"শৈশবের পাঠশালা পেরিয়ে যখন কৈশরে"
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৩২:২৪ দুপুর
মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে যখন জোছনা কলেজ জীবনে পা রাখে তখন তাদের প্রেম আরও গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করে। এ যেন লাইলি মজনুকে ও হার মানাবে, চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন নিয়ে এগুতে থাকে দুজন। দুজনেরই একই প্রতিজ্ঞা শেষ পরিণয় যেন মিলনেই হয়। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দুজন প্রেমিক এগুতে থাকে প্রেমের সম্পর্ককে বহন করে। পৃথিবী যেন তাদের কাছে কিছুই না, একটাই স্বপ্ন প্রেমকে বাস্তবে রূপ ধারণ করা।
অতি উল্লাসে যখন জোছনার প্রেম চলছিলো ঠিক তখনই জোছনার জীবনের নতুন একটা অধ্যায় রচিত হলো। যিনি জোছনার পরিবারের বট বৃক্ষের মত ছায়া প্রদানকারি তিনিই হঠাৎ ব্রেন স্টোক নামক মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। অর্থাৎ জোছনার বাবা ব্রেন স্টোক করে বিছানায় মৃত্যু শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। পুরো পরিবার জুড়ে নেমে আসে অন্ধকারের কালো ছায়া, ভেবে দিশেহারা জোছনার মা। তিন ছেলে চার মেয়ে নিয়ে চিন্তায় দিনাতিপাত কাটাচ্ছেন। ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া এবং পারিবারিক দৈনন্দিনতা নিয়ে মহা চিন্তায় দিন চলছিলো তাদের। অসুস্থ বাবার সেবা করার জন্য জোছনার বড় বোন লেখা পড়ার ইতি টানতে হয়। মায়ের পক্ষে একা সম্ভব হচ্ছিলো না তাই নিজেই ইচ্ছা করে লেখাপড়ার ইতি টানেন জোছনার বড় বোন।
জোছনা এম সি কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়, কারণ লেখাপড়া না করলে পারভেজের সাথে দেখা করা যাবেনা। তাই লেখা পড়া চালিয়ে যায়, এবং পারভেজের সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাত হতেই থাকে। কলেজের নাম করে মাঝে মাঝে দুজন ডেটিংয়ে বেরিয়ে যেত। লোক চক্ষুর অন্তরালে তাদের প্রেম জমিয়ে তুলে, কাউকে কেয়ার করার মত মানসিক অবস্থা তাদের দুজনের নেই। মাঝে মধ্যে কলেজ বন্ধ থাকলে জোছনা বাড়ি থেকে বের হতে পারতো না, মায়ের কঠোর শাসনের মধ্যে বদ্ধ বাড়িতে ছটফট করতো। পারভেজ চলে যেতো ওদের বাড়িতে যদিও বাড়িতে ঢুকতে পারতো না। তবে আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতো, এতে করে পাড়া প্রতিবেশীর নজরে চলে আশে পারভেজ। বাবা অসুস্থ দুই ভাই বিদেশে এক ভাই ছোট, অভিবাবক হীন হয়ে পড়েছে সংসার। মা র একার পক্ষে সব দিক সামলে নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এদিকে পারভেজ কলেজ লাইফ শেষ করে সরকারি একটি প্রতিষ্টানে অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যায়। পারভেজের চাকুরীর চার বছর পর জোছনা মাস্টার্স পাশ করে। জোছনা ও চাকুরীর জন্য চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু পারভেজর কঠিন শর্ত সে জোছনাকে চাকুরী করতে দিবেনা। জোছনা পারভেজের শর্ত মেনে নেয় কারণ সে পারভেজকে অনেক ভালবাসে। এবং মন থেকে চাকুরীর চিন্তা ঝেড়ে ফেলে।
দুজনেরই বিয়ের জন্য উপযুক্ত সময়, পারভেজ চাকুরী করে নিজের পায়ে হাঠতে পারে। এদিকে জোছনা লেখাপড়া শেষ করে ঘরে বসে বসে বেকার সময় পার করছে। দুজনেরই সময় যেন কাটে না, কিন্তু পারভেজ বিয়ের জন্য জোছনার বাড়িতে প্রস্তাব ও দিতে পারছে না। আবার দুজন দুজনকে ছাড়তে ও পারছে না। উৎকন্ঠায় কাঠছে তাদের প্রতিটা সময়, কঠিন সময়ের মুখোমুখি পারভেজ এবং জোছনার প্রেম..........
চলবে........
বিষয়: বিবিধ
১১৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন