ভ্যালেন্টাইনের তাৎপর্য (!)
লিখেছেন লিখেছেন ফারাসাত আলী খান ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:৩৫:০১ দুপুর
এর নামকরণ করা হয়েছে 2nd century 'র এক তরুন খৃষ্টান ধর্মযাজক এবং পাদ্রী ভ্যালেন্টাইনের নামে। তৎকালীন রোমের সম্রাট বিশেষ কোন কারনে বেচারা ভ্যালেন্টাইন কে কারাগারে আবদ্ধ করে। তবে কথিত রয়েছে, ভ্যালেন্টাইন প্রেমিক প্রেমিকাদের বিবাহ দিতে ভালোবাসতেন আর একারণেই(?) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তীতে জেলের ভেতরে ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় এক অন্ধ মহিলার। সেই মহিলা ভ্যালেন্টাইনের সেবা ও চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং ভ্যালেন্টাইনকে ভালোবেসে ফেলেন।
...এর কিছুদিন পরেই ভ্যালেন্টাইনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। মৃত্যুর পূর্বে ভ্যালেন্টাইন সেই মহিলাকে একটি চিঠি লিখে যান। চিঠি পড়ে সেই মহিলা আত্মহত্যা করেন। ধারনা করা হয়ে থাকে ভ্যালেন্টাইকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ২৭০ খৃষ্টাব্দের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। আর সেই মহিলা আত্মহত্যা করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। পরবর্তীতে একই দিনে ভালোবাসা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ঘটনা কাকতালীয় ভাবে মিলে যাওয়ায় ৪৭৬ খৃষ্টাব্দে তৎকালীন রোমান সম্রাট একে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করেন।
সম্ভবত ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশে এই কালচার অনুপ্রবেশ করে চলছে। জানিনা কবে এর শেষ হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, যারা এদেশে এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি ঘটা করে পালন করে তারা বোধহয় এটা জানেনা যে, এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি কারো মৃত্যুদিবস। যদি জেনেই থাকতো তাহলে তো আর এই দিনকে এতটা জঘন্য স্টাইলে পালন করতো না।
আর যারা বলে, এদিন কেও তার ভালোবাসার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলো তাই তার সন্মানার্থে আমরা এ দিবস পালন করি। আমি তাদের বলি, সেই আত্মহন্ত্রীর প্রতি তোমাদের এতোই যদি দরদ হয় তাহলে তোমরাও তার ত্যাগের ধারাবাহিতা বজায় রাখার জন্য নিজেরাও আত্মহনন করছোনা কেন?
বহু বছর আগে কেও তার ভালোবাসাকে না পাওয়া অথবা হারানোর ফলে আত্মহন করেছিলো এটাই যদি হয়ে থাকে ভালোবাসা দিবসের শিক্ষনীয় বিষয় তাহলে কীভাবে এটা সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে? একজন সুস্থ সচেতন মস্তিষ্কের মানুষ কীভাবে এদিবস কে স্বীকৃতি জানায়?
আমি জানি আমার এ লেখা সমাজকে বদলে দিতে পারবে না। সেটা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমিতো আমার স্রষ্টার আদেশ পালনের নিমিত্তে আমার কর্তব্য পালন করছি মাত্র। আমার স্রষ্টা এটা দেখবেননা যে আমি সমাজকে এই জঞ্জাল থেকে মুক্ত করতে পেরেছি কীনা বরং তিনি দেখবেন সমাজের এ জঞ্জালকে মুক্ত করার জন্য আমি কী পদক্ষেপ গ্রহন করেছি।
কেয়ামতের ময়দানে যখন প্রত্যেককে জিজ্ঞেস করা হবে আমর বিল মা'রুফ, নেহি আনিল মুনকার অর্থাৎ তুমি মানুষকে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ করেছ কীনা? সেসময় আমি অন্ততপক্ষে এতটুকুন তো বলতে পারব, ইয়া আমার রব আমি চেষ্টা করেছি।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন