বিশৃঙ্খলা তৈরিই গ্রীক মূর্তি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য
লিখেছেন লিখেছেন আশাবাদী যুবক ২৬ মে, ২০১৭, ১০:৩০:৪৬ রাত
সুপ্রিম কোর্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৬০ সালে৷ এটি পাকিস্তান হাইকোর্টের একটি শাখা হিসেবে কাজ করে আসছিলো৷ স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট হিসেবে কাজ শুরু করে৷
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছর পর্যন্ত সুনামের সাথেই দেশের একমাত্র এই উচ্চ আদালতটি কাজ করে আসছিলো৷ এ সময়ে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও অনেক মামলার সুরাহা করে ন্যয়বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছিলো সুপ্রিমকোর্ট ৷ এর জন্য প্রয়োজন হয়নি “ন্যয়বিচারের প্রতীক" হিসেবে কোনো ভাষ্কর্য্য বা মূর্তির৷
তাহলে এতো বছর পর এই মূর্তি স্থাপন কেনো?
মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা৷
এই মূর্তি বা ভাস্কর্য্য স্থাপনের শুরু থেকেই এর ভাস্কর ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এটি স্থাপনের পিছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি৷ কখনো বলেছেন এটা গ্রীক দেবী থেমিসের প্রতিমূর্তি বা ভাস্কর্য্য, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত প্রাঙ্গনে ন্যয়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপন করা হয়৷ সে জন্য এখানে এটি স্থাপন করা হয়েছে৷ আবার কখনো সে অবস্থান থেকে সরে যেয়ে বলেছেন, এটা গ্রীক দেবীর ভাস্ক্রয্য নয়৷ কারণ গ্রীকদেবীতে স্কার্ফ পরানো থাকলেও এখানে শাড়ী পরানো হয়েছে৷ আবার কখনো এই মূর্তিকে সংস্কৃতির অংশ বলে দাবী করা হয়েছে৷ আসলে সবসময়ই বিষয়টা নিয়ে একটা গোজামিলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে৷
উপরন্তু, মূর্তি স্থাপনের দায় সরকারও কৌশলে এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু, পুরো বিষয়টি যে সরকারের ইচ্ছায় ও মদদে হয়েছে তা বুঝতে খুব বেশি জ্ঞানী হবার প্রয়োজন নেই৷
সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী বলেছেন যে বিষয়টি সুপ্রিমকোর্ট ও প্রধান বিচারপতির এখতিয়ারে, সরকার কিছুই জানেনা৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, এ মূর্তি এখানে কেনো???
এখন প্রশ্ন ওঠে, সরকারের নলেজের বাহিরে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত এমন একটি নির্মাণ কাজ চলা কি সম্ভব?
এটি নির্মাণে কে বা কোন প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করলো?
অনুমতি কে দিলো?
মূর্তি স্থাপনের শুরু থেকেই ইসলামী দলগুলো সহ বিভিন্ন মহল ও আপামর দেশবাসীর পক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা সত্ত্বেও কেন নির্মাণ কাজ বন্ধ হলোনা?
কেনো হেফাজত সহ বিভিন্ন ইসলামী দলকে রাস্তায় নামানো বা নামতে হলো?
কেনোই বা আবার হঠাৎ করে রাতের আঁধারে এটি সরিয়ে নেয়া হলো?
কেনো কিছু বাম সংগঠনের নেতা কর্মীরা রাতে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে সুপ্রিমকোর্টের মূল ফটক ভাঙ্গার চেষ্টা করলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যাবস্থা নিলোনা?
এসব প্রশ্নের একটাই উত্তর, সরকার বিভিন্ন মহলকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে রেখে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ফায়দা লুটতে চায়৷ আর তাই সরকারের ইশারায় এসব মূর্তি স্থাপন ও সরানোর নাটক মঞ্চায়িত হয়৷
বিষয়: বিবিধ
১০৫৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিষয়টি আপনি আর আমি বা আমাদের মত ১০% লোক বুঝলে তো কোন লাভ নেই । কারণ ৯০% লোক এখানে হাসিনার ক্রেডিট দেখছে । আর এই ৯০% লোকের এটা নিয়ে কোন কোয়্যারী নেই যে - কার নির্দেশেই বা এই মূর্তি হাইকোর্টের সামনে প্রথমে স্থাপন করা হয়েছিল?
০ হাসিনা বাংলাদেশের এই ৯০% মানুষের মনোভাব
ভাল বুঝেন বলেই উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছেন । কারণ ম্যাক্সিমাম দেশবাসীই হাসিনার এই প্রশ্ন করাকে মূল্য দেবে । বলবে - প্রধানমন্ত্রীই ব্যাপারটাকে পছন্দ করেন নি । এটা জানার চেষ্টাও করবে না যে টপ লেভেল পর্যায়ের সন্মতি না পেলে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থাপনায় লোকজনের হরহামেশা যাতায়াতের পথে এরকম একটা বিশাল মূর্তি স্থাপিত হত না।
ভোটের রাজনীতিতে দেশের মূলস্রোতের নাগরিকদের পাশে পাবার জন্যই এই কাহিনী রচিত হয়েছে।
বাংলাদেশে ভয়ংকর একটা রায়ট বা বিশৃঙ্খলা লাগানোর জন্য একটা টিম মনে হয় দিনরাত মাথা খাটিয়ে যাচ্ছে এবং টাকা ঢেলে যাচ্ছে । এদের কাজ হচ্ছে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগনের ফোকাস জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতেও সরিয়ে রাখা ।
সেটারই ধারাবাহিকতায় এখন সাভারে জঙ্গি অভিযান চলছে , চ্যানেলগুলো লাইভ দেখাচ্ছে।
মূর্তি নিয়ে ফূর্তিবাজি বেশীক্ষণ স্থায়ী হল না !
চমৎকার লেখা। চালিয়ে যান। ব্লগটাকে
বাঁচিয়ে রাখেন।
সমাজে এটা থাকবে। এক দল জঙ্গি,
বাই ফোর্স ইসলাম কায়েম করতে চাও।
এক দল গনতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে চায়। আর দল যেভাবে ইসলাম এসেছে, সেভাবে ইসলাম কায়েম করতে চায়। স্বপন ভাই যে দুটো ভিডি দিয়েছে,ওটাই নবী ও রসূলদের পথ ছিল। আপনিও ভিডিও দেখতে পারেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন