জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের কিছু ধারা ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গী ( ৩য় অংশ)
লিখেছেন লিখেছেন মানবাধিকার চা্ই ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:৫৭:৪৩ দুপুর
ধারা -১২ কাউকে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, পরিবার, বসতবাড়ী, চিঠিপত্রের উপর হস্তক্ষেপ করা যাবে না ।
হে ঈমানদারগণ ! তোমরা নিজেদের বাড়ী ব্যতীত অন্যের বাড়িতে বাড়ির মালিকের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদের ছালাম না দিয়ে প্রবেশ কর না । এটাই তোমাদের জন্য কল্যানকর ব্যবস্থা, হয়ত তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে । যদি তোমরা বাড়িতে কাউকে না পাও তাহলে তাতে প্রবেশ করবে না যতক্ষন তোমাদের অনুমতি না দেওয়া হয় । যদি তোমাদের বলা হয় ফিরে যাও তবে ফিরে যাবে । এটাই তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত । নুর ২৭-২৮
এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা কর না । তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে ? বস্তুত: তোমরা একে ঘৃনাই করবে ।হৃজরাত-১২
তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয়াদি উদঘাটনে লেগে যাও তবে তোমরা তাকে বিগড়ে দেবে কিংবা অন্তত বিগড়ানোর পর্যায়ে পৌছে দেবে । আবু দাউদ
একদা রাত্রীবেলা উমর রা: নাগরিকদের খোজ খবর নেওয়ার জন্য বের হলেন । তিনি আচানক এক ব্যক্তির ঘরে গানের শব্দ শুনতে পান । তার সন্দেহ হলে তিনি দেওয়ালের উপর আরোহন করে দেখলেন যে ওখানে সুরা মজুদ আছে তার সাথে আছে এক নারী । তিনি সজোরে বললেন হে আল্লাহর দুশমন তুই কি মনে করেছিস যে, তুই নাফরমানী করতে থাকবি, আল্লাহ তা ফাস করে দেবেন না ? লোকটি উত্তর দিল , হে আমীরুল মুমিনীন! ব্যস্ত হবেন না, আমি যদি একটি অপরাধ করে থাকি তবে আপনি করেছেন তিনটি অপরাধ । আল্লাহ গোপনীয় বিষয়াদি অন্বেষন নিষেধ করেছেন, আদেশ দিয়েছেন সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে এবং অনুমতি ছাড়া প্রবেশ না করতে ।
এর পর ওমর রা: ভুল স্বীকার করলেন এবং গৃহকর্তার বিরুদ্দে কোন ব্যবস্থা নেন নি ।
ধারা -১৭ সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার, খেয়াল খুশিমত মালিকানা অধিকার বঞ্চিত করা যাবে না ।
তোমরা পরস্পরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কর না । বাকারা ১৮৮
যে ব্যক্তি নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় সে শহীদ । বুখারী
মদীনায় মসজিদে নববী নির্মানের জন্য মহানবী স: যে স্থানটি নির্বাচন করেছিলেন তা ছিল দুই জন ইয়াতিম বালকের মালিকানাধীন । তারা তাদের মালিকানাধীন ভূমি খন্ডটি বিনামূল্যে মসজিদের জন্য দান করতে চেয়েছিল । কিন্তু মহানবী স: তত্কালীন বাজারদর অনুযায়ী তা পরিশোষ করে ভুমি খন্ডটি গ্রহন করেন ।
বিদায় হজ্জের ভাষণ- হে লোক সকল ! তোমাদের জান মাল ও ইজ্জত -আবরুর উপর হস্তক্ষেপ তোমাদের উপর হারাম করা হল । তোমাদের আজকের এই দিন , এই মাস এবং এই শহর যেমন পবিত্র ও সম্মানিত, অনুরুপ উপরোক্ত জিনিসগুলো সম্মানিত ও পবিত্র । সাবধান আমার পরে তোমরা পরস্পরের হত্যা করে কাফেরদের দলভুক্ত হয়ে যেও না। বুখারী -আবু দাউদ
জাতিসংঘের এই ধারা গুলোর বাস্তবায়ন কবে দেখতে পাবো তার কোন সদুত্তর আমাদের কাছে নেই ।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন