প্রসজ্ঞ তাবলীগ : বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে, চক্ষু লজ্জায় বা নিজের অজান্তেই মসজিদের পবিত্রতা রক্ষায় কিছু মারাত্বক ভূল
লিখেছেন লিখেছেন সত্যের সন্ধ্যানে ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৯:১১:০৮ রাত
সদ্য এইচ এস সি (আলিম)পরীক্ষা দেওয়া ছাত্র আমি।লেখাপড়া করেছি গ্রামের মাদ্রাসাতে।সেখানকার শিক্ষকদের থেকে ছাত্ররাও হয়তবা বেশিই জানতো।।আসল কথাই আসা যাক ।।
তাবলীগ সহ সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি সম্মান রেখে আমার লেখাটা লিখছি।এটা লেখার একটি মাত্র উদ্দেশ্য যাহাতে করে পবিত্র স্থান ,মসজিদ যেন অপবিত্র না হয় ।
২০০৮ সালের ঘটনা জীবনের প্রথমবার তাবলীগে গেলাম মাসটা ছিলো সম্ভবত ডিসেম্বর।ঢাকা কাকরাইল থেকে আমাদেরকে সুন্দরবন অর্থাৎ বাগেরহাটে চিল্লায় পাঠানো হলো।ঢাকা থেকে প্রথমে বাগেরহাটের রামপাল থানায় আমাদের তাবলীগী কাজ পরিচালনা শুরু করলেন মুরুব্বিরা ।
সকল মসজিদের নাম আমার মনে নাই । তবে চেয়ারম্যান বাড়ী একটা মসজিদ আছে সেটা মনে আছে।রামপাল থানার মধ্যে পড়ে ।
প্রায় অনেক দিনের কেটে গেলো চিল্লায় । তারপর চেয়ারম্যান বাড়ী মসজিদ ছেড়ে যখন আমরা একটা মসজিদে গেলাম মসজিদটা ছোট ছিলো।তবে সেখানে জ্বীনদের আনাগোনা অনেক বেশি ছিলো।
সকালে এই মসজিদ থেকে আমরা অন্য মসজিদে যাবো ঠিক সেদিন আমি ফজরের নামাজ শেষে ৬ নম্বর শোনার পর । ঘুম পাচ্ছিলো তাই একটু ঘুমাতে গেলাম ঘুম থেকে উঠে দেখি তখন বাজে সকাল ৯-১০ টা । সবাই আরেক মসজিদে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমর স্বপ্নদোষ হয়ে গেছে।আসপাশে দেখে মসজিদ থেকে বের হয়ে পুকুরপাড়ে গেলাম তবে কিছু না নিয়ে কারন আমি ঘুমিয়েছিলমা মসজিদের বারান্দায় । আর আমার জামা-কাপড় ছিলো মসজিদের মধ্যে তাই ব্রেড টা গুছিয়ে চলে গেলাম পুকুর পাড়ে সম্ভবত বীর্যটা আমার কাপড় থেকে মসজিদের মেঝেতে লাগতে পারে।(আমি আল্লাহর কাছে ক্ষামা প্রাথনা করছি)।
তারপর মুরুব্বিরা তারাতারি ডাক দিয়ে বললো আমরা রওনা দিবো। আামার গোসল করা হলো না।চক্ষু লজ্জায় কিছু বলতেও পারলাম না ।এমন অবস্থায় রওয়ানা দিলাম।
তারপর ওখান থেকে আরেক মসজিদে গোসল ছাড়াই প্রবেশ করেছিলাম শুধু বেডিংটা রেখেই বেড়িয়ে আসলাম গোসল করার জন্য পুকুর পাড়ে।
এটার জন্য নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয় (আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন) সেটা আমার ইসলামী জ্ঞান এবং আল্লাহ ভীতি সম্পর্কে না জানার কারনে হয়েছিলো। যদিও আমি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম ।তবুও সেই সময় ইসলাম সম্পর্কে ধারনাটা তেমন ছিলো না।
লেখাটা লিখলমা এই জন্য যে যাতে করে আমাদের পবিত্র স্থানটি আর নাপাকি না হয়।সচেতনতার জন্য ।আর সপ্তাহে অথবা মাসে যেন সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করা হয় মসজিদগুলোকে । কারন অনেক ভাই আছে যারা নিজের অজান্তে বা চক্ষু লজ্জায় এমন ভূল করতে পারে।
প্রসজ্ঞ তাবলীগ বলার কারন হলো মসজিদে তাবলীগের ভাইয়েরা রাত্রি যাপন করে থাকে। তাই সবাই যেন সচেতন থাকে। আমার মতো ভূল যাতে কেউ না করে সেই জন্যই লেখাটা লিখলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : আশা করি আমি এবং আমরা আমাদের নিজেদের ভূল সংশোধনের মাধ্যমে নিজেকে এবং অন্যদেরকে সঠিকটা ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
(আল্লাহ অামাদেরকে সঠিক পথে চলার তৈফিক দান করুন)আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১৯৭২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাজাকাল্লাহ খায়ের
ছবিটা কোন মসজিদের ভাই? পুরান ডিজাইন।
তাই অনেক আলেম বলেন বির্য নাপাক নয় এটি এমন একটি বস্তু যা আমরা অপছন্দ করি যেমন: নাকের ময়লা অপছন্দনিয় বা ঘাগড়া অপন্দনিয় অথচ তা নাপাক নয়।
আর যদি বলি নাপাক তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়: রসুল (সা) ও বির্য থেকে তৈরি তাহলে কি তিনি নাপাক থেকে তৈরি? নাপাক থেকে তৈরি হয়ে কি আবার পাক হওয়া যায়?
আমার পীরসাহেব অবশ্য বির্যকে নাপাক মানেন।
মসজিদের পবিত্রতা বা আদব রক্ষার্থে মসজিদের বাহিরে তাবু খাটিয়ে থাকাই বাঞ্চনিয় মনেহয়।
তখন আপনার কী করা উচিত তা শরিয়তের বিধানে লেখা আছে। তা আপনি জানেন না বলে দোষ শরিয়তের হয়ে যাবে না।
তাবলীগ শব্দ এখানে না এনে বলুন যে কারো এই অবস্থা হলে শরিয়তে তার হুকুম এই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন