ভে-লেংটা-ইন্স ডে নাকি ভালবাসা দিবস- বনাম সামাজিক ব্যাধির অবাধ সংক্রমণ
লিখেছেন লিখেছেন মহুয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০২:১২:৫৬ রাত
জীব মাত্রই কিছু জৈবিক তাড়না আর কিছু আবেগ দিয়ে তাড়িত হয়; বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার জন্য যে কয়টি তাড়না প্রধান তার মধ্যে অন্যতম হল – ক্ষুধা তৃষ্ণা ও প্রজনন বা যৌনতা! প্রথম দুটি না হলে যেমন জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে, প্রজনন না হলে বংশ লোপ পেয়ে যাবে ! কাজেই এই তাড়না গুলো হল – শক্তিশালী তাড়না! সন্দেহ নেই! সারভাইভাল ইন্সটিংকট- বা জগতে টিকে থাকার প্রনোদনা বা আবেগ কেবল মানুষ নয়, সকল জীবের বা জীবনের জন্যই অপরিহার্য! প্রাকৃতিক নিয়মের অন্তর্ভুক্ত!
এই আবেগ গুলোর একটাকে নিয়েই ইদানিং এক সফল বাণিজ্য উদ্যোগ এর নাম ভেলেন্টাইন্স ডে! এই আবেগের তত্ব অনুসন্ধান এর জন্য, আসুন আমরা আজ পৃথিবীর একনিম্ন স্তরের প্রাণী দিয়ে শুরু করি ! এখন ফেব্রুয়ারীর ১৪ তারিখে মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়ার যে ঝুঁকি পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই রোগের সংক্রমণ রাস্তা ঘাটে আমরা দেখি- সাধারনতঃ কার্ত্তিক মাসে !
“যখন ঋতু আসে, যখন ‘সময় হয়, শরীরের মধ্যে জ্বলে উঠে এক প্রাকৃতিক আগুন, ক্ষরিত হয় হরমোন, কুত্তির শরীর ‘গরম হয়ে উঠে এক শারীরবৃত্তিক কারনে, সে ‘প্রয়োজন বোধ করে বিপরীত লিঙ্গের ‘দোসর এর, এক কুত্তার! এদিক সেদিকে ‘হরমোন-সমৃদ্ধ পেশাব ছড়িয়ে রেখে সে তার ‘শারীরবৃত্তিক পরিবর্তনের ‘চিহ্ন রেখে যায়, তার ‘দয়িতের জন্য!
আপনার ঘরে যদি ‘পুরুষ কুত্তা থাকে তো আপনি দেখবেন- সে ছটফট করা শুরু করেছে, তার মন আর কিছুতেই থামছে না, স্থিত হচ্ছে না। দারুন সুস্বাদু খাবারের উপরেও তার ‘ভক্তি নেই! সে এদিক সেদিক ছ্যাঁকছোক করছে- বাতাসে ভেসে আসা সেই ‘মুত্রগন্ধে তার রক্তেও জেগে উঠেছে আদিম আহ্বান! তারও হরমোন ক্ষরিত হচ্ছে, দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেও, সে এখন দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে প্রস্তুত! সে এক আদিম হরমোন, যা জন্ম থেকেই জীবের শরীরে লুকিয়ে আছে, এমুহূর্তে সে মূর্ত হয়ে উঠেছে, ক্ষুধা তৃষ্ণার মত অতি জরুরী, জীবনের টিকে থাকার, বেঁচে থাকার মত প্রাকৃতিক তাড়নাকেও আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ‘জৈবিক এই তাগিদ তার কাছে এ মুহূর্তে মৃত্যুকেও নগণ্য করে ফেলেছে- এ সেই মুহূর্ত!! মৃত্যুভয় - তার কাছে এখন নস্যি! দুপায়ের মাঝখানে ভর করেছে তার ‘সারা পৃথিবী! এক সেকেন্ডের বেশী সে মনোযোগ দিতে পারছে না অন্য কিছুতে! কবিরা এই সময়ের প্রসঙ্গে বলবেন, “হৃদয়ের এ আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি!
আবার বলবেনঃ
“মরণরে, তুহু মম শ্যাম সমা!
আহা – চাদের আলো – মরি যদি সেও ভাল!
