সহিংসতা উসকে দেয়ার কি আপ্রাণ চেষ্টা!
লিখেছেন লিখেছেন আশাবাদী যুবক ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:৩১:১০ সন্ধ্যা
যখন ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য বাংলাদেশে ৷ সকাল-বিকাল কাজ করে চলছে ৷ সংকট সমাধানে নিচ্ছে বিভিন্ন উদ্যোগ, পদক্ষেপ ৷
যখন জাতিসংঘের প্রতিনিধি অস্কার ফারনান্দেজ তারানকো সংকট সমাধানে উদ্যোগী, আসছেন বাংলাদেশে ৷
যখন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরে ৷ আশা করা হচ্ছে এপার বাংলা ওপার বাংলার দীর্ঘদিনের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানের পথ উন্মোচিত হবে ৷
ঠিক সে সময় দেয়া হলো জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুস সুবহানের ফাঁসির রায় ৷ প্রকাশ করা হলো জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় ৷ সেইসাথে চলছে রায় কার্যকর করার তোরজোর ৷
উদ্দেশ্য, এ সময় জামায়াত দলীয়ভাবে এইসব ইস্যুতে হরতাল দিবে, সহিংসতা চালাবে ৷ এতে করে চলামান আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর আন্দোলন বলে চালিয়ে দেয়া যাবে ৷ সাথে সাথে সহিংসতার দায়ভার জামায়াতের উপর চাপিয়ে দলটিকে জঙ্গী দল প্রমাণ করা বিশ্ববাসীর সামনে ৷ পাশাপাশি দলটিকে নিষিদ্ধ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে ঠেলে দিয়ে আন্দোলনেকে দমন করা ৷
কিন্তু বিধি বাম! জামায়াতকে উত্যক্ত করার কৌশল মাঠে মারা গেল ৷ জামায়াত এই ইস্যুতে রাজপথে কোন কর্মসূচী ঘোষনা করেনি ৷ তাই আওয়ামীলীগারদের কপালে ভাঁজ ৷
এখন কি করার? তাই উত্যক্ত করার নতুন কৌশল ৷ ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী রিফাত আব্দুল্লাহ খানকে পরীক্ষার হল থেকে বের হবার পর আটক করছে ৷ কিন্তু এখনও তা স্বীকার করেনি ৷
এভাবে সহিংসতাকে উসকে দিয়ে সংকট ঘনীভূত করে শেষ রক্ষা তো হবেইনা বরং নিজের কবর নিজের গর্ত করা হবে ৷
বিষয়: রাজনীতি
৭৮৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন