কুরআন হাদিসের আলোকে পীর মুরিদী

লিখেছেন লিখেছেন শাহাদাৎ ২২ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:২৪:১৭ সন্ধ্যা

,

পুরোটা না পড়ে কেউ মন্তব্য করবেন না।

,

ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ

পীর-মুরীদ কাকে বলে?

পীর শব্দটি ফার্সি। আরবীতে বলা হয়

মুরশীদ। মুরশীদ শব্দের অর্থ হল পথপ্রদর্শক।

যিনি আল্লাহর আদেশ নিষেধ আল্লাহ

তাআলা যেভাবে চান সেভাবে পালন

করার প্রশিক্ষণ দেন তার নাম মুরশীদ বা

পথপ্রদর্শক। যাকে ফার্সীতে বলে পীর।

“মুরীদ” শব্দটিও আরবী। যার অর্থ হল

ইচ্ছাপোষণকারী। যে ব্যক্তি আল্লাহর

আদেশ নিষেধ আল্লাহ তাআলা যেভাবে

চান সেভাবে পালন করার ইচ্ছা পোষণ

করে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির হাত ধরে শপথ

করে, সে ব্যক্তির নাম হল “মুরীদ”।

এ ব্যাখ্যা থেকে একথা স্পষ্ট হল যে, পীর

হবেন শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন করার

প্রশিক্ষণদাতা। আর যিনি সে প্রশিক্ষণ

নিতে চায় সে শিক্ষার্থীর নাম হল

“মুরীদ”।

সুতরাং যে ব্যক্তি নিজেই শরীয়তের

বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা

করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা

শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন

করে না, সে ব্যক্তি কিছুতেই পীর তথা

মুর্শীদ হতে পারে না। কারণ তার নিজের

মাঝেই যখন শরীয়ত নেই, সে কিভাবে

অন্যকে শরীয়তের উপর আমল করা প্রশিক্ষণ

দিবে? নিজেইতো প্রশিক্ষিত নয়।

আর পীর মুরীদির এ পদ্ধতি রাসূল সাঃ

থেকে চলে আসছে। রাসূল সাঃ

সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ

দিতেন। সাহাবারা রাসূল সাঃ এর কাছ

থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল

সাঃ হলেন সবচে’ প্রথম ও বড় পীর, ও

সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ।

কুরআন হাদীসে পীর মুরিদীর প্রমাণ

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ

করেছেন-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ

( 119 )

অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর

সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা

তাওবা-১১৯)

এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে

বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া

হয়েছে।

ﺍﻫْﺪِﻧَﺎ ﺍﻟﺼِّﺮَﺍﻁَ ﺍﻟْﻤُﺴْﺘَﻘِﻴﻢَ (6 ) ﺻِﺮَﺍﻁَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ

অনুবাদ-আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে

মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার

নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ। {সূরা

ফাতিহা-৬,৭}

সূরায়ে ফাতিয়ায় মহান রাব্বুল আলামীন

তাঁর নিয়ামাতপ্রাপ্ত বান্দারা যে পথে

চলেছেন সেটাকে সাব্যস্ত করেছেন

সীরাতে মুস্তাকিম।

আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন-

ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃَﻧْﻌَﻢَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻴِّﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺼِّﺪِّﻳﻘِﻴﻦَ ﻭَﺍﻟﺸُّﻬَﺪَﺍﺀِ

ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ

অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা

নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ,

সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ।

{সূরা নিসা-৬৯}

এ দু’ আয়াত একথাই প্রমাণ করছে যে,

নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা হলেন নবীগণ,

সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, আর নেককারগণ, আর

তাদের পথই সরল সঠিক তথা সীরাতে

মুস্তাকিম। অর্থাৎ তাদের অনুসরণ করলেই

সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলা হয়ে

যাবে।

যেহেতু আমরা নবী দেখিনি, দেখিনি

সিদ্দীকগণও, দেখিনি শহীদদের। তাই

আমাদের সাধারণ মানুষদের কুরআন সুন্নাহ

থেকে বের করে সীরাতে মুস্তাকিমের

উপর চলার চেয়ে একজন পূর্ণ শরীয়তপন্থী

হক্কানী বুযুর্গের অনুসরণ করার দ্বারা

সীরাতে মুস্তাকিমের উপর চলাটা হবে

সবচে’ সহজ। আর একজন শরীয়ত সম্পর্কে

প্রাজ্ঞ আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তির সাহচর্য

গ্রহণ করার নামই হল পীর মুরিদী।

রাসূলে কারীম সাঃ একাধিক স্থানে

নেককার ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণ করার

প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। যেমন-

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻮﺳﻰ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ

ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ( ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺠﻠﻴﺲ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻭﺍﻟﺴﻮﺀ ﻛﺤﺎﻣﻞ

ﺍﻟﻤﺴﻚ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ ﻓﺤﺎﻣﻞ ﺍﻟﻤﺴﻚ ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺬﻳﻚ ﻭﺇﻣﺎ

ﺃﻥ ﺗﺒﺘﺎﻉ ﻣﻨﻪ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﻣﻨﻪ ﺭﻳﺤﺎ ﻃﻴﺒﺔ ﻭﻧﺎﻓﺦ ﺍﻟﻜﻴﺮ

ﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﻳﺤﺮﻕ ﺛﻴﺎﺑﻚ ﻭﺇﻣﺎ ﺃﻥ ﺗﺠﺪ ﺭﻳﺤﺎ ﺧﺒﻴﺜﺔ )

অনুবাদ-হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত।

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-সৎসঙ্গ আর অসৎ

সঙ্গের উদাহরণ হচ্ছে মেশক বহনকারী আর

আগুনের পাত্রে ফুঁকদানকারীর মত। মেশক

বহনকারী হয় তোমাকে কিছু দান করবে

কিংবা তুমি নিজে কিছু খরীদ করবে। আর

যে ব্যক্তি আগুনের পাত্রে ফুঁক দেয় সে

হয়তো তোমার কাপড় জ্বালিয়ে দিবে,

অথবা ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তুমি আর কিছুই

পাবে না। {সহীহ বুখারী, হাদীস

নং-৫২১৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৬৮৬০,

মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩১৯০,

সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৮৩১, সহীহ

ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬১, মুসনাদে

আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪২৯৫, মুসনাদে

আহমাদ, হাদীস নং-১৯৬৬০, মুসনাদুল

হুমায়দী, হাদীস নং-৭৭০, মুসনাদুশ শামীন,

হাদীস নং-২৬২২, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস

নং-১৩৭৭, মুসনাদে তায়ালিসী, হাদীস

নং-৫১৫}

এছাড়াও অনেক হাদীস নেককার ও বুযুর্গ

ব্যক্তিদের সাহচর্য গ্রহণের প্রতি তাগিদ

বহন করে। আর সবচে’ বড় কথা হল-বর্তমান

সময়ে অধিকাংশ মানুষই দ্বীন বিমুখ।

যারাও দ্বীনমুখী, তাদের অধিকাংশই

কুরআন হাদীসের আরবী ইবারতই

সঠিকভাবে পড়তে জানে না, এর অর্থ

জানবেতো দূরে থাক। আর যারাও বাংলা

বা অনুবাদ পড়ে বুঝে, তাদের অধিকাংশই

আয়াত বা হাদীসের পূর্বাপর হুকুম, বা এ

বিধানের প্রেক্ষাপট, বিধানটি কোন

সময়ের জন্য, কাদের জন্য ইত্যাদী বিষয়ে

সম্যক অবহিত হতে পারে না। তাই বর্তমান

সময়ে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে কুরআন

সুন্নাহ থেকে নিজে বের করে আল্লাহ

তাআলার উদ্দিষ্ট সীরাতে মুস্তাকিমে

চলা বান্দার জন্য কষ্টসাধ্য। তাই আল্লাহ

তাআলা সহজ পথ বাতলে দিলেন একজন

বুযুর্গের পথ অনুসরণ করবে, তো সীরাতে

মুস্তাকিমেরই অনুসরণ হয়ে যাবে।

কিন্তু কথা হচ্ছে যার অনুসরণ করা হবে সে

অবশ্যই সীরাতে মুস্তাকিমের পথিক হতে

হবে। অর্থাৎ লোকটি {মুরশীদ বা পীর} এর

মাঝে থাকতে হবে শরীয়তের পূর্ণ অনুসরণ।

বাহ্যিক গোনাহ থেকে হতে হবে মুক্ত।

কুরআন সুন্নাহ সম্পর্কে হতে হবে প্রাজ্ঞ।

রাসূল সাঃ এর সুন্নাতের উপর হতে হবে

অবিচল। এমন গুনের অধিকারী কোন ব্যক্তি

যদি পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছে

গিয়ে তার কথা মত দ্বীনে শরীয়ত মানার

নামই হল পীর মুরিদী। এরই নির্দেশ আল্লাহ

তাআলা কুরআনে দিয়েছেন-

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻛُﻮﻧُﻮﺍ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺼَّﺎﺩِﻗِﻴﻦَ

( 119 )

অনুবাদ-হে মুমিনরা! আল্লাহকে ভয় কর, আর

সৎকর্মপরায়নশীলদের সাথে থাক। {সূরা

তাওবা-১১৯)

