"জামায়াত-হেফাজতের ভোট না পাওয়ায় হেরেছে বিএনপি"
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:২৩:২৯ রাত
জামায়াত ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলামের নারায়ণগঞ্জে নিজস্ব যে ভোট ব্যাংক তা লক্ষাধীক । তার মধে্য এ দল দুটির সমর্থন কেউ পেলে তা সাধারণ ভোটার দের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে । আজকের নাসিক নির্বাচণ কে কেন্দ্র করে যা ছিল বিএনপির জন্য এক অগি্ণ পরীক্ষা তাতে হেরে গেল তারা ।
এমনিতেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপির থেকে আ.মীলীগের দলীয় কার্যক্রম শক্তিশালী । দিধাবিভক্ত দুটি গ্রুপকে শেখ হাসিনা খুব ভাল ভাবেই সামলে নিয়েছে অনেক আগেই । দলীয় প্রধান হিসেবে এটা তার বিশাল গুণ যেখানে বিএনপি নেতৃী খালেদা জীয়া অনেক পিছিয়ে ।
এর পরেও যেটা জানা খুব জরুরী সেটা হল বাংলাদেশে হাটহাজারীর পরে কওমী মাদ্রাসার যে ব্যাপক প্রভাব সেটা নারায়নগঞ্জ । ঢাকার পাশে হওয়ায় এখানে জামায়াতে ইসলামীরও রয়েছে বড় একটা সাইলেন্ট ভোটার । যা নারায়ণগঞ্জে ছাত্রশিবিরের শক্ত অবস্থান কে জানান দেয় । জামায়াত ইসলাম তার রাজনৈতিক সার্থেই ঢাকার চার পাশের জেলাতে ব্যাপক টার্গেট ভিত্তিক কাজ করে একটা শক্তিশালী সাংগঠনিক অবস্থান করে নিয়েছে অনেক আগেই । যারা জাতীয় নানান ঝামেলা এড়াতে সাইলেন্ট (প্রকাশ্যে রাজনীতির বাহিরে ) থাকে ।
বি্এনপির থেকে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে জামায়াত িএবং হেফাজতে েইসলামকে সেভাবে কখনই গুরুত্ব দিয়ে ডাকা হয়নি । দলদুটিকে সেভাবে গুরুত্ব না দেয়ায় তারাও এর প্রয়োজন সে ভাবে অনুভব করেনি । যাতে এখানে লক্ষাধীক ভোট হেরে গেছে বিএনপি ।
প্রায় ৫ লাখ ভোটার হলেও ভোটার উপস্থিতিই বলে দেয় বলে একটা অংশই এখানে ভোট দিতে আসেনাই । ৪০% ভোট কাষ্ট হ্ওয়া নিশ্চয়ই কোন ভাল লক্ষণ না........। যেমন গত কাল চাষারায় একটি ভোট কেন্দ্রে ৪০০+ ভোটারের মধ্যে মাত্র এক ভোটারের ভোট কাষ্ট হয়েছে সেখানে । এ বিষয় বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াতের বক্তব্য ছিল যে ভয়প্রদর্শন করায় ভোটাররা কেন্দ্র যায় নি ।
আর আওয়ামী দলীয় প্রধানের সেই ঐতিহাসিক বক্তব্য "আমরা একটু খানি ট্রিক্স খাটালে বিএনপি ৩৫ টা আসনো পেত না" সেই দলীয় নেতৃীর অধীনে এই নির্বাচনে কত টুখানী ট্রিক্স খাটানো হয়েছে সেটা হয়তো ইতিহাসে কোন দিন ই লেখা হবে না..............
বিষয়: বিবিধ
৯৯০২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গতবার আইভি আওয়ামী লীগের শামীমের মত হেবিওয়েটকে হারিয়েছিল। আর এখন সে আওয়ামী লীগের।
এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী যে হারতো সেটা সাখাওয়াত নিজেই জানতো । তারপরেও দল হিসেবে বিএনপি যে এখনও টিকে আছে সেটা বোঝাতেই বিএনপির এই আয়োজন।
জিতলে বিএনপির প্যাড়া আরও বাড়তো , কারণ বিএনপির কোন মেয়রই সিটে বসার আগেই দৌড়ের উপর আছে। সাখাওয়াত কি এর ব্যতিক্রম হত ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন