আমাদের পুলিশ!

লিখেছেন লিখেছেন সোজা সাপ্টা ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৩৩:৩৫ বিকাল

ঘটনা-১

এই তো সেদিন সকালে বুলবুল ভাই ইন্ডিয়ান দূতাবাসে গেলেন। তার হাতে থাকা ল্যাপটপ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে বাধা দিল নিরাপাত্তা কর্মীরা। বাধার সম্মূখীন হয়ে ল্যাপটপ রাখার জন্য ছুটলেন রিসিপসনে বসা বেশ মোটা-সোটা কিছু বয়স্ক মহিলার কাছে। এরা মূলত মানুষের জিনিসপত্র রাখার কাজই করে। তবে সেটা অর্থের বিনিময়ে। বুলবুল ভাই সেদিকে এগুলেন ল্যাপটপ রাখার জন্য। এই ল্যাপটপ কে রাখাবে সেটার জন্য বয়স্ক মহিলারা আয়োজন করে ঝগড়া করে! অথচ এদের টাকার বিনিময়ে মানুষের জিনিসপত্র দেখে রাখার দায়িত্ব না। অনেকটা নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশের নিরাপাত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের কাছে পরামর্শের জন্য গেলেন। দায়িত্বরত এক কর্মকর্তকে জিগাসা করলেন “এখানে দায়িত্বে থাকা মহিলাদের কাছে ল্যাপটপ রাখা কি নিরাপদ?। পুলিশ না সরুপ মাথা ঝাকাল। অবস্থা বুঝে বুলবুল ভাই পুলিশ বক্সে ল্যাপটপ রাখার অনুরোধ করলেন। পুলিশ কিছুই বলছে না। পাশ থেকে অন্য পুলিশ হাত ইশারা করার সাথে সাথে বুলবুল ভাইর কাছ থেকে ল্যাপটপ নিল পুলিশ। বুলবুল ভাইর এসব দেখে প্রচন্ড টেনশন নিয়ে ইন্টারভিউ শেষ করলেন। কাজ শেষে বাহির হওয়ার সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা সরুপ ধন্যবাদ জানালেন পুলিশ কর্মকর্তাকে। সরাসরি পুলিশ ধন্যবাদ গ্রহণ না করে কিছু খরচ দাবি করল! বিমূঢ় বুলবুল ভাই কি করবেন ভেবে লজ্জা পাচ্ছিলেন! ভাবলেন ১০০ টাকা দেব? নাকি ৫০ টাকা দেব? এসব ভাবতে ভাবতেই পুলিশকে জিগাসা করলেন টাকাটা কি এখানে মানুষের সামনে….। পুলিশ বলল অসুবিধা নেই। বুলবুল ভাই আবার ভাবলেন হয়তো এরা ৫ টাকা দিলেও নিলজ্জের মত নিতে দ্বিধা করবে না। যেহেতু তার লজ্জা নেই আমার লজ্জা দেখিয়ে লজ্জা নামক শব্দটিরর অপমান করে লাভ কি? ভাবতে ভাবতেই লাজুক ভঙ্গিতে ২০ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিলেন। সাথে সাথেই পুলিশ তাকে অটো ধন্যবাদ দিয়ে টাকাটা দেখে পকেটে রাখলেন! সাথে কৃত্রিম একটা দূনীর্তির নগ্ন হাসি ছিল। তার এই হাসিতে ছিল বাংঙ্গালীর কলংক। দৃশ্যমান চাদাবাজির কৃজ্ঞতার কমতি ছিলনা। অসীম সাহসের ভয়াবহ পুরস্কারসহ আরো অনেক কিছু ছিল। এই হচ্ছে আমাদের দেশের পুলিশের চালচিত্রের ক্ষুদ্র অংশ বিশেষ! (চলবে)

বিষয়: বিবিধ

১০১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File