ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও ভূতের গল্প
লিখেছেন লিখেছেন আশাবাদী যুবক ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৭:৪১:৪৮ সন্ধ্যা
ডঃ মুাহাম্মদ জাফর ইকবাল, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত ৷ তার লেখা অনেক বই বাজারে পাওয়া যায় ৷ এর মধ্যে তার লেখা সায়েন্স ফিকশন খুব জনপ্রিয় ৷ গণিত ও সায়েন্সের বিভিন্ন বিষয়েও তার বই রয়েছে ৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত গণিত অলিম্পিয়াডের সাথের তিনি সম্পৃক্ত ৷
বছর ২ আগে “তোমরা যারা শিবির করো“ শীর্ষক একটি কলাম লিখে হয়েছিলেন ব্যাপকভাবে সমালোচিত ৷
তিনি সায়েন্স নিয়ে কাজ করেন ৷ আবার ভূতের গল্পও লিখেন ৷ বিষয়টি খুবই সাংঘর্ষিক ৷ দীর্ঘদিন যাবত প্রচন্ড ইচ্ছা ছিল স্যারের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করার ৷ কিন্তু চাইলেই কি আর আলাপ করা যায়! অবশেষে কিছুদিন আগে স্যারের সাথে দেখা করা ও আলাপ করার মওকা পেলাম ৷ এবং আলাপ আলোচনাও করলাম বিষয়টি নিয়ে ৷ স্যারের কথা শুনে তো রীতিমত আমি অবাক ৷
বললাম “স্যার আপনি তো সায়েন্স নিয়ে কাজ করেন কিন্তু আপনি ভূতের গল্প লিখেন কেন? এটাতো সায়েন্স এলাও করে না ৷“
“তুমি আমার ছাত্রের মত ৷ তবুও বলছি, এটা মূলত পাবলিক ডিমান্ডের কারণেই লিখতে হয় ৷“ স্যারের জবাব ৷
“স্যার একটু বিস্তারিত বলবেন কি?“ আমি জানতে চাইলাম ৷
“আসলে মানুষ এখন সাহিত্য বলতে বুঝে তরল প্রেমের গল্প, গোয়েন্দা গল্প, ভূতের গল্প আর পর্ণোগ্রাফি বা চটি গল্প ৷“ স্যারের সরল উত্তর ৷
এমন উত্তর শুনেতো আমি যার পর নাই বিষ্মিত ৷ বিষ্ময় চেপে রেখে আবার জানতে চাইলাম, “কিন্তু স্যার আপনি কেন এসব লিখেন?“
“ঐ যে বললাম পাবলিক ডিমান্ড ৷ বাজারে টিকে থাকতে হলে, টাকা ইনকাম করতে হলে এগুলো না লিখে উপায় নেই ৷ টাকা কামাতে এখন সাহিত্যিকরা এখন আরো কত ফন্দি করে ৷ এখন তো তাবৎ তাবৎ সাহিত্যিকরা মার্কেট ভ্যালু বৃদ্ধি করতে একই বই একবার লিখে বাজারে কয়েকটা সংস্করণ ছেপেছে বলে চালিয়ে দেয় শুধু সংস্করণ সংখ্যার নাম্বার চেঞ্জ করে ৷“ এমন আরো অনেক ভিতের কথা বললেন স্যার ৷
এমন ধরণের কথা শুনে আর মন চাইলো না এ নিয়ে আর কথা এগোতে ৷ তাই অন্য প্রসঙ্গে ৷
শুধু মনে মনে ভাবলাম সাহিত্যিকরাই যদি সাহিত্যকে এভাবে মূল্যায়ন করেন, পাবলিক ডিমান্ডের কথা বলে এধরণের লেখা লেখে যান, ভাল মানের সাহিত্য রচনা করে মানুষকে সাহিত্যের মূল ধারায় নিয়ে আসতে কাজ না করেন তবে বাংলা সাহিত্যের আকাশে যে কালো মেঘ জমেছে তার বর্ষণে প্লাবিত হয়ে যাবে তা বলাই যায় ৷
বিষয়: সাহিত্য
২৩৭৬ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি একজন লেখকের মাধ্যমে উনার সাথে দেখার করার সুযোগ পেয়েছিলাম ৷ তখনই ১০-১৫ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলাম ৷
সবসময় পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে গেলে লেখকের নিজস্ব স্বকীয়তা থাকে না, তেনারও হয়েছে তাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন