কোরবানী।
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৫:৫৬ দুপুর
ঈদ মানে উৎসব - আর কুরবানী মানে উৎসর্গ। সুতরাং কুরবানীর ঈদ মানে হচ্ছে “উৎসর্গের উৎসব”।
পৃথিবীর অনেক ধর্ম আর জাতির মতো মুসলমানদের কাছেও পশু কোরবানী হচ্ছে একটি ধর্মীয় পবিত্র রীতি।
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নর-নারী, স্বাধীন, মুকীম (যারা মুসাফির নয়) এবং কোরবানীর দিন যে মুসলিমের নিকট নিসাব পরিমাণ সম্পদ (কমপক্ষে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপার বর্তমান বাজার মূল্য) সঞ্চিত থাকে। তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব।
যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব। বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য, অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র, অলঙ্কার এবং যে কোন সম্পদ কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
কোরবানী লোক দেখানোর জন্য না।
কোরবানী হলো আপনার তাকওয়ার পরীক্ষা। কে কত বড় গরু কোরবানী দিল তা আল্লাহ দেখেন না।
আল্লাহ পাক এরশাদ করেনঃ
{لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ}[الحج:৩৭]
এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া।কোরবানী হতে আল্লাহর সন্তষ্টি আর্জনের জন্য।
রাসূল সঃ বলেনঃ
من وجد سعة و لم يضح فلا يقربن مصلانا. (ابن ماجة)
অর্থঃ সামর্থ থাকতে যারা কোরবানী করে না তারা যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে। (ইবনে মাজা)
সুতরাং, আমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ আছে অবশ্যই কোরবানী করা ওয়াজিব।
রাব্বুল আল আমিন আমাদেরকে কোরআন হাদিস মেনে কোরবানী করার তৌফিক দান করুন।
আমিন - আমিন - আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৪২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন