প্রিয় প্রেয়সী বধু! (বিবাহিতদের জন্য অসাধারণ একটি গল্প)

লিখেছেন লিখেছেন ইসলামিক রেডিও ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:১৪:২১ দুপুর



আফরিনের ঘুম ভাঙলো শীতল অনুভূতি নিয়ে। কার্তিকের এই ভোরবেলাতেও যে এমন জাঁকানো শীত নামতে পারে, তার ধারণা ছিলো না।

এমনিতেই সে শীতকাতুরে, তার ওপর কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়নি। রাতে যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো তখন বুঝা যায়নি শেষরাতে এমন শীত পড়বে। এখন গায়ের উপর কাঁথা দেখে বুঝতে পারলো, এটা নাঈমের কাজ। শীতল অনুভূতি নিয়ে ঘুম থেকে জাগার পর গায়ে কাঁথা টেনে আবার ঘুমানোর মধ্যে যে কী আরাম, নাঈম যদি তা বুঝতো! আফরিন বিছানায় হাত দিয়ে নাঈমকে খুঁজলো।

বাথরুমে জল পড়ার শব্দ হচ্ছে। নাঈম হয়তো অজু করছে। ফজরের আজান কি হয়ে গেছে? ওহ খোদা! এই শীত শীত ভোরে কেবল কাঁথা মুড়ি দিয়ে একটু আরাম করে শুলাম! এখন আবার উঠে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে অজু করতে হবে!

বাথরুম থেকে বেরিয়ে নাঈম দেখলো, আফরিন কাঁথা মুড়ি দিয়ে জড়োসড়ো হয়ে ঘুমিয়ে আছে। রুমে হালকা আলোর বাতি জ্বলছে। আফরিনকে ডাকবে কি ডাকবে না, ভাবলো একবার। থাক, আরেকটু ঘুমাক। মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে এসে ডাকলেও হবে। তখনও ফজরের সময় অনেকটা থাকবে।

নাঈম পাঞ্জাবি-টুপি পরে দরজা খোলার জন্য এগিয়ে গেলো। এমন সময় আফরিন ডাক দিলো পেছন থেকে—

‘এই শোনেন।’

—‘জেগে গেছো তুমি? আমি ভাবলাম মসজিদ থেকে এসে ডাকবো তোমাকে। কী, বলো?

বাকিটুকু পড়ুন: এখানে

বিষয়: বিবিধ

১২১০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384060
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০৮:৪২
হতভাগা লিখেছেন : এরকম কি অন্যের নামাজ পড়ে দেওয়া যায় ?

মেয়েদের কি ছাড় আছে এ ব্যাপারে শরিয়তে যেমনটা মনুষ্য আইনে থাকে ?
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ০১:২৮
316863
ইসলামিক রেডিও লিখেছেন : ভাই! আপনি পুরোটা পড়লে অবশ্যই লক্ষ্য করতেন এখানে অন্যের নামাজ পড়ে দেয়াটা নিছক কথা ছিলো। নাঈম ঠিকই জানে তার স্ত্রী নামাজ না পড়ে থাকবে না এবং তার চেয়েও তার স্ত্রী নামাজে সচেতন সেটা বলেই দেয়া হয়েছে যা দ্বারা সহজেই অনুমেয় হয়ে যায় যে, নামাজ সে নিজেই পড়েছে। তাহলে অন্যের নামাজ পড়ে দেয়ার প্রসঙ্গ আসে কোত্থেকে?
আর মেয়েদের শরীয়তে নির্ধারিত পিরিয়ড চলাকালীন সময়েই শুধু ছাড় আছে এটাও জানা কথা। ধন্যবাদ।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ দুপুর ০২:৩৬
316867
হতভাগা লিখেছেন : পিরিয়ডের সময় কি আরেকজন নামাজ পড়ে দেয় , নাকি ঐ সময়ে নামাজ উহ্য থাকে ?

এরকম আহলাদ কি ঠিক ?
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ রাত ১০:২৩
316869
ইসলামিক রেডিও লিখেছেন : ভাই, এখানে কোথায় এরকম বলা হয়েছে? একটু পজিটিভলি নিলেই প্রবলেমটা হয় না। এখানে সম্পূর্ণ শরয়ী আমেজ বজায় রেখে রোমান্টিজমের প্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি একটু বুঝতে ভুল করছেন। এখানে একজনের নামাজ পড়ে দেয়ার বিষয়টা কোথায়? দেখিয়ে দিলে ভালো হত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File