বাংলা ভাষার দৈন্য দশা
লিখেছেন লিখেছেন রাসেল রুদ্র ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:২৬:০৪ রাত
মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ভাষা। ভৌগলিক স্থানভেদে এক এক স্থানের ভাষা এক এক রকম। বাংলাদেশীদেরও ভৌগলিক ভাবেই বাংলা ভাষা পাওয়ার কথা থাকলেও বিশ্বের একমাত্র জাতি হিসাবে বাঙালিদের বাংলা ভাষা রীতিমত যুদ্ধ করেই অর্জন করতে হয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় পাকিস্থানী শাসকগোষ্ঠীদের কাছ থেকে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করেছিল বাংলাদেশীরা। এরপর থেকে এ দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে পালন করা হত। অবশেষে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৩০ তম অধিবেশনে এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ, পশ্চিম বঙ্গ ও সিয়েরা লিওন সহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। যা বাংলাকে দিয়েছে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ ভাষার খেতাব।
অর্জনের তালিকা দীর্ঘ হলেও আজো বাংলাদেশের সবস্তরে বাংলা চালু সম্ভব হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায় আজো ইংরেজিতে লেখা হয়। ছবির পোষ্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, বিভিন্ন ব্যাবহার্য্য সামগ্রীসহ সর্ব স্তরেই ইংরেজি ভাষার দখলদারিত্ব বাংলাকে একেবারেই কোণঠাসা করে ফেলেছে। আর সবচেয়ে মারাত্নক বিষয়,উত্তবাধুনিকতাবাদের নামে এফএম রেডিও সহ বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলা ভাষা যেভাবে বিকৃতরুপে উপস্থাপন করা হচ্ছে তা শুধু এ ভাষাকে অবমাননা করা নয় রীতিমত তাচ্ছিল্য করার শামিল। আদালত ভাষার ব্যাপারে বেশ কিছু নির্দেশনা দিলেও একটিও পরিপূর্ণভাবে মানা হয় নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি চর্চার উপর এতটাই গুরুত্বারোপ করেছে যে বাংলা নামে একটা ভাষা আছে তা আজ শিক্ষার্থীরা প্রায় ভুলতে বসেছে। অবস্থা এমন যে বাংলাভাষা এখন তার কলি যুগে !
……………
রাসেল আহমদ
প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক।
কুষ্টিয়া।
ইমেইল :
বিষয়: বিবিধ
১১০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন