ফ্যাশনটা যেন ঠিক উল্টো হয়ে গেছে।

লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:২০:২৮ দুপুর

এই যে আপু ওড়নাটা গলায় না ঝুলিয়ে মাথায় দিয়ে শরীরটা ঢেকে রাখুন।

পর্দা করা নারীদের জন্য ফরজ।

ফুলহাতা শিফনের কামিজ গায়ে দিয়ে ফিটফাট সেলোয়ার পরে আধুনিকতার নামে যে ফ্যাশন শো করতেছেন,

তাতে শুধু আপনি নিজে জাহান্নামী হবেন না, সাথে আরো কিছু মানুষকে জাহান্নামী করতেছেন।

যেমন-

আপনার মা-বাবা-ভাই-স্বামী এবং যে আপনার উপর দৃষ্টিগোচর করেছে।

ভেবে দেখেছেন আপনি একা কতজন মানুষকে জাহান্নামী করছেন?

দেহ অনাবৃত রাখা কোন ফ্যাশন নয় বা আধুনিকতা নয়।

যদি দেহ অনাবৃত রাখা ফ্যাশন বা আধুনিকতা হতো তাহলে আদি যুগের মানুষরাই আধুনিক ছিলো।

আপনি ভাবতেছেন বোরখা গায়ে দিলে গরম লাগে, আনস্মার্ট লাগে।

কিন্তু জাহান্নামের আগুন যে আরো অনেক বেশী গরম।

আপনি ভাবতেছেন হিজাব ব্যবহার করলে মাথার চুল গুলো এলোমেলো হয়ে যাবে, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কেমন বিরক্ত লাগে।

কিন্তু জান্নাতে এর চেয়ে ভালো এবং সুন্দর কিছু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

তবে বোরখা এবং হিজাব হতে হবে শালীন এবং ইসলামিক নিয়মনুযায়ী।

বর্তমানে অনেকের জন্য বোরখা এবং হিজাব ফ্যাশন হয়ে গেছে, তবে এই গুলো ইসলাম সমর্থন করে না।

ফিটফাট বোরখা পরলে এটাকে পর্দা বলেনা, মুখে এক কেজি ময়দা লাগিয়ে মুখ অনাবৃত রেখে শুধু হিজাব লাগালে পর্দা হয় না।

সঠিক পর্দা করলে নিশ্চিত আপনি কারো লালসার স্বীকার হবেন না।

লালসার স্বীকার হয় তারাই যারা সঠিক পর্দা মেনে চলো না।

নিজেকে অনাবৃত রেখে লালসার স্বীকার হবেন আর বিচার চাইবেন ইভটিজাদের!!!

নাক মুখ ভেংচি মেরে ফেবুতে ছবি আপলোড করবেন আর গালি দিবেন মন্তব্যকারীকে!!!

কি প্রয়োজন নিজের আবেদনময়ী ছবি ফেবুতে আপলোড করার?

এবার বলতে পারেন অধিকারের কথা,

ছেলেরা যদি করতে পারে তাহলে মেয়েরা করতে পারবে না কেন?

কিন্তু আজকাল ছেলেরা যা কাপড় পরে মেয়েরা তার অর্ধেক কাপড় ও পরতে চায় না।

ছেলেরা পরে ফুলপ্যান্ট আর মেয়েরা পরে হাফপ্যান্ট।

ছেলেরা পরে ফুলশার্ট আর মেয়েরা পরে হাফ টি-শার্ট।

ছেলেরা পরে মোটা কাপড়ের শার্ট আর মেয়েরা পরে শিফন কাপড়ের কামিজ,

যা অন্তর্বাস পর্যন্ত দেখা যায়।

ফ্যাশনটা যেন ঠিক উল্টো হয়ে গেছে।

মেয়ে হয়ে ছেলেদের মত ফ্যাশন ধরে অধিকার আদায়ের আন্দোলন করবেন!!

ইসলাম নারীদের যা অধিকার দিয়েছে তা দিয়েই তো জান্নাত সন্নিকটে।

ইসলাম নারীদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছে যা অন্য কোন ধর্মে এত মর্যাদা দেয়া হয়নি।

পর্দায় চলে নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাচান এবং যারা দৃষ্টিগোচর করে তাদেরকে ও বাচান।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

357110
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:১৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ পিলাচ
১৯ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
296436
অভিমানী বালক লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ও।
357117
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৪৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
296437
অভিমানী বালক লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ।
357121
১৭ জানুয়ারি ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : "বোরখা পরাই রাস্তায় ছেড়ে দাও নারীরা নিরাপদ" এমন কথা কুরান-হাদিসের কোথায় পেয়েছেন? ইসলাম পর্দার সাথে সাথে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বাইরে বের হবার সময় বৈধ পুরুষ অভিভাবক সাথে রাখতে। তার হাজবেন্ড বা রক্ত সম্পর্ক থাকার জন্য যার সাথে তার বিবাহ অবৈধ এমন পুরুষ ছাড়া চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছে। পর্দা করেও একজন নারী নিরাপদ নন উদাহরণ দরকার হলে অনেক দিতে পারবো।
১৯ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৪২
296438
অভিমানী বালক লিখেছেন : বোরখা পরে রাস্তায় বের হবার হাদিস দেইনি,লেখাটা আবার পড়ে নিলে হয়তো ভুল ভাঙ্গবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File