"এরেঞ্জ মেরেজ হলে ও পাত্র/পাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করা উচিত অভিভাবকদের"
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ১৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:১২:৫৯ সকাল
"এরেঞ্জ মেরেজ হলে ও পাত্র/পাত্রীর চাহিদা বিবেচনা করা উচিত অভিভাবকদের"
কথাটা কেমন বিদঘুটে বিশ্রী লাগছে শুনতে।
তবে এটাই সত্য এবং বাস্তবতা।
যেখানে পাত্র/পাত্রীর কথা বলার সু্যোগ নেই সেই সংসারের ভবিষ্যত কেমন ভালো হয় বা কেমন ভালো আশা করা যায়??
তাহলে কেমন ভালো আছেন সারমিন আক্তার কলি?
এস এস সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কলি দুই তিনটা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে,গ্রামের মেয়ে, বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার যোগাযোগ খুব ভালো নয় বলে কলির বাবার খুব ইচ্ছা নয় কলেজে পড়াতে।
মায়ের যথেষ্ট ইচ্ছা মেয়ে কলেজে পড়বে কিন্তু কলির বাবার হুংকারের কাছে সব ইচ্ছা ধুলিস্মাত হয়ে যায়।
কলির বাবার ইচ্ছা মেয়েকে বিয়ে দিয়ে নিজের ঘাড়ের বোঝা হালকা করা,কারন সুন্দরী মেয়েদের বাবা হলে অনেক টেনশন থাকে।
কলি কলেজে ভর্তি হবে কি হবেনা সঠিক কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না কলির বাবা।
বরং কলিকে বিয়ে দেয়ার জন্য দুই তিন ঘটকের সাথে আলাপ করে রেখেছেন ভালো পাত্র পেলে যোগাযোগ করার জন্য।
মাস খানেক পরে সৌদী প্রবাসী এক বরের সন্ধান পেলেন কলির বাবা ঘটকের মাধ্যমে। ছেলে অনেক টাকা পয়সা ওয়ালা, দেখতে অনেক সুন্দর উচা মোটা। কিন্তু সমস্যা একটাই ছেলে নিজের নাম লিখতে তিনটা কলম ভাঙ্গে।
তাতে সমস্যা কি?
আজকাল কি চিঠি লিখার প্রয়োজন আছে নাকি যে ছেলে লেখাপড়া জানতে হবে।
ডিজিটাল যুগ ফোনে কথা বলবে লেখাপড়া দিয়ে কি হবে?
কলির বাবা যদি ও রাজি কিন্তু কলির মা মোটে ও রাজি নয়।
কলির চাহিদা কি?
কেমন বর তাহার চাহিদা তা জানার প্রয়োজন নেই বাবার।
বড় ভাইয়ের বউয়ের মুখ থেকে শুনেছে তার বরের কথা,কিন্তু কলি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা এমন অশিক্ষীত বরকে।
আবার কারো কাছে প্রকাশ করতে পারছে না নিজের চাহিদাকে।
নিভৃতে নিজের চোখের জল ফেলে প্রহর গুনছে বান্ধবীদের মুখে শুনা সেই কাঙ্খিত বাসর রাতের।
মনে মনে ভাবতেছে মা বাবা হাত পা বেধে যদি নদীতে ফেলে দেয় তা ও তো মেনে নিতাম। না হয় নাইবা তাদের অবাধ্য হলাম। এমন ও তো হতে পারে ছেলেটি শিক্ষীত লোকের চেয়ে ভালো হতে পারে।
এটা ওটা ভেবে নিজের মনকে স্থির রাখার চেষ্টা করে কলি।
কিন্তু কতটা স্থির রাখতে পারে দুরন্তপনা মনকে, তবু ও বাবার হুঙ্কারে বাধ্য অনাকাংখিত কিছু মেনে নেয়া।
অপেক্ষার প্রহর শেষ, কাংখিত সেই বাসর ঘরে কলির অবস্থান........
চলবে.......
বিষয়: বিবিধ
১৩২৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তার চাহিদা অনুসারে ভরণ পোষন - এটাই ।
সেটা একজন অশিক্ষিত লোক যদি দিতে পারে তাহলে তো সমস্যা হবার কথা নয় ।
শিক্ষিত লোক যদি তার চাহিদা অনুযায়ী তাকে মেইনটেইন করতে না পরে তাহলে ঐ লোকের শিক্ষার কোন মূল্য থাকবে না তার কাছে ।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন