রহস্যময় নারীর হৃদয় ( ছোট গল্প - শেষ পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন দ্বীপ জনতার ডাক ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ১২:০৬:৪০ রাত

রহস্যময় নারীর হৃদয়

শেষ-পূর্ব

জিকোঃ ভাবী তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।

টুমপাঃ ধন্যবাদ।

জিকোঃ আমার জীবনে প্রথম যদি কোন সুন্দর নারী দেখি সেইটা তুমি।

টুমপাঃ হয়েছে! হয়েছে! ভালো হয়েছে! খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে।

জিকোঃ সত্যি তুমি একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারাটা একবার দেখ। তখন বুঝবা তুমি আসলে কত সুন্দর। তুমি যেমনি রূপবতী তেমনি গুণবতীও বটে। একজন নারী হিসেবে তোমার কাছে সব গুনগুন পরিপূর্ণ।

টুমপাঃ আচ্ছা! আচ্ছা!! ঠিক আছে। চা দিবো।

জিকোঃ তোমার হাতের চা খেতে পারা আমার মত কপাল পোরা সৌভাগ্য।

টুমপাঃ এতো প্যাঁচিয়ে না বললে হয়।

জিকোঃ আচ্ছা ভাবী তোমার যেই শিক্ষকতার যোগ্যতা আছে তুমিতো একটা চাকরি করতে পারো।

টুমপাঃ আমার তো ছোট বেলা থেকে খুব ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরি করবো কিন্তু আপনার বন্ধুতো আমাকে চাকরি করতে না করে দিলো।

জিকোঃ না-না-না আবেদ শিক্ষিত ছেলে হয়েও তোমার স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না । আর তোমার যেই প্রতিভা তুমি সেখানে ও ভালো করবা। আচ্ছা আবেদ আসলে আমি তাকে বুঝিয়ে বলবো।

টুমপাঃ আপনি একটু ওকে বুঝিয়ে বলিলেন আমার খুব ইচ্ছা ছোট বেলা থেকে পড়ালেখা করে চাকরি করার।

একটু সময় পেলে জিকো আর টুমপা কথার ডালি সাজিয়ে বসে। একে অপরের সুখের দুখের কথা হয়। যাচ্ছে দিন ভালোই। একে অপরের প্রতি আস্তে আস্তে দূর্বলতা বাড়তে থাকে। একদিন কথার ফাঁকে জিকো টুমপার হাত ধরে বলে ফেলো আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি। টুমপা কোন কথা না বলে চুপচাপ বসে রইল কিছুক্ষণ। হঠাৎ কিছু না বলে চলে গেল। এই দিকে জিকো বিষণ টেনশনে আছে। কি হতে কি হয়ে গেল? সেই ভাবছে টুমপা যদি আবেদ কে এই সব কথা বলে দেয় কিংবা টুমপা যদি মাইন্ড করে তাহলেতো অবস্থা বিষণ খারাপ হয়ে যাবে। দুই তিন দিন আর দুইজন সাথে দেখা কিংবা কথাবার্তা হচ্ছে না। এই দিকে জিকোর টেনশনে ঘুম নেই। দুই তিন দিন পর---------

টুমপাঃ কি জিকো ভাই টেনশনে আছেন মনে হয়?

জিকোঃ টেনশনেতো আপনি রেখেছেন---

টুমপাঃ টুমপা কিছু না বলে মুচকি হেসে চলে গেল।

জিকোঃ একটু ভরসা ফেলে-----

কিছু দিনের মধ্যেই একে অপরের মাঝে ভালোবাসার মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে গেলে।

চলেছে গোপনে তাদের প্রেম ভালোবাসা।

জিকোঃ চলো আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি।

টুমপাঃ আমার বাচ্চাটার কি হবে?

জিকোঃ তোমার বাচ্চা মানেতো আমার বাচ্চা। তাকেও আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো।

এই দিকে আবেদ ব্যাবসা বানিজ্যের কাজে দেশের বাইরে গিয়েছে। এই সুযোগে জিকো টুমপাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে টুমপার নামে প্রায় সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে আগে টাকা পয়সা সব হাত করে ফেলেছে। যেদিন পালিয়ে যাওয়ার ডেড ঠিক হলো সেইদিন গভীর রাতে জিকো টুমপা ও তার বাচ্চাটাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলে পালিয়ে যায় সকল টাকা পয়সা নিয়ে।

(বিঃদ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক লেখকের একান্ত কাল্পনিক চিন্তাধারা থেকে কারো সাথে আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ মিলে গেলে লেখক দায় নয়।)

বিষয়: বিবিধ

১৪০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315558
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৩৪
আফরা লিখেছেন : জী মিল পেয়েছি আমি বাংলাদেশের একটা ক্রাইম ভিডিও দেখেছিলাম ঠিক এরকম ।তবে সেখানে শুধু ছেলেটাকেই হত্যা করা হয়েছিল ।
315562
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
ব্লগার শঙ্খচিল লিখেছেন : সব পর্ব একটাতে করে এবার দিন বড় হল্ওে আমরা জারা আগের গুলো পড়ি নি । তাদের জন্য সুবিধা হবে । শিরোনাম হতে পারে ((রহস্যময় নারীর হৃদয় ( ছোট গল্প -১ম শেষ পর্ব )
316269
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৩৮
দ্বীপ জনতার ডাক লিখেছেন : ধন্যবাদ@ আফরা
316271
২২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৪১
দ্বীপ জনতার ডাক লিখেছেন : ধন্যবাদ@ ব্লগার শঙ্খচিল আপনার দেওয়া পরামর্শ মত শিরোনাম করে পোস্ট করেছি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File