প্রেম আমাদের সমাজে একটা ভয়ানক ফ্যাশন।
লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ২৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:২৭:১৭ সকাল
প্রেম মানে রোমান্টিকতা,
বিয়ে মানে সাংসারিকতা।
প্রেম + বিয়ে= রোমান্টিকতা & সাংসারিকতা।
যোগফল সম্ভবত ৯৯% ভুল,
কারন প্রেমের বিয়ের সংসার খুব দীর্ঘস্তায়ী হয় না,যদি ও দীর্ঘস্তায়ী হয় তবে সেখানে রোমান্টিকতা থাকে না।
থাকে শুধু জরাজীর্ন একটি সংসার লোক লজ্জার ভয়ে।
বিয়ের আগে প্রেমিক যুগল অমাবস্যার রাতে পূর্ণিমার চাঁদ খুজে পায়,
বিয়ের পরে একে অন্যের খুনসুটি খুজে বেড়ায়।
বিয়ের আগে বলে তুমি ছাড়া আমি বাচবো না,
বিয়ের পরে বলে তুমি মরে গেলে আমি বাচবো।
বিয়ের আগে বলে তুৃমি পাশে থাকলে কুড়ে ঘরে সুখ খুজে নিব,
বিয়ের পরে বলে শালার বেটা রুমে এসি নাই ক্যান?
বিয়ের আগে বন্ধুরা যখন বলে-
কি এমন একটা মেয়ে যাকে বিয়ে না করলে বাচবি না?
শালারা তোরা সবাই আমার শত্রু,তোরা কেউ আমার ভালো চাসনা।
বিয়ের পরে-দোস্ত তোরা ঠিক বলেছিলি,এই মেয়েটার কারনেই আমি এখন বাচবো না।
বিয়ের আগে মা যখন মেয়েকে বলে এই ছেলে থেকে ভালো একটা ছেলের সাথে তোকে বিয়ে দেব,তবু এই বানরটাকে ভুলে যা।
না মা না আমি ভুলতে পারবো না,তার চেয়ে ভালো আমাকে এক বোতল বিষ দাও।
বিয়ের পরে- মা আমাকে এক বোতল বিষ দাও,যাতে এই হতচ্ছাড়া বানরের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি।
প্রেম আমাদের সমাজে একটা ভয়ানক ফ্যাশন আকার ধারন করেছে,
ছেলে প্রেম না করলে বন্ধুমহলে আনস্মার্ট,
মেয়ে প্রেম না করলে লাস্ট বেঞ্চের ছাত্রী।
এমন ভয়ানক ফ্যাশনের জন্য পক্ষান্তরে অভিভাবকরা দায়ী,কারন অপ্রয়োজনে সন্তানদের হাতে মোবাইল ফোন দেয়া।
বিষয়: বিবিধ
২৩৪৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যা পশ্চিমা দেশে বর্তমানে বহমান।
সব ছেলে মেয়েরা কিন্তু প্রেম করে বেড়ায় না,আমার চরিত্র অনুযায়ী রাব্বুল আলআমিন আমার সহধর্মিনীকে তৈরি করে রেখেছেন।
আমি ডজন খানেক প্রেম করবো আর আশা করবো সতী কোন মেয়েকে??
প্রেম করে বিয়ে করলে প্রেমিকাকে পাওয়া যায়,কিন্তু সংসারি হওয়া যায় না।
এরেন্জ ম্যারেজ করে বিয়ে করলে যদি ও অন্যের প্রেমিকাকে পাওয়া যায়,তবে সংসারি হওয়া যায়।
অন্যের প্রেমিকাকে বিয়ে করলে সব সময় তার মন প্রেমিকের জন্য হাহাকার করবে । আপনার কোন কাজ সে করতে চাইবে না এবং আপনি কিছু করলেও সেখানে খুঁত খুঁজবে ।
ফলশ্রুতিতে ডিভোর্স হয়ে যাবে । ইদানিং যে সব ডিভোর্স হয় তার ৭০% মেয়েদের তরফ থেকে হয় ।
বাংলাদেশে প্রেমের বিয়ের সংখ্যা এখনও খুব একটা বেশী নয় ।
আগে থেকে পরষ্পর বোঝাপড়া হয়ে থাকলে যদি বিয়েতে গড়ায় সেটা টেকসই হয় বেশী ।
এরেন্জ ম্যারেজে যদি গোলমাল বাঁধে তবে সেটা ফ্যামিলি ইগোতে পরিনত হয় । যেহেতু ছেলে ও মেয়ের পরষ্পর আগে থেকে আন্ডারস্ট্যাডিং ছিল না , তাই প্রতিকূল পরিবেশ তারা মোকাবেলা করতে আগ্রহী হয় না । মিয়া বিবির যে কোন একজন বিগড়ে গেলে তালাক অবশ্যম্ভাবী । এখানে আত্মীয় স্বজনেরা কিছুই করতে পারে না ।
প্রেমের বিয়ে যেহেতু ছেলে ও মেয়ের মতেই হয়েছে সেহেতু সেটা টিকিয়ে রাখা তাদের জন্য একটা চ্যালেন্জই হয়ে থাকে আত্মীয় স্বজনের উপেক্ষার বিপরীতে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন