দেব দাদাদের কথা কি অমান্য করা যায় !
লিখেছেন লিখেছেন মানবাধিকার চা্ই ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:৩৬:০৯ দুপুর
পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এর সফরকে নিয়ে কত হুলুস্থুল কান্ড, যেন এবার সব সমস্যার সমাধান রাতারাতি হয়ে যাবে, তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি সহ আরও যত আঞ্চলিক অমিমাংসিত ইস্যু আছে এবং বন্ধ হবে ফেলানীর মত নিরিহ বাংলাদেশির লাশ হওয়া । কিন্তু না কিছুই হলনা শুধুমাত্র ভালবাসার বন্যায় বাংলাদেশের মানুষকে ভাসিয়ে দিয়ে গেলেন তারা ।
তারা কেন এ সফরে এসেছেন তা মমতার সফর সঙ্গীদের দেখেই বোঝা গেছে । অভিনেতা, পরিচালক, শিল্পী সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে ভরা ছিল এ সফর, আর আমরা বোকারা ভেবেছি অন্যকিছু হায়রে বাংলাদেশি তোদের দেখে অনেক মায়া হয়, তোরা এত নিরিহ, এত সহজ সরল যেন বর্তমান পৃথিবীতে বিরল ।
অভিনেতা দেব তো বলেই ফেললেন তাদের আসার উদ্দেশ্য । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘বৈঠকি বাংলা’। অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত দেব বলেন, আমাদের ভাষাটা (বাংলা) পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে। আমি জানি, আমরা কেউ এটা আমাদের জন্য করছি না। আমাদের জীবনটা খুব ভাল কেটেছে বা কেটেও যাবে। কিন্তু সমাজে আমরা যে স্থানটাতে আছি, এটা আমাদের দায়িত্ব, এ ভাষাটাকে নিয়ে আমাদের কিছু বলা উচিত। সে কারণে হয়তো আমরা এখানে এসেছি। আমাদের স্বপ্ন এক, আমাদের ইচ্ছেটাও। সবকিছুই যখন এক, তাহলে আমরা দুই সরকারকে বলি যে প্লিজ, এপার বাংলা, ওপার বাংলাকে এক বাংলা করে দাও (মানবজমিন) ।
দেবের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পরিচালক ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, আশা করি বাংলাদেশের প্রতি এই প্রেম কলকাতায় ফিরেও অব্যাহত রাখবেন।
আমরাও ফারুকীর সাথে একমত, কি দরকার এত সব চুক্তিটুত্তি , এত সব ঝামেলা তার চেয়ে বরং দুই বাংলা এক হয়ে গেলে সব সমস্যার অবসান হয়ে যেত, আমরা মমতার মত একজন বলিষ্ঠ নেত্রী পেতাম, কতনা ভাল হত !
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তখন দেখা যাবে এত পিরীতি কোথায় যায় ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন