশ্চই এখন বুঝিয়ে বলা লাগবেনা। আর যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগেও কেউ স্বাধীনতা শব্দটিও উচ্চারন করেনি। সে বিশাল আলোচনার ব্যপার। তখন সকল দেশপ্রেমিক আর ইসলামী মাইণ্ডের লোকই যুদ্ধের বিপক্ষে ছিলো। কারন দ্বিজাতি তত্বের মাধ্যমে ভারত পাকিস্থান আলাদা হইছিলোই মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ একটি দেশ পাওয়ার জন্য। সেই দেশ কে ভাংতে চায় বলেন?
আর আমার জন্মভূমি এটা আমি পূর্ব পাকিস্তান যাবো কেনো?
313255
০৬ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৮
শফিউর রহমান লিখেছেন : …, না না এবার আপনাকে কিছুই বলতে হবেনা, জাষ্ট জানতে চাই এই কাহিনী শুনার পর আপনি সজ্ঞানে আছেন তো? নাকি মুর্ছা গেলেন?

আমরা জাতীগতভাবে সবাই সজ্ঞানে আছি। কোন কথা বা ঘটনাই আমাদের চেতনাহীন করতে পারে না। আর তাইতো আমরা এখনোও তেমন কোন চিন্তা ছাড়াই সব কিছুই সহ্য করে যাচ্ছি।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
254282
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাই। আমরা সব সয়ে গেছি আসলে। আমরা বলতে পুরো মুসলিম সমাজেরই এক অবস্থা। চোর নিজ ঘরের টিন খুলে নিয়ে গেলেও আমরা ধৈর্য ধরে থাকি।
313257
০৬ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আমাদের পুরা জাতি ই যে আজ অজ্ঞান হয়ে আছি।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৯
254283
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ঠিক ভাই। কখন জ্ঞান ফিরবে কে জানে...। পাঞ্জেরী, জ্ঞান ফিরিবার কত দেরি...।
313284
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪৪
আশাবাদী যুবক লিখেছেন : যারা সাক্ষী দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বয়স ছিল কারো ২ বছর কারো ৫ বছর ৷ আইনে ১২ বছরের নিচে কারো সাক্ষী গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কিন্তু জনৈক এই ব্যাক্তির ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গের নির্লজ্জ ঘটনা ঘটেছে ৷
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৩
254308
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আইন ভঙ্গ করলেও মোটামোটি ভদ্রতার মধ্যে পড়তো। ওরা তারচেয়েও বেশি করেছে।
313292
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : ধিক্কার জানাই ঐ সব বিচারকদের আর যারা এই বিচারিক কাজ শুরু করেছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে৷
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৪
254309
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : যাদের স্থান জাহান্নামে তাদের জন্য ধিক্কারের পাশাপাশি মায়াও লাগে....।
313303
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৩২
মৃনাল হাসান লিখেছেন : অনেক নবীকে কাফেররা হত্যা করেছে, মিথ্যা অজুহাতে। সেই কাফেরদের বংশধররাই আজ পৃথিবীর ক্ষমতাশালী। তারা তো চাইবেই যারা নবীদের দেখানো পথে চলবে, তাদের হত্যা করতে। এটা ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। নবীদের মত পুতঃপবিত্র চরিত্রের লোকেরাও এদের হাত থেকে রেহাই পাইনি। সেখানে কামারুজ্জামান তো একজন সাধারন মানুষ। আর এরকম অন্যায় যদি পৃথিবীতে সংঘঠিত নাই হয়, তাহলে রাসুলের (স) ভবিষ্যত বানী সত্য হবে কি করে? ইমাম মাহাদী, ঈসা মসীহের আগমনের প্রেক্ষাপট তো তৈরি হতে হবে। আর কিয়ামত সংঘঠিত হতে হলে, মুমিনদের উপর এমন অন্যায়, জুলুম হতে হবে।
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:১৬
254312
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : সেটাতো অবশ্যই ভাই। আল্লাহ তো তাঁর প্রিয়দেরকেই পরীক্ষা করেন। বাতিল না থাকলে তো হকের কোনো দাম বা মূল্যই বুঝা যায়না। তবে পাশাপাশি প্রতিবাদও তো ফরয। এটা না হয় আমার লৈখিক প্রতিবাদ।
313330
০৬ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:২৮
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট ভাই। জুলুমবাজ ও অন্যায়কারী সেইদিনের শেষ আল্লাহ্‌র বিচারে কেহই রেহাই পাবে না। অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:১১
254332
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আস্সালাম। কেউ আমাকে ছোট ভাই বললে এত ভালো লাগে সত্যি বলে বুঝাতে পারবোনা। আপনাকে ধন্যবাদ। মজলুমের শেষ ভরসাই হচ্ছে শেষ বিচারের অপেক্ষায় থাকা। আজ আমরা সবাই নিজে থেকেই যেনো মজলুম হয়ে গেছি!!!!!
১০
313349
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:০৭
আল্লারাখা লিখেছেন : শহীদেরা তাদের সর্বোচ্চ কাজ করলেন, আমাদের কাজ তাদের উপর যে মিথ্যা আরোপ করা হয়েছে- তা জাতির সামনে উন্মোচন করা। আপনার এ লেখা সবালীলভাবে, যৌক্তিকভাবে সে কাজটিই করলো। এগিয়ে যান।
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১২:২৮
254333
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সত্য উন্মোচনের তাওপিক দান করুন।
১১
313521
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:৫৪
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগল অনেক ধন্যবাদ
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৫
254523
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
১২
313645
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৩
খান জুলহাস লিখেছেন : আহমেদ ফিরোজ ভাই কাদের কাছে ন্যায় বিচার চাইছেন? যে দেশের প্রধান বিচার হয় কোটা পদ্ধতিতে যা আবার রাজনৈতিক কোটায়। সেখানে ঐ রাজনৈতিক পতিপক্ষের নেতাদের ফাঁসি দিবে এটাই স্বাভাবিক। নইলে কোটা পদ্ধতিতে নিয়োগ দিয়ে লাভ কি? এ দেশের বিচারালয় নয়, আওয়ামী লীগের দলীয় বিচারালয়।
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
254590
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।
তবে আমি কিন্তু তাদের কাছে বিচার চাইনি। কেবল বিচারের স্বরুপটা তুলে ধরেছি আর আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File