"আদর্শবান স্ত্রী পারে তার স্বামীকে আদর্শবান করতে"
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ২২ জানুয়ারি, ২০১৬, ০২:৪৯:২১ দুপুর
শোন দোস্ত কানের কাছে আসিয়া ভ্যান ভ্যান করিসনা!!
বেটা বিয়া করিয়া আসে নাই মনে হয় মহাভারত জয় করে আসছে।
তুই না এই কিছুদিন আগে ও বলতি বিয়া টিয়া করুম না, মাইয়াগো ফাদে পড়ুম না।
আগের ডায়লগ গুলা কি ভুলে গেছিস??
এই তো কয়েকদিন আগেই অবসর সময় পাইলে সবাইকে নিয়া আড্ডা জমাইতে, আর এখন একটু অবসর পাইলেই বউয়ের সাথে ফোন নিয়া ব্যাস্ত থাকিস।
বউ কি তোরে পানি পড়া খাওয়াইছে?
আগে তো ৪/৫ বছরে ও দেশে যাওয়ার কথা ভাবতিনা আর এখন ৪/৫ মাস হয় নাই দেশে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছিস!!!!
আসলে যে হালায় বিয়া করে সে হালা ই পাগল হয়ে যায়।
বিয়া করলে যে পোলাপাইন এক গোয়েমি হয়ে যায় তোদেরকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
এই দেখ আমি কত ভালো আছি,
আমার সুত্র হলো No টেনশন Do ফুর্তি।
যখন যেটা সামনে আসে সেটাকে নিয়ে ইনজয় করি, আর তোরা এক বউ নিয়া ব্যাস্ত আছিস।
আজ বৃহষ্পতিবার পার্টী আছে, চল গার্লফ্রেন্ডদের সাথে একটু ইনজয় করে ফ্রেস হয়ে আসি।
তুই তো অনেকদিন পার্টী তে যাসনি, চল আজ তোকে ফ্রেস করে নিয়ে আসি।
- না রে দোস্ত,
ঐসব পার্টী টার্টী সব ফালতু, ঐ গুলাতে নষ্টামি ছাড়া কিছুই হয় না।
আমার জন্য ঘুম ভালো, আগে আগে ঘুমালে ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করতে পারবো।
তুই ও ঘুমা, জানিস জীবনে কত পাপ করেছি। দুনিয়া আখেরাত বুঝার মত কোন জ্ঞান ছিলো না।
শুধু একটা মেয়ে আমার জীবনের সব কিছু পাল্টে দিয়েছে। বিবাহিত জীবনে পদার্পনের পর থেকে আমার ভেতরে নতুন কিছু আবির্ভাব হচ্ছে বুজতে পারলাম।
জানিস বাসর রাতে বউ আমাকে যেসব প্রশ্ন করলো সেই প্রশ্ন গুলো আমাকে পরিবর্তনের দিকে নিয়ে গেলো।
প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে আমি হিমশিম খাচ্ছিলাম, কিছুটা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আবার ধরা পড়ে গেলাম।
বউ যখন জিজ্ঞেস করলো-
♦ আপনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন??
♦ আপনি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করেন?
♦ আপনি কি সর্বদা সত্য কথা বলেন?
♦ আপনার কোন গার্লফ্রেন্ড আছে?
♦ আপনি কি কোন নেশাজাত দ্রব্য ব্যবহার করেন?
প্রশ্ন গুলার ঠিক বিপরীতে আমার অবস্থান, তবু ও বউকে খুশি করার জন্য বানিয়ে বানিয়ে উত্তর দিলাম।
কিন্তু আবার প্রশ্নের সম্মুখীন-
♦ আপনি নিশ্চয় জানেন মিথ্যা বলা মহাপাপ??
এবার চুপ করে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না।
- দেখুন আপনি ভাববেন না আমি আপনাকে শাসন করছি।
আপনি ভাববেন না আমি আপনার অধিকার হরন করছি।
একজন মুসলিম হিসেবে আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলা আমাদের জন্য শুভ।
আমরা দুনিয়াতে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো কিন্তু আখেরাতে রয়েছে আমাদের জন্য কঠিন শাস্তি।
নিশ্চয় আল্লাহ এবং রাসুলের আদেশ অমান্যকারীকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আপনার অতীতে কি ছিলো,
আপনি অতীতে কেমন চরিত্রের লোক ছিলেন তা দেখার প্রয়োজন নেই আমার।
যেহেতু আজ থেকে আমি আপনার অর্ধাঙ্গিনী তাই আমি কখনো আপনার অমঙ্গল চাইবো না।
আজ থেকে আমাদের নতুন জীবনের সূচনা।
আমি থাকতে আপনার গার্লফ্রেন্ডের প্রয়োজন কি?
আমি চেষ্টা করবো আমার ভালবাসার চাদরে আপনাকে জড়িয়ে রাখতে।
আপনার যেমন খুশি তেমনি আমাকে ব্যবহার করার অধিকার ইসলাম দিয়েছে।
আপনি যেমন চাইবেন না আমি অন্য কোন ছেলের সাথে ফস্টিনস্টি করি, ঠিক তেমনি আমি ও চাইবো না আপনি অন্য কোন মেয়ের সাথে ফস্টিনস্টি করেন।
একজন স্বামী যেমন তার স্ত্রীকে একান্ত নিজের করে চায়, তেমনি একজন স্ত্রী ও তার স্বামীকে একান্ত আপন করে চায়।
চাওয়া পাওয়া একই,
কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যাবস্থা অধিকার নিয়ে ইসলামের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে।
এবার আসুন ওযু করে দুই রাকাত শুকুরানা নামায আদায় করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি আমাদের বন্ধন যেন চিরস্থায়ী হয়, এবং মহান রাব্বুল আল আমিন আমাদের সংসারে রহমত দান করেন ও ইসলামের বিধি নিষেধ মেনে চলার তৌফিক দান করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একজন আর্দশবান মেয়ে বিয়ের আগে একজন আর্দশবান ছেলে খুজবে তাই বিয়ের রাতে নয় বিয়ের আগেই এসব প্রশ্ন করবে আর আপনি যদি আর্দশবান না হন তাহলে প্রশ্নের সঠিক উত্তর বা ভ্যাবাচাকা খেয়ে যাবেন আর তাই বিয়ে ও হবে না ।
তাই আগে নিজে আর্দশবান হোন তাহলেই আর্দশবান বউ পাবেন ।
কিন্তু অনেক সময় হিতে বিপরীত ও হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন