শবে-বরাত কি মুসলমানদের ধর্মীয় বিশেষ দিন??

লিখেছেন লিখেছেন অভিমানী বালক ২০ মে, ২০১৫, ০৯:২৬:২৭ সকাল

ইসলামের জন্য আমরা মুসলমানরা একটা কটিন সময় পার করতেছি,বিধর্মীদের চেয়ে ইসলামের বড় শত্রু মুসলমান নামদারী কিছু ফতোয়াবাজরা।বিভিন্নজন বিভিন্ন ফতোয়া দিচ্ছে আর আমরা লিপ্ত হচ্ছি বিভিন্ন রকম বিদাত এবং শিরকে।

আমরা যারা সাধারন মুসলমান কোরআন হাদিস সম্পর্কে ভালো ধারনা নাই তারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত।

কিছু কিছু হুজুর নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মনগড়া হাদিস বলে ফেলে,এবং সাধারন মুসলমান তা সত্যিকারের হাদিস মনে করে মেনে নিচ্ছে।

একসময় আমি ও মনে করতাম শবেবরাত আমাদের জন্য বিশেষ একটি দিন,কিন্তু এখন বোঝতে সক্ষম হয়েছি শবেবরাত বলতে কোন বিশেষ দিন নেই কোরআন এবং হাদিসে।

((إن الله ليطلع في ليلة النصف من شعبان ، فيغفر لجميع خلقه ، إلا لمشرك أو مشاحن))

একটা দুর্বল হাদিসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের কিছু হুজুররা শবেবরাতকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করাতে বাধ্য করেছেন,কিন্তু এটার কোন সহীহ হাদিস নেই।

শবেক্বদর নিয়ে কোরআন হাদিসে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে,কিন্তু বাংলাদেশে শবেক্বদরের চেয়ে শবেবরাতকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়।

সৌদী আরবের এক শেখ (হুজুর) কে প্রশ্ন করেছিলাম আমাদের বাংলাদেশে শবেবরাতের এতো গুরুত্ব দেয়া হয়,কিন্তু সৌদী আরবে কেন শবেবরাতকে গুরুত্ব দেয়া হয় না?

শেখ উত্তরে বলেছিলেন শবেক্বদর নিয়ে কোরআন হাদিসে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে,

ليلة القدر خير من الف شهر.

অর্থ: “লাইলাতুল ক্বদর হচ্ছে হাজার মাস থেকে উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (সুরা ক্বদর : আয়াত ২)

কিন্তু শবেবরাত নিয়ে কোরআনের কোথা ও বলা হয় নাই এবং সহীহ কোন হাদিস নাই।

সুতরাং শবেবরাত মানুষের বানানো একটি বিশেষ দিন,তাই এটা হচ্ছে বিদাত।

আল্লাহ আমাদেরকে কোরআন হাদিস মেনে চলার তৌফিক দান করুন।

শবেবরাতের হাদিসটি যে দুর্বল তা নিচের বিশ্লেষনে প্রমানিতঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله رب العالمين , الرحمن الرحيم , مالك يوم الدين

اللهم صلّ وسلم وبارك على نبينا محمد وعلى آله وأصحابه

( قال أهل التعديل والتجريح : وليس في حديث ليلة النصف من شعبان حديث يصح ) . من كتاب العلم المشهور لابن دحية 

[ الجزء المطبوع منه في الكلام على شعبان 43 ]

وقد نبه على ذلك أيضا : العقيلي [ الضعفاء 789 ] 

وابن عربي [ عارضة الأحوذي 275/3 , أحكام القرآن 117/4 ]

وغيرهم [ بل روي عن ابن المبارك أنه أنكره أيضا من جهة المتن - رواه الخطابي ( الغنية 23 )

والصابوني ( عقيدته 42 ) - ]

قال عبد الرحمن بن زيد بن أسلم :

( لم أدرك أحدا من مشيختنا , ولا فقهائنا ... يرى أن لها على سواها من الليالي ). رواه ابن وضاح في [ البدع ] , 

وصحح محققا طبعتيه ( 112 ) ( 119 ) سنده 

 تنبيه : ينبغي لطالب العلم أن يفرق بين المسائل التالية :

1 / تخصيص شعبان أو ليلة النصف منه بعبادات معينة - سوى كثرة الصوم - 

وهذه المسألة لا يصح فيها دليل , ولا يسوغ القول بها .

2 / فضل إكثار الصوم في شعبان [ وهذا قد اتفق على صحة السنة الفعلية فيه ]

3 / تفضيل ليلة النصف من شعبان

 وهذه المسألة وإن كان الأكثرون على تضعيف أحاديثها [ حكاه عنهم ابن رجب ( لطائف 261 ) وسبق نقل كلام بعض العلماء فيها ] 

إلا أن هناك من العلماء من أثبت بعض أحاديث هذه المسألة , فتجريح المخالف في هذه المسألة لا يسوغ , بل الذي ينبغي أن يبين للمخالف الصواب فحسب 

বিষয়: বিবিধ

৩৭৯৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

321177
২০ মে ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
২০ মে ২০১৫ রাত ০৯:০২
262436
অভিমানী বালক লিখেছেন : ধন্যবাদ
321347
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট এবং সময়োপযোগী। আর ক’দিন পর আসছে সেই দিবসটি।
যারা এই বরাত পালন করে তারা আসলে বিদআতে লিপ্ত..আর কিছু বলার নাই।।
আর আল্ হামদুলিল্লাহ আমার এ কলম সবর্দা শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে চলবে।
আমার একটি লিখা আছে এ সম্পর্কে-যথাসময়ে তার পোস্ট করা হবে।। আশাকরি নজর রাখবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
২০ মে ২০১৫ রাত ০৯:০৪
262437
অভিমানী বালক লিখেছেন : সহমতের জন্য ধন্যবাদ,আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
321444
২১ মে ২০১৫ রাত ১২:৫৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইয়া।
324536
০৪ জুন ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : শবেবরাত ১০০% বেদাত। নামাযে সিজদা ২ টা দেওয়া ওয়াজিব কিন্তু আপনি যদি সওয়াবের আশায় তিনটা সেজদা দেন, তাহলে যেমনিভাবে আপনার নামায নষ্ট হয়ে যাবে, ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ যা পবিত্র কোরানে বলেন নি, রাসূল (স) ও সাহাবীরা যা করেননি, আপনি যদি অধিক সওয়াবের আশায় তা করতে চান, তাহলে আপনার সারাজীবনের কবুল হওয়া আমল গুলো বরবাদ হয়ে যাবে।
০৪ জুন ২০১৫ রাত ০৮:২৪
266465
অভিমানী বালক লিখেছেন : সটিক বলেছেন ভাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File