বিঃদ্রঃ আখেরাতে নাজাত পাওয়ার

জন্য মুরীদ হওয়া জরুরী নয়। তবে একজন

হক্কানী পীরের কাছে মুরীদ হলে

শরীয়তের বিধান পালন ও নিষিদ্ধ বিষয়

ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্ঠা আসে

মুরুব্বীর কাছে জবাবদিহিতা থাকার দরুন।

সেই সাথে আল্লাহর ভয়, ইবাদতে আগ্রহ

সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে বেদআতি, ভন্ড,

মাজারপূজারী, বেপর্দা পীরের কাছে

মুরিদ হলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ

সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে আটরশী,

দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী, মাইজভান্ডারী,

রাজারবাগী, ফুলতলী, মানিকগঞ্জী,

কেল্লাবাবা ইত্যাদী পীর সাহেবের

দরবারে গেলে ঈমানহারা হওয়ার সমূহ

সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাবধান পীর

নির্ধারণের ক্ষেত্রে।

বিষয়: বিবিধ

৩৪৬৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337594
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:৫২
sarkar লিখেছেন : আপনি লেখার যবনিকায় ডালাওভাবে যাদের সমালোচনা করেছেন তাতে আমার যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে।না জেনে কারো নামে কুৎসা রটনা করা নিতান্তই নুংড়ামী।শরিয়তের পরিভাষায় যাকে বলে গীবত।যাক সে সব।আশা করব পরবর্তী লিখায় এগুলি মাথায় রাখবেন।এবার কাজের কথায় আসি।আপনি আপনার লিখায় দেওয়ানবাগীর কথা বলেছেন।সে আসলে পীর নয়।সে হল জাহান্নামের শেষ দরজার কুখ্যাত কাফের।যেটা বাংলাদেশের প্রায় সব মুফতিদের ফতোয়া।রাজারবাগী সেই যথেষ্ট বিতর্কিত।কেল্লাবাবা সে কোন পীর নয়।সেখানে কেল্লাবাবার মাজার আছে।মাজারে গিয়ে যদি কেই শরিয়ত বিরোধী কাজ করে এর দায়িত্ব যার যার।সে এক জন আল্লাহর অলি।আর বাকী যে দরবার গুলির কথা আপনি বলেছেন সেটা নাতান্তই মিথ্যা কথা। ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
279517
শাহাদাৎ লিখেছেন : আপনে পুড়ো টা পরে কথা বলবেন আমি ভন্ডদের ভন্ডই বলচি ভাই
337620
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৭
নাবিক লিখেছেন : কেউ যদি সরাসরি কোরান হাদিস থেকে শিক্ষা নিয়ে রাসূলের সুন্নাহর উপর আমল করে চলে, তাহলে কি তার পীরের মুরীদ হওয়ার কোন আবশ্যকতা আছে?

বাংলাদেশ এখন সবচেয়ে লাভ জনক ব্যবসা হলো পীর ব্যবসা। পীর সাহেবদের রাজার হালে চলাফেরা দেখে সেটাই বুঝা যায়। পীর সাহেবরা এসি ফিট করা মার্সিডিস গারি ছাড়া চলতে পারেন না। আলীশান অট্টালিকা না হলেও তাদের চলেনা। এগুলো রাসূলের আদর্শ?
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:২১
279278
শাহাদাৎ লিখেছেন : আপনার জন্মের পর মা বলে ছিল ওটা বাবা তাই শিখচেন তাহলে কেউ শিক্ষা না দিলে কিভাবে শিখবেন,,,হাদিস যে কুরআন পড়ে অন্যকে শিখায়____________
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:২৯
279280
নাবিক লিখেছেন : পীর আর শিক্ষক কি এক জিনিস? তাহলতো আমার স্কুল বা মাদরাসার সব শিক্ষরাই আমার পীর। নতুন করে পীর ধরার দরকারটা কী?
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩৪
279285
নাবিক লিখেছেন : পীর আর শিক্ষক কি একই জিনিস? তাহলেতো আমার স্কুল বা মাদরাসার সব শিক্ষরাই আমার পীর। নতুন করে পীর ধরার দরকারটা কী?
337624
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:২৭
শাহাদাৎ লিখেছেন : একটু পিচনে তাকান শাহ জালাল শাহ পরাণ (র) বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী রঃ কি?
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৪১
279286
নাবিক লিখেছেন : জ্বি উনারা পীর বা শিক্ষক ছিলেন। তবে এখনকার পীরদের মতো উনারা ব্যবসা করতেন না।

আমি যেটা বলছি, সেটা ভালো করে বুঝে তারপর বলুন, যে ব্যক্তি কোরান হাদিসে পারদর্শী, যিনি কোরান হাদিস পড়তে ও বুঝতে পারেন এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারেন। তার কি পীর ধরার আবশ্যকতা আছে?
337628
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৫১
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি লিখেছেন, 'রাসূল সাঃ সাহাবাদের আল্লাহমুখী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতেন। সাহাবারা রাসূল সাঃ এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতেন। বলা যায় রাসূল সাঃ হলেন সবচে’ প্রথম ও বড় পীর, ও সাহাবায়ে কিরাম হলেন প্রথম মুরীদ'

পীর হল ফার্সী শব্দ কিন্তু ফার্সীতে পীরের অর্থ বলেননি। মূলত ফার্সীতে পীর অর্থ বুড়ো মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কোন অর্থেই অনুসরনীয় মানুষ বুঝায় না। আমাদের দেশে আবদুল কাদের জিলানী (রহ) কে বড়পীর হিসেবে চিত্রিত করা হয়! যাক,

আমরা রাসুল (সাঃ) উম্মত, তিনি উম্মতের প্রধান প্রতিনিধি ও জিম্মাদার। কিছু সাহাবীরা ছিলেন খলিফা। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের খলিফা দাবী করতেন, তাঁরাও কোনদিন অন্য মুসলমানদের মুরীদ হিসেবে গন্য করেন নি। যাক,

ইসলামে কোন গোপনীয়, অপরিষ্কার কথা নাই, লক্ষ লক্ষ হাদিসেও মুরিদ-মুর্শীদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়নি। এমনকি ইসলামে অনেক স্বৃীকৃত ইমামের সৃষ্টি হলেও তারাও কখনও মুরীদ-মুর্শীদে জড়িত ছিলেন না। মুরীদ-মুরশীদ ইসলামের ভিত্তির জন্য দরকারী হলে স্বয়ং রাসুলূলুল্লাহ (সাঃ) বলে যেতেন।

রাষ্ট্রীয় অত্যাচারে মধ্য যুগে যখন সুফি বাদের জন্ম হয়। তখন ফার্সীদের প্রভাবে ইসলামে পীর-মুরীদ প্রথার জন্ম হয়। প্রথম দিকে উপমহাদেশে এই প্রথা বড় কার্যকর ছিল। পরে হিন্দুদের মত কিছু পীরেরা ইসলামকে মহাজনী ব্যবসার মত কাজে লাগাতে শুরু করে। কৌতুহলের ব্যাপার হল, এই প্রথা ভারতীয় উপমহাদেশেই বেশী প্রসার পায়। পৃথিবীর অন্যান্য ইসলামী দুনিয়ায় তেমন একটি সাড়া ফেলেনি। অনেক ইসলামী দেশে এসব সমস্যা থেকে মুক্ত।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
279516
শাহাদাৎ লিখেছেন : হা ভাল বলচেন তবে শুনুন পীর বলতে শিক্ষক বা প্রথপ্রদর্শক বুজায়,,,তবে আর অর্থ আচে তবে যেটা এখানে প্রযোজ্য ওটা ব্যবহার করবেন,,,,সাহাবিরা মুরিদ করেন নাই তবে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন,,
এতে ই বুজেন,,,,, পীর ও ওটাই করে
মুরিদ মানি আপনে কি বুজেন?
ওটা কি চিকল দিয়ে বেধে রাখা মনে হয় নাকি?
মুরিদ এর করার হক উদ্দেশ্য হল ওয়াদা করার এক কথায় এই পীর বা ওস্তাদ বা শিক্ষক বা প্রথপ্রদর্শক হকের ওপর থাকবে অত দিন আমি তাকে অামার শিক্ষক মানবো,,,,,,
আপনে ভন্ডপীরদের বিরোদিতা করতে গিয়ে হক্কানি পীরদের অসম্মান করবেন না
337682
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:৫৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। পীর মুরিদ চালু করে ব্যবসা বসিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ সহ কয়েকটি দেশে যেমনঃ ভারত পাকিস্তান! পীর মুরিদের দরকার নেই ইসলামের সহীহ আকিদার জন্য কোরআন ও সহীহ হাদীসই যতেষ্ট।

যারা কোরআন ও সহি হাদিসের কাছে যায়না তারা পীরের পেছনে দৌড়ানি দেয়। অথচ পীর নিজেও ইসলামী মূল আকিদা থেকে দূরে সরে গেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
279514
শাহাদাৎ লিখেছেন : বেকুবের মত কথা কেন হযরত শাহ জালাল শাহ পরাণ র কি কি ব্যবসা করেছিলেন?
বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী র কি ব্যবসা করে ছিলেন,,,?
আপনার কথা ঠিক তবে এখানেওদের বুজানো হয় নাই,,,,হক্কানি পীরদের বুজানো হয়েচে
338143
২৭ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩০
রক্তলাল লিখেছেন : সূরা কাহফের ১৭ নাম্বার আয়াত - আল্লাহ বলছেন কোনো মুর্শিদে কাজ হবেনা। অথচ এরা আল্লাহর বিরুদ্ধে গিয়ে মুর্শিদ খোজে।

وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَتْ تَزَاوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَتْ تَقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِنْهُ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ ۗ مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۖ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File