রিফিউজিদের দুর্ভোগ চিত্র - আমাদের দুখঃ-বিলাস আর ফাঁকে কিছু প্রশ্ন আপনাদের খেদমতে
লিখেছেন লিখেছেন হাসান ইমাম পারভেজ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৫:৫৫ বিকাল
একটা ভিডিও চিত্র(https://youtu.be/hXfnUt5aTqQ) দেখলাম মানবগোষ্ঠীর এক অংশের উপর। যারা এখন পরিচিত সিরীয় রিফিউজি হসিাবে। দেখতে খারাপ লাগলো সর্বহারা মানুষদের, জীবনের দিকে - পথচলা দেখে।ভিডিওটিতে পাঁচ আরব দেশের নেতাদের দিকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল আর ইরানের দিকে প্রশ্ন না তুলেই। যেই তুরুস্ক প্রায় ২০ লক্ষ রিফিউজি গত কয়েক বছর ধরে আশ্রয় দিচ্ছে, খাবার দিচ্ছে সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।পুরো ইউরোপ আর বাকী বিশ্ব কত রিফিউজি কোটা ঘোষনা করেছে তার সংখ্যা সাহস করে বলতে পারেন। সংখ্যাট নগণ্য কিন্তু প্রচারণাটা বিশাল।
আবার, আরবীয়দের দেখানো হল বিলাসে মত্ত। বায়তুল্লাহ কে দেখানো হল।ভিউয়ারদের সামনে প্রশ্ন তুলে ধরা হলাঃ মক্কা মদীনা তোমাদের কাছের না মধ্য ইউরুপ? ভাবের উত্তরটা এমনযে – মুসলিম বিশ্ব ব্যার্থ্ আর খ্রীষ্টিয় ইউরোপ সফল। এটাতো পেছন দিকদিয়ে মুসলিমদেরকে নী্চু দেখানোর জন্য করা হয়েছে যুদ্ধের দানবীয় ফল তুলে ধরার নামে। আর আমরাও ভাসছি সেই প্রচারণার জোয়ারে, আগ পিছ বিবেচনা না করে। অথচ আমাদের ভাব প্রকাশক প্রশ্ন হওয়া দরকার ছিল এমনঃ কেন এই যুদ্ধ? কারা দিচ্ছে এই যুদ্ধের মদদ? কারা বহু বছর ধরে এই আরব দুনিয়ার মানচিত্র নিজেদের মধ্যে বন্টন করে রেখেছে? কারা নতুন করে আরব মানচিত্র প্রণয়ণ করছে? আর কারা এর সুফল ভোগী এই প্রশ্ন গুলিও আসা জরুরী ছিল।
এই ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, রাজতান্ত্রিক, উদার ভোগবাদী গণতান্ত্রিক বা তাগুতি শৃংখলহীন বাণিজ্যিক বিশ্ব ব্যাবস্থা কতটা মানবিক তার নেক্কার জনক স্বাক্ষী এই উদবাস্তু সমস্যা।
আন্যদের দিকে আঙ্গুল তোলার আগে আমাদের কি নিজেদের দিকে তাকানোর সাহস আছে? আমরাকি দ্বীন ইসলাম কে কিছু আচার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করিনি?
এইতে কিছুদিন আগে, যখন রোহীঙ্গারা সমুদ্রে ভেসে বাংলাদেশ উপকূলে ভিড়ছিল তখন তাদেরকি আমরা সমুদ্রে ঠেলে দেই নাই! কি অপরাধঃ উদবাস্তুরা আমাদের শ্রমবাজার দখল করছে, আর অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে আর প্রসার করছে? এই শুনে আমরা সবাই একাট্টা বা চুপ। ফলছিল, আর তাদের যায়গা দেবনা।
আবার আমরা দেখলাম যে, মানবতার নামে ভেসে আসাদেরকে - বোতলজাত পানি দিয়ে উত্তাল সমুদ্রে ঠেলে দেয়া!
যেই স্বক্ষ্য দিয়ে আমরা উম্মাহ সেই ঘোষনার মূল আত্তিক শক্তি আজ আমরা হারিয়েছি। ফলে এই উম্মাহর(একক জাতির) কর্ম্ শক্তি শেষ। জ্ঞানের আর প্রযুক্তির নেতৃত্ত্ব শূণ্য। ভোগবাদ ই আজ চালিকা শক্তি। দ্বীন ইসলাম আজ ব্যাক্তি আচার ধর্মে নির্বাসিত।আমাদের হয়ে চিন্তা আর কাজ পরিচালনা করছে ব্যাক্তি স্বার্থান্বেষী কুশিক্ষিত শোষক মহল।আমাদের স্বরণেই নেই খলিফা ওমর (রাঃ) এর শাশনাধীন সময়ে, তার অধিনস্থ সীমান্ত নদী তীরবর্তী এক কুকুরের না খায়ে মরার, জবাবদিহিতার দায়ভার জনিত আল্লার ভয়ের উদাহরণ।ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে উপমাহাদেশে আগত বীর মুজাহিদ দের, যারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছিল এদেশিয় মুসলিমদের সাহায্য করার জন্য।
কাজ না করে ফল পাওয়ার আশা আর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমালোচনা করে চোখের জল ফেলা একধরনের বিলাসিতা। ব্যাক্তি থেকে দেশের সামষ্টিক বিবেচনা, আত্নসমালোচনার আওতায় আনতে হবে। দেশে থেকেই, জাতীয়তার সংকীর্ন্ দেয়াল ভুলে কল্যাণকর কাজের পরিকল্পনা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের কর্মের শক্তি দেন আর ভুলগুলি কাজ আর তওবার মাধ্যমে উৎরে যাওয়ার পথে পরিচালিত করেন।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখন সেই সম্পদে ভাগ নেবার জন্য আসছে শোষিতদের বংশধরেরা । এটা হতই ।
কোন ভাবেই ওরা এটা ঠেকাতে পারতো না কারণ এত সম্পদ লুটে এনেছে যে ভোগ করার জন্য উত্তরাধিকার এদের নেই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন