আমার দেখা মাজারের খারাপ ও ভালো দিক গুলো
লিখেছেন লিখেছেন দ্বীপ জনতার ডাক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:৫৪:৪৮ দুপুর
আমার নিজের দেখা দৃষ্টি কোন থেকে মাজারের যেমনি কিছু খারাপ দিক আছে তেমনি কিছু ভালো দিক ও আছে। কিছু কিছু ভন্ড মুনাফেক আছে যারা মাজারের নামে ব্যবসা করে যা মাজারের পরিবেশ কিংবা সুনাম ক্ষুন্ন হয়। আর কিছু অশিক্ষিত ব্যক্তি মাজারের আশেপাশে বসে মদ গাঁজা সেবন করে যা মাজারের পরিবেশ নষ্ট হয়। যেহেতু আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সিদ্ধা করা হারাম তাই মাজারে সিদ্ধা করা হারাম। আরো হয়তো অনেক গুলো খারাপ দিক আছে । যাহোক আমি সেই সব দিকে যাচ্ছি না । যুগ যুগ দরে যেমনি অলি আল্লাহ আছে এবং তেমনি ভবিষ্যতে ও থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। অলিরা আল্লাহ কাছে কিছু চাইলে খুব তাড়াতাড়ি পায় আমরা হয়তো চাইতে জানি না অথবা ধৈর্য ধরে চাইতেও পারিনা সেজন্য আমাদের পাওয়াটা হয় না খুব তাড়াতাড়ি। এই জন্য হয়তো আমরা মাজারের কিংবা অলি বুজুগো ব্যক্তিদের কাছে ছুটে যায়। মাজারের পাশে দাঁড়িয়ে অলি দরে আত্মার মাগফেরাত কামনা করা এবং মাজারে কিছু টাকা পয়সা দান করা আমি দোষের কিছু দেখি না। প্রশ্ন থাকতে পারে টাকা পয়সা অলিরা খাবে না তাহলে টাকা পয়সা কেন? অলিরা সারাজীবন শুধু মানুষের উপকার করে গিয়েছেন এবং মৃত্যুর পরও মানুষের উপকার করে যাচ্ছেন। দেখেন তাহলে, কোন লোক খুব বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য অলির মাজারে মানত করে বলে হে আল্লাহর অলি তোমার উছিলায় আমাকে বিপদ থেকে মুক্ত করলে তোমার মাজারে একটা গরু কিংবা মহিষ দিবো। হয়তো ঔ ব্যক্তিটি বিপদ থেকে মুক্তি পেয়ে মাজারে গরু কিংবা মহিষ নিয়ে আসে। দেখেন এই গরু কিংবা মহিষ দিয়ে কি হয়? যারা সমাজের কিংবা রাষ্ট্রে অবহেলিত মানুষ ভালো খাবার তো দূরের কথা দুবেলা ভাত যাদের কপালে জুটেনা সেই সকল মানুষ গুলো একবেলা পেট ভরে খেয়ে অনেক খুশি হয়। মাজারের আশেপাশে থেকে অলির উছিলায় তাদের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যায়। খারাপ কাজ ছেড়ে ভালো কাজে উৎসাহ পাই তাহলে মাজার যে খুব একটা খারাপ কাজ এই আমি বিশ্বাস করি না। আমরা যদি মানবতার কথা চিন্তা করি তাহলে আমরা মাজার কে খারাপ বলতে পারি না । আমি বিশ্বাস করি মাজারের কিছু কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি আছে যারা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অতিরঞ্জিত কিছু কাজ করে পেলে যা হয়তো অনেকের কাছে ভালো লাগে না এবং ভালো লাগার ও কথা নয় । এখন প্রশ্ন থাকতে পারে আমরা মাজারে গরু, ছাগল না দিয়ে গরিব দুঃখি মানুষের মাঝে বিলি করে দিয়ে তো আল্লাহ কে খুশি করাতে পারি। হয়তো কথাটা ঠিক আছে কিন্তু আমার কি এই কাজটা করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৫৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
I am agree with you. In ddition Allah() forgive all crime except SHARK. May Allah() give us wishdom, knowledge and HADAYAA so that we can get out from the trap of SATAN.
"তারা কি একথা জানতে পারেনি যে, আল্লাহ নিজেই স্বীয় বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং যাকাত গ্রহণ করেন? বস্তুতঃ আল্লাহই তওবা কবুলকারী, করুণাময়।"
(সূরা আত তাওবাহ, আয়াত ১০৪)
(সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত-৫৬)
"আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। অতএব, তোমরা যাদেরকে ডাক, তখন তাদের পক্ষেও তো তোমাদের সে ডাক কবুল করা উচিত যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক?"
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৪)
"আর তোমরা তাঁকে(আল্লাহ) বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারবে।"
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৭)
"এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদেরকে ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত-প্রাণহীন এবং কবে পুনরুথ্থিত হবে জানে না।"
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-২০-২১)
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-৫১)
"তারা আল্লাহ ব্যাতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।"
(সূরা মারইয়াম, আয়াত-৮১)
"তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, সেগুলো দোযখের ইন্ধন। তোমরাই তাতে প্রবেশ করব।"
(সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত-৯৮)
"সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে নাা এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-১২)
"আল্লাহর দিকে একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর মৃতভোজী পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোন দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৩১)
"তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর পূজা করে, যার কোন সনদ নাজিল করা হয়নি এবং সে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নাই। বস্তুতঃ জালেমদের কোন সাহায্যকারী নাই।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭১)
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭৩)
"যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালনকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।"
(সূরা আল মুমিনূন, আয়াত-১১৭)
"তারা তাঁর পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছু্ই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং নিজেদের ভালও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না এবং জীবন, মরণ ও পুনরুজ্জীবনেরও তারা মালিক নয়।"
(সূরা আল-ফুরকান, আয়াত-০৩)
"তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। আল্লাহর পরিবতে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে অধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। এবং ইবলিশ বাহিনীর সকলকে।"
(সূরা আশ-শো'আরা, আয়াত- ৯২-৯৫)
"অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক উর্দ্ধে।"
(সূরা আন নমল, আয়াত-৬৩)
"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দূর্বল, যদি তারা জানত।"
(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪১)
"তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে, আল্লাহ তা জানেন। তিনি শক্তিশালী প্রজ্ঞাময়।"
(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪২)
(সূরা সাবা, আয়াত-২২)
"বলুন, তোমরা কি তোমাদের সে শরীকদের কথা ভেবে দেখেছ, যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা ডাক? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে থাকলে আমাকে দেখাও। না আসমান সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশ আছে, না আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যে, তারা তার দলীলের উপর কায়েম রয়েছে, বরং জালেমরা একে অপরকে কেবল প্রতারণা মূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।"
(সূরা ফাতির, আয়াত-৪০)
আল্লাহ চান যে মানুষ নিজেরটা নিজে আল্লাহর কাছে চাইবে , কোন মাধ্যমকে ধরে নয় ।
দুনিয়াতে সে শত অন্যায় করে অলি ধরে অলির উসিলায় পার পেয়ে যাওয়ার মত আখেরাতেও কি একই রকম বিশ্বাস করবে ?
কেউ কারও বোঝা বহন করবে না । কারও জন্য সুপারিশ করবে না , তবে যদি আল্লাহ চান সেটা একমাত্র সর্ব শক্তিমান আল্লাহরই এখতিয়ারে ।
মাজার ও পীর কনসেপ্ট দুটোকেই ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থী বলে মনে করি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন