আহ! জামায়াতের কোন নেতাকে ঈদের দিনে যদি ফাঁসি দেয়া যেতো!!
লিখেছেন লিখেছেন যুথী ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:২০:৪৩ দুপুর
মানুষের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ করে, বা অন্যের মনে কষ্ট দিয়ে, বা একজন মানুষকে হত্যা করে তার লাশের উপর ডুগডুগি বাজিয়ে তার আত্মীয় স্বজনের মনে আগুন ধরানোর কথা আমাদের প্রধান মন্ত্রীর শব্দকোষে দারুন ভাবে স্থান পেয়েছে। তিনি মধ্যযুগে যা যা ঘটেছে, এবং পাশ্চত্য কর্তৃক মুসলমানদের কল্লা নিয়ে যা কিছু করা হচ্ছে, তার কিছু কিছু বাস্তবায়নের চেষ্টা যে চালায়ে যাচ্ছেন, সে কথা খুব পাশবিক ভাবে বলেছেন ইদানিং। Click this link
আগেকার আমলে ভিন মতাবলম্বী কে হত্যা করা হতো যত্রতত্র। বলা হত ওকে তো আমরা মারেনি, সে মরার জন্য আমাদের সামনে এসেছিলো। সাহাবী আম্মার বিন ইয়াসার কে যারা মেরেছিলেন আমাদের নবীর (স) ভাষায় তারা ছিলেন ইসলামের বিদ্রোহী গ্রুপ। এই বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, আম্মার এর হত্যা কারীদের তো বিদ্রোহী বলতে হয়। আপনি কি মনে করেন। তিনি স্বপ্রগলভ উত্তর দিয়েছিলেন, তাকে আমরা মারিনি, কারো পক্ষ থেকে সে এসে আমাদের তরবারির তলায় পড়েছে। ক্রসফায়ারে মরা কোন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী এই ভাবেই কথা বলেছেন।
খলিফা হারুনুর রশীদ অনেক ভালো কাজ করেছিলেন। কিন্তু বারমেকীদের মত শিক্ষিত ও সভ্য সভাষদ দের মেরে দজলা নদীর ব্রীজের উপর লাশ গুলো টাঙিয়ে রেখে যে উল্লাস দেখিয়ে ছিলেন তা আজো ইতিহাসে রক্তক্ষরণ করে যাচ্ছে। জামাআত নেতা কামরুজ্জামান কে ফাঁসি দিয়ে আর বিশ মিনিট টাঙিয়ে রেখে সেই উল্লাস যেন তিনি করলেন।
এখন তিনি ঈদের দিনে সাদ্দাম হোসাইনের ফাঁসির উদাহরণ টেনেছেন। এবং বুঝাতে চেয়েছেন তিনি এখনো অনেক রহম দিলের মানুষ। চাইলে তিনি সাদ্দাম হুসাইনের মত কাওকে ঈদের দিনেও ফাঁসি দিতে পারেন।
ঈদের দিনে ফাঁসি দিয়ে সাদ্দামের মত বাজে স্বৈরাচার ও আজ লক্ষ লক্ষ ইরাকীদের সিম্প্যাথী পেয়ে গেছে। তার ফাঁসির রায় দান কারীর মাথাটা ও বাগদাদের রাস্তায় টাঙানো ছিলো কয়েকদিন। আর ঐ ঈদের দিনের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আইসিসের মত এক উদ্ভট জংলি মারত্মক এবং অমানুষ গ্রুপ তৈরি হয়েছে যারা হত্যা করেই আত্মতৃপ্তি পাচ্ছে বেশি। জিঘাংশা ছাড়া তার বুঝছে না কিছুই।
এখন বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী ঈদের দিনে কাওকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছেন বলে মনে হয়। আমি ও মনে করি প্রধান মন্ত্রীর তাই করা উচিৎ। তার পরিবারের লোকদের হত্যার প্রতিশোধ তিনি না নিতে পারলে তার নাক, মুখ চোখের সাথে নির্গত শব্দ রাশি ও ভাষা থেকে বাংলাভাষার যে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি সপ্তাহে, তা ব্ন্ধ হবেনা। আমার মন বলছে তিনি কমপক্ষে একজন কে বেঁছে নিন ঈদের দিনে ফাঁসি দেয়ার জন্য। মীর কাসেম আলি, আলি আহসান মুজাহিদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান বা মাওলানা নিযামি, না হয় নিদেন পক্ষে সবার নয়নের মণি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে। এরপর তিনি হয়ে উঠবেন ন্যায়ের কান্ডারী। তখন হয়ত বাংলাদেশ মোড় নেবে আরেক হোরাইযোনের দিকে, লেলিহান শিখা যেখান হু হু করে গোংরাচ্ছে.......
বিষয়: বিবিধ
২০৪০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন