ভারতীয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলির কথার প্রসঙ্গে

লিখেছেন লিখেছেন দ্বীপ জনতার ডাক ১৫ মার্চ, ২০১৫, ১১:৪৫:১৪ রাত

"ভারতীয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সাম্প্রতিক নির্মিত একটি বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আমার জোরালো প্রতিবাদ ও প্রতি উত্তর"

পৃথিবীর সব প্রাণী কিন্তু বাঘকে দেখলে ভয় পায় এইটা স্বাভাবিক। কারণ ক্ষুধার্ত বাঘ অনেক বেশি হিংস্র হয়। যত বড় শক্তিশালী প্রানী হোক না কেন ঘারে যখন ইস্পাতের ন্যায় আল্লাহর তালার প্রদত্ত অস্ত্র চালাই তখন সবাই কাবু হয়ে যায়। হাজার চেষ্টা করেও নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারে না । হতে পারে তার শারীরিক গঠন, উচ্চতা, ওজন অপেক্ষাকৃত অন্যান্য প্রাণীর থেকে খাটো । কিন্তু সাহসিকতা বুদ্ধি অন্যান্য প্রাণীর থেকে অনেক বেশি উপরে।

সৌরভ গাঙ্গুলির কথার প্রসঙ্গেঃ দাদাকে আমি একটু স্মরণ করে দিতে চাই। টাইটানিক জাহাজ নির্মাতা শতভাগ আস্থার সাথে বলে ছিলেন। তাহার নির্মাণ এই জাহাজ অনন্ত সাগরে কখনো ডুবেনা। বাকী কাহিনীটা আপনারা যারা টাইটানিক ছবিটা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন অহংকারীর পতন কতটা ভয়ঙ্কর। দাদার উদ্দেশ্য শুধু এতটুকু বলা-- দাদা, দাদাগিরি বাংলার ওপারে চলে এই পারে দাদাগিরি চলে না।

সাম্প্রতিক নির্মিত এবং সম্পাসারিত ভারতীয় টেলিভিশন গুলোতে দেখানো হচ্ছেঃ

কোমল পানীয় পেপসির সাম্প্রতিক নির্মিত এক বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশকে ‘খাটো’ করে দেখানো হয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ মার্চ কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামবে ভারত। এই ম্যাচকে সামনে রেখে বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছে কোম্পানিটি। বিজ্ঞাপনটি ঠিকই এই রকম ভাবে দেখাছে। একটি ছেলে, যার বুকে লেখা ‘ইন্ডিয়া’, সে ঘরের ভেতর বসে পেপসি পান করছে। এমন সময় তার বাসার কলিংবেল বেজে ওঠে। দরজা খুলে দেখে বুকে ‘বাংলাদেশ’ লেখা একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটির হাতে পূজার ফুল ও প্রসাদ। তার দিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বুকে ‘ইন্ডিয়া’ লেখা ছেলেটি দেয়ালের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে। দেয়ালে একটি বিশ্বমানচিত্র রয়েছে। সেখানে ভারতের পাশে বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে। সেখানে লেখা-‘1971, India created Bangladesh.’। অর্থাৎ ‘১৯৭১ সালে ভারত বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে।’ এমনটি দেখার পর বুকে ‘বাংলাদেশ’ লেখা ছেলেটি বুকে ‘ইন্ডিয়া’ লেখা ছেলেটির পায়ে ফুল দিয়ে প্রণাম করে চলে যায়।

বিজ্ঞাপনটির নির্মাতার উদ্দেশ্য আমার এতো টুকু বলাঃ বাঘের এক হুংকারে যখন সারা বিশ্ব কম্পিত। সবাই যখন দেখছে "বাঘ" এক পা দুই পা করে সামনের দিকে সোনামীর ন্যায় সবকিছু কে লন্ড-বন্ড করে দিতে আসছে। বিশ্ব মিডিয়া গুলো যখন বাঘের প্রশংসাই গলা ফাটাচ্ছে ঠিক তখনি আমাদের প্রতিপক্ষ(মার্চ-19) ভয়ে দিশাহারা হয়ে ওলট-পালট মন্তব্য করে যাচ্ছে। ঘারে যখন বাঘের ভয় চেপে বসেছে ঠিক তখনি বিজ্ঞাপনের নাম করে বাঘের ভয় তাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাঘ কখনো হরিণের কাছে মাথা নত করেনা কারণ হরিণ হল বাঘের প্রিয় খাবার। হরিণ যতোই লাফালাফি করুক না কেন বাঘের ভয় সবসময় তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

বিষয়: বিবিধ

১৩৩৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309157
১৬ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:০৬
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : সময়েই বলে দিবে আমরা কোন ধাঁচের জাতি।১৯৭১ সালে সাহায্য করেছো বলে মাথা কিনে নেও নি। যখন বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকায় শত্রুমুক্ত তখন এসে ছিলে আমাদের সাহায্য করতে। আবার যুদ্ধ শেষে শত্রুদের যে সকল অস্ত্র পেয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে গেছো। এমন কি,যে কামান দিয়ে গোলা বের হত না তাও নিয়ে গেছো।শুধু কিছু বলি নি যুদ্ধে সাহায্য করেছিলা বলে।ফারাক্কা বাধ,তিস্তা বাঁধ দিয়ে আমাদের পানি শুন্য করে রেখেছো।আবার সীমান্তে আমাদের পাখির মত মেরেছো।আমরা তাও চুপ করে থেকেছি।প্রতি ক্ষণে ক্ষণে চুপ করে থাকার কারণে কি তোমরা মাথায় উঠে গেছো???
অনেক সহ্য করেছি এখন শুধু অপেক্ষায় থাকো। সময়ের সাথে তোমাদের এবার আমরা প্রতিদান দিবো।
310069
২০ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৮
দ্বীপ জনতার ডাক লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File