"দান করার নামে ক্যামেরা নয় আল্লাহকে খুশি করা উত্তম"

লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ২২ মার্চ, ২০১৬, ১১:১৩:০৮ সকাল

প্রত্যেক প্রানীর জন্মের পর থেকেই শুরু হয় বেচে থাকার লড়াই, কেউই চায় না সুন্দর এই ধরণী ছেড়ে চলে যেতে।

একটা পিপড়া ও অনেক প্রতিকুল পরিবেশে যুদ্ধ করে যায় বেচে থাকার জন্য।

কিন্তু চিরন্তন সত্য সবাইকে একদিন না একদিন এই ধরনী ছেড়ে চলে যেতে হয়। বেচে থাকার জন্য আমরা কত কি না করি, শুধু বেচে থাকলে হয় না, বেচে থাকার সাথে যুদ্ধ চলে আরাম আয়েশের প্রতিযোগিতা, চলে সম্পদ সংগ্রহের লড়াই।

কিন্তু আসলে আমরা কতটুকু সুখী অনুভব করতে পারি নিজেকে?

যতটুকু সুখ চলমান তাতে কি আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি?

কূড়ে ঘরে থাকলে স্বপ্ন থাকে টিনের ঘরের, টিনের ঘরে থাকলে ইটের পাকা ঘরের, পাকা ঘরে থাকলে স্বপ্ন থাকে পাঁচ তলা বিলাস বহুল দালান ঘরের।

প্রতিনিয়ত আমাদের চাহিদা বাড়তেই থাকে।

মানব জীবনের চাহিদার শেষ বলতে কিছু নেই।

নিজের চাহিদা মেঠানোর জন্য অন্যের বড় একটা ক্ষতি সাধিত করতে দ্বিধাবোধ করি না। কিন্তু সেই পর্যাপ্ত চাহিদা মিঠিয়ে কয় জনা সুখ ভোগ করতে পারে?

হয়তো কেউ পারে, অনেকেই পারে না।

অর্জিত সম্পদের উত্তরসুড়ি অনেক থাকে, কিন্তু অন্যের ক্ষতি সাধিত পাপের উত্তরসুড়ি কেউ হয় না এবং হবে না।

মৃত্যু শয্যায় নিজের আমলনামা চোখের সামনে ভাসবে কিন্তু সম্পদের আমলনামা কোন উপকারই হবে না।

সম্পদ সংগ্রহের জন্য আমরা অনেক ক্ষেত্রে বেপরোয়া হয়ে যাই।

আশে পাশের লোকদেরকে নিয়ে খেলায় মেতে উঠি, তিরষ্কার বৈষম্য হিংসা বাসা বাঁধে মনে।

মানুষকে নিয়ে খেলা করতে করতে একসময় নিজেকে নিয়ে খেলা শুরু করে দিই।

কিন্তু জীবনকে নিয়ে খেলা করতে নেই,

কারন জীবন ও একদিন আমাকে নিয়ে খেলা শুরু করে দিবে।

তখন হয়তো কোন আর্তনাদ কাজে আসবে না।

আজ যাকে তিরষ্কার করছি কাল তার কাছে আমি তিরষ্কৃত হবো না বলে কি কোন কথা আছে!

আজ যে রাজা আগামীকাল সে নিম্নস্থরের প্রজা হবে না বলে কি কোন কথা আছে!

এখন যে রঙ্গিন কাপড়ে মানুষ একটু পরে সে সাদা কাপড়ে লাশ হবে না বলে কি কোন কথা আছে!

তাই নীচু শ্রেনীর নীচু পেশার গরীব বলে কাউকে তিরষ্কার নয়,

সবাইকে মানুষ ভেবে সমাজে বাস করা শ্রেয়।

মানুষ মানুষের জন্য কথাটি শুধু মুখে বা কাগজ কলমে প্রতিবন্ধী করে না রেখে কর্মে বাস্তবায়ন করা উচিত।

দুঃখজনক হলে ও সত্য আজকাল দান খয়রাত যতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়, বেশীরভাগ লোক দেখানোর দান খয়রাত হয়।

ঠেনে হেচড়ে ক্যামেরা ডেকে এনে ক্যামেরার সামনে কে থাকবে তা নিয়ে চলে মহা প্রতিযোগিতা।

ফেসবুক ওয়ালে পত্রিকার হেডলাইনে বড় করে ছবি দিয়ে দেখানো হলো এই ফাউন্ড ওই ফাউন্ডের অমুক নেতাজি পাঁচশত কম্বল দুইশত টন চাল হতদরিদ্রের মাঝে বিতরন করেছেন।

তাতে করে নেতাজির নাম ফাটানো হলো নাকি হতদরিদ্রদের অপমান করা হলো কিছুই বোধগাম্য হলো না।

আজ যাকে হতদরিদ্র বলে ক্যামেরা বন্ধী করা হচ্ছে আগামীকাল নিজে এই কাতারে থাকবোনা তা অসম্ভবের কিছু না।

আল্লাহ চাহে তো সব সম্ভব।

তাই দান খয়রাতের নামে ক্যামেরাকে খুশি না করে আল্লাহ কে খুশি করা উত্তম।

আল্লাহকে খুশি করার জন্য এমন ভাবে দান করতে হয়-

ডান হাতে দান করলে বাম হাতে টের পাবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৫০৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

363251
২২ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০১:১২
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হৃদয় ছোঁয়া কথাঃ
তাই দান খয়রাতের নামে ক্যামেরাকে খুশি না করে আল্লাহ কে খুশি করা উত্তম।

বর্তমানে নিজেকে জাহির করা একটি ফ্যাশনে দাড়িয়েছে, যা প্রকৃত পক্ষে শিরকে খফি এর অন্তর্ভূক্ত। একমাত্র আল্লাহ কে রাজী করাই হোক আমাদের নেক কর্মগুলো। জাযাকাল্লাহ খাইর
২২ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪০
301199
অভিমানী বালক লিখেছেন : ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
363266
২২ মার্চ ২০১৬ দুপুর ০৩:০৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ভালো লাগলো লেখাটি একটা পিপড়া ও অনেক প্রতিকুল পরিবেশে যুদ্ধ করে যায় বেচে থাকার জন্য।
২২ মার্চ ২০১৬ রাত ১১:৪১
301200
অভিমানী বালক লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File