পশুদের জন্য আরেকটি মানবিক আবেগ –'চক্ষু লজ্জা অনুপস্থিত! পশু লজ্জা- থাকতে পারে!! কাজেই যখন সে ‘শিকল ছিঁড়ে ছুটে যাবে তার ‘দয়িতের দিকে – তার জন্য এখন – সেই যে ‘পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা -দশ দিগন্তের অন্ধকার! সে আলোকিত মধ্যাহ্নে - উন্মুক্ত চরাচরে ঝাঁপিয়ে উঠে বসবে তার ‘প্রেমিকার পিঠে- এরজন্য আরও দশটা ঘেয়ো কুত্তার সাথে ‘ফাইট দিতে হলেও ‘কুচ পরোয়া নেই! তার জগত এখন প্রেমিকার ‘শরীরের মধ্যে সীমিত ! আর যখন সে সমস্ত বাধা পেরিয়ে ‘সাফল্যের শিখরের সন্ধান পেল – তখন আবার শুরু হল আরেক অধ্যায় সারা পৃথিবীর সামনে উন্মুক্ত হবে’ ক্ষেত্র বিশেষে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার জন্য!তাদের – এই মিথুন ক্রঞ্চুক দশা ! তার আরেক নাম ‘দ্রৌপদী যুধিষ্টির দশা! কি দশা সেটা! মহাভারতের গল্পটা যারা জানেন না তাদের জন্য গল্পটা শেয়ার করি!
মহাভারতের পাঁচ বীর পুরুষ - পঞ্চ পাণ্ডবদের নাম মনে আছে- ? যুধিস্টির, ভীম, অর্জুন,নকুল ও সহদেব! পাঁচ ভাই এর একাধিক স্ত্রীর নামের উল্লেখ থাকলেও ( এখন কেবল মুসলিম –অপদেবতাদের ‘দোষ তাদের একাধিক স্ত্রী কেন, দেবতাদের – ও কিন্তু সে দোষ ছিল! দেবীরা তো আরও এক কাঠি উপরে- OMG! একাই পাঁচ দেবতাকে সামলেছেন )! তারা পাঁচ ভাই সম্মিলিত ভাবে, যে ‘দেবীতে উপগত হতেন- যার নাম ছিল দ্রৌপদী ! পাঁচ ভাই তো আর একত্রে ‘স্ত্রী –গমন’ করতে পারবেন না, তাই একটা রুটিন ছিল! দ্রৌপদীর ঘরের দরজার সামনে যে যার স্যান্ডেল রেখে ঢুকে যেতেন, অন্যরা দরজার সামনে স্যান্ডেল দেখে বুঝে নিতেন –‘নো ভ্যাকান্সি! কাজেই কোন ‘ভ্যাকান্ট সময় তাদের খুজে নিতে হত! তো এক কুত্তা (নাকি কুত্তী) একদিন চামড়ার স্যান্ডেল – মুখে নিয়ে চলে গেছে। এক ভাই ভেতরে দ্রৌপদীর সাথে “ব্যস্ত, এ মুহূর্তে আরেক ভাই – বাইরে স্যাণ্ডেল না দেখে- গ্রিন সিগন্যাল’ মনে করে ঢুকে গেছেন! তিন পক্ষই বেকায়দায়! জানা গেল, কুত্তার অপকর্মে এ ঘটনা ঘটেছে! ভাইরা যেমন লজ্জা পেয়েছেন – ‘দ্রৌপদী- যুধিষ্টির দশা’ প্রকাশিত হয়ে পড়ায়, দ্রৌপদী আঘাত পেয়েছেন তার চেয়েও বেশী! তিনি নাকি ক্ষিপ্ত হয়ে, অভিশাপ দিয়েছেন- সে কুত্তা (নাকি কুত্তি) কে, যেন সেই কুত্তা (বা কুত্তিকেও) দ্রৌপদীর সে ‘মুহূর্তের ‘‘দ্রৌপদী- যুধিষ্টির দশা’ চাক্ষুস করাতে হয়- আজীবন! দেবী বলে কথা! সে অভিশাপের কারনেই নাকি আজও হর হামেশা রাস্তা ঘাটে, হাটে বাজারে আমরা কুত্তা কুত্তীদের ‘দ্রৌপদী- যুধিষ্টির দশা’ প্রত্যক্ষ করছি! জয়তু মহাভারত!
বাঙ্গালা মুলুকে নাকি এখন ‘নব আইন হচ্ছে- প্রকাশ্যে চুম্বন দৃশ্য দেখা যাবে! ‘দ্রৌপদী- যুধিষ্টির দশা দেখার আইনও হয়তো এর হাত ধরে এক সময় এসে যাবে! - কান টানলে মাথা যেমন আসে – তেমন করে!
যৌন সুড়সুড়ি বড় শক্তিশালী ! সেই সুড়সুড়ি থেকেই, কোন ভীম কে যে ভীমরতিতে ধরেছিল যে ভেলেন্তাইন্স দিবসের নাম এর বাংলা অনুবাদ করেছে ‘ভালবাসা দিবস! আর এটাকে বৈধতার ছত্র ছায়া দেয়ার জন্য পত্রিকায় ভালবাসা দিবসের নামে লেখালেখি, বিশেষ সংখ্যা, প্রতিযোগিতা – এমন কি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একে প্রায় সর্ব সাধারনের গ্রহণযোগ্যতার পর্যায়ে তুলে এনেছে! সেই ভীমদেবকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয়! এরপর আসছে প্রকাশ্যে চুম্বন, এরপর প্রকাশ্যে ‘দ্রৌপদী- বস্ত্র হরণ – তার পর ----! যুধিষ্টির দশা! আহারে,কবে আসবে সেদিন- কিছু আবাল হয়তো প্রহর গুনছে!
ঘটনাক্রমে এরও পেছনে ‘আছে রসায়ন বা কেমিস্ট্রি! কিন্তু কখনো কখনও Myth is Stronger than the truth! মিথ ইজ স্ঙ্গার দ্যান ট্রুথ! মজনুকে নাকি তার প্রেমের লাইলীর স্মরণে পাগল হতে দেখে সে সময়ের সম্রাটের ইচ্ছে সেই ‘মহীয়সী নারীকে দেখার যে কিনা একজন প্রথিতযশা পুরুষকে রাস্তার পাগলে রূপান্তরিত করেছে! আনা হল সে মহিলাকে! সম্রাট অবাক হলেন- পরমা সুন্দরী তো নয়ই, এমন কি কুৎসিতই বলা যায় তাকে! সম্রাট মজনুকে ডাকালেন এবং জানালেন, তার রুচী সম্রাট কে মোটেই ‘ইম্প্রেস করে নি! মজনু স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জবাব দিলেনঃ আমার চোখ দুটো দিয়ে লাইলীকে দেখুন! তো এই হল সে রসায়ন! যার নয়নে যারে লাগে রে ভাল! সেটা লাগুক! তবে সেটা বৈধ হলে তো আমাদের আপত্তি নেই!
মানব জীবনে সে রসায়নের রস বা হরমোন এর ভূমিকা অপরিহার্য! টিন এজ (তের থেকে উনিশ) থেকে এর শুরু হলেও, এ হরমোনের কার্যকারিতা শেষ হতে আরও অনেক দিন। মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেকটা সন্তান সম্ভবা হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হলেই অনেকে ধরে নেয় তারা ‘জৈবিক চাহিদা কাটিয়ে উঠেছে, ( সঠিক নাও হতে পারে), কিন্তু পুরুষ প্রজাতি আরও দীর্ঘ সময় এর নাগপাশ থেকে মুক্ত নয়! তবে এটা গড়পড়তা সত্য যে, মানব জীবনের মধ্য সময়ের ২০ থেকে ৩০ বছর এই হরমোনের প্রকোপ অত্যাধিক। প্রেম ভালবাসার নামে যে জৈবিক আকর্ষণ তা এই সময়েই মূলতঃ প্রকট।
কিন্তু বাংলা নাটক সিনেমা! ‘অপন্যাস (উপন্যাস? না ) দেখলে মনে হবে- মানব জীবনের পুরোটা কেবল নর /নারীর প্রেম ভালবাসার আর সেই জৈবিক খরতাপের দখলে; বাকি সব কিছু গৌণ! কেউ এতে অমৃত ধারায় সিক্ত হয়, কেউ বা বিষের অনলে জ্বলে, কেউবা প্রতিহিংসায় উন্মাদ আর কেউবা আত্ম –বিধ্বংসী খেলায় মেতে উঠে! কেউবা দুদিনের মোহ শেষ হলেই বুঝে যায়- সে ‘ভুল করেছিল! কিন্তু ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ নেই; সেই ভুলের আগুনে বাকী জীবন জ্বলতে হবে!
আমার পরিচিত এক ‘জন আছে! তার নাম জন (John)। পরিচয়ের কিছুদিন পরেই সে জানতে চাইল, তোমার লাভার এর ছবি দেখাও! সলজ্জ হেসে বললাম –নেই! মানি ব্যাগ থেকে একটা উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীর ছবি বের করল সে, আমায় দেখিয়ে চক্কাম করে চুমু খেল- মাই হানি! কিছু দিন পর দেখি মানি ব্যাগের ছবি বদলে গেছে, সেখানে আরেক হানি’র ছবি! আগের Honey এখন ‘বিচ ( Bitch ) হয়ে আর এক নাগরের সাথে রাত্রি যাপন করছে, সে ও পেয়ে গেছে নূতন হানি! দুমাস না যেতে আরও একজনের সাথে তাকে দেখলাম শপিং মল এ, আমাদের ‘জনের নূতন হানি! ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে তাকে একটুও বিমর্ষ মনে হল না, সে ‘লুকিং ফর আ বেটার ওয়ান! আগেরটার মজা শেষ! এর আকাঙ্ক্ষা শেষ হওয়ার নয়।
কারও চুমু ভাল ছিল, কারও আলিঙ্গন- কেউ বা আরও ঘনিষ্টতর বিষয়ে! এর গায়ে বা পায়ে গন্ধ, সে নোংরা – সে পুরাতন প্রেমিকের সাথে ঘনিষ্ট হয় – সে লোভী, সে পেনিপিঞ্চার, She sucks! এর ও শেষ নেই!
সৃষ্টিকর্তা হয়তো সর্বাঙ্গ সুন্দর কাউকে করেন নাই- এক জনের একটা দোষ, অন্য গুন দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন; একটা দোষে অসন্তুষ্ট হলে আরেকটা গুন তাকে সন্তুষ্ট করবে! আমরা ভুলেই যাই, অনেক ক্ষেত্রেই- জীবনের আরেক নাম কম্প্রোমাইজ! কিন্তু ‘শুধুই Better one এর সন্ধান মানুষকে আর যাই হোক – তৃপ্তি দিতে পারে না। এক সময়, – আমার যা আছে আমি, তাই নিয়ে যদি তৃপ্ত হতে না পারি, আমাকে কেউ শান্তি দিতে পারবে না!
হরমোনের জোয়ার অসীম নয়, সীমিত! এই নির্দিষ্ট সময় সীমা পেরিয়ে গেলে- চিরস্থায়ী হতাশা কাউকে জড়িয়ে ধরতে পারে!
কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী! নিষিদ্ধ জিনিষের আকর্ষণ নাকি বৈধ জিনিষের থাকে অনেক বেশী! কাজেই ভালবাসা দিবস নাকি ভেলেন্টাইন্স ডে’র নামে তরুণ তরুণীদের যৌন সুড়সুড়ি দেয়ার যে বানিজ্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে- ফুল আর চকোলেট আর হোটেল রেস্টুরেন্ট এর মাধ্যমে যে প্রেমের বিপণন বানিজ্য শুরু হয়েছে – এর শেষ কোথায় তা আমরা জানিনা! কেউ এই সুড়সুড়িতে ভেসেও যেতে পারে, স্বাধীন দেশ, আমাদের ঠেকানোর সাধ্য নেই! আবার কেউ চাইলে- দায়িত্বশীলের মত ভাবতে পারে- এর শেষ কোথায়? নৈতিকতার মান দণ্ডে এই ধরনের ‘গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে যাওয়ার পরিণাম কি? আমি অবৈধ সুযোগ নিয়ে আজ যা করছি, আমার বোন বা মেয়ে যদি সেই একই ‘কর্ম ( অপকর্ম!) করে আমি কি তা মেনে নিতে পারব? সমাজের সর্ব স্তরে যদি এই প্রক্রিয়া শুরু হয় তাহলে কি হবে!
অনৈতিকতার স্রোতে, হরমোনের প্রতিক্রিয়ায় ভেসে চলা সমাজে কি হতে পারে তার একটা আনুমানিক চিত্র- কল্প কোথাও যেন পড়েছিলাম!
যারা ভালবাসা দিবসের ‘উৎসব শুধু নয়, ব্যবহারিক বাস্তবায়নে ‘জীবন পণ করেছেন তাদের পূর্ব পুরুষ এক পিতা তার ছেলেকে উপদেশ ছলে বলছেনঃ মাই সান! পাশের বাড়ির কেয়ার টেকার মেয়েটার ‘কাছে যেও না!
ছেলে জানতে চাইল- অযাচিত এ উপদেশ বানী – আর এ সতর্কতার কারনটা কি?
বাবা বলছেঃ তার সিফিলিস আছে! তুমি যদি তার কাছে যাও তো তোমার শরীরে সিফিলিস হবে! আর তোমার হলে, আমাদের মেইড মেয়েটারও হবে! আর তার যদি হয়,আমার শরীরেও সেটা সংক্রমিত হবে! আর আমার হলে – তোমার মায়ের হবে সে রোগ, বলা বাহুল্য! আর একবার যদি তোমার মায়ের হয়, তবে গোটা শহরে তা ছড়িয়ে পড়বে!
বিষয়: বিবিধ
২৩৬০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন