"মুখলেস" মকবুলকে রাজাকার বানিয়ে মিডিয়া প্রমান করলো জামায়াতের কেউই যুদ্ধাপরাধী ছিল না"
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:১৬:৪৬ দুপুর
জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মা্ওলানা ম্ওদুদীর সাথে শেখ মুজিবুর রহমারেন বৈঠক অথবা "গোলাম আজমের কদমবুচি করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জায়নামাজ উপহার দান", তত্তবধায়ক আন্দোলনে এক টেবিলে নিজমী-মুজাহীদের সাথে শেখ হাসিনা সহ আ.লীগের সিনিয়র নেতাদের আলোচনা । এগুলো সব পুরোনো দিনের ঐতিহাসিক সত্য ইতিহাস ।
৭৫ এর ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসতে গিয়ে সেই জামায়াতের বাধা । তার পরে নিত্য নতুন ইতিহাস সেখান থেকে নতুন রুপে বাকশাল কায়েম । বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের রাজাকার বানিয়ে ফাঁসি । ৭২ জন্মনেয়া সরকার পক্ষের সাক্ষীর ৭১ এর প্রত্যক্ষ দর্শী!! ১৯৬৭ এ জন্মনেয়া মুক্তযোদ্ধা পরিবারের সন্তান জামায়াতা নেতা একাত্তরের রাজাকার কমান্ডার!! স্কাইপ কেলেংকারী, প্রকাশ্যে দিবালোকে সাক্ষী গুম ।
একে একে জামায়াতের বুদ্ধীজীবি নেতা ইসলামী স্কলার, বৈদেশিক যোগাযোগের মাধ্যম কে বিনাশ, অর্থনৈতিক ভিতকে ধ্বংশ করে তরুন প্রজন্মকে খুন,গুম,ক্রসফায়ার, জেল, মামলা, পঙ্গু করে দেয়া ।
জামায়াতের দ্বীতিয় আমির নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর নতুন আমির নির্বাচন ।
জামায়াতের নতুন আমীর হয়েছেন মকবুল আহমাদ।
তার নাম গতকাল বিকেলে মিডিয়ায় এসেছে। জামাত প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্টানিক জানিয়েছে। এনিয়ে সরকার বান্ধব ঢাকা টাইমস২৪ লিখেছে,
স্বাধীন বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী যাদেরকে তাদের নেতা বানিয়েছে তাদের মধ্যে মকবুল আহমাদই প্রথম নেতা যার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা বা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নেই।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জামায়াত নেতা মকবুল আহমাদের বিষয়ে আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্টভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। যেহেতু অভিযোগ পাইনি সুতরাং তদন্তের প্রশ্নই উঠে না।’
অপরদিকে আওয়ামী লীগ এমপি কাজি নাবিল আহমেদের মালিকানাধীন বাংলা ট্রিবিউন লিখেছে,
প্রথমবারের মতো দলের শীর্ষ নেতৃত্বে একাত্তরে সংঘটিত ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্ত হলো’-এমন আলোচনার মধ্যেই ‘হত্যার নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত হলেন জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির মকবুল আহমাদ। পাশাপাশি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন বলে অভিযোগ এনেছেন ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মকবুল আহমাদ রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার, আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।’
মজার ব্যাপার হচ্ছে দীর্ঘ ৫০ বছর রাজনীতি করলেও এর আগে মকবুল আহমদের বিরুদ্ধে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ মিডিয়ায় আসেনি। জামাতের নতুন আমির হিসেবে তার নাম ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হয়ে গেলেন রাজাকার কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী। মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পর যেমন করে নিজামী মুজাহীদ সাঈদীর নামে মানবতাবিরোধীর মামলা করে ফাসি দেয়া হল তাতে এটাই প্রমানিত হয় কেবল জামায়াতের আমির বা সিনিয়র নেতার পোষ্ট পেলেই এ ট্যাগ যেন অবধারীত এতে লাভবান হবে জামায়াতই......। এখন দেখার বিষয় মিডিয়া প্রচারণা কতদূর গিয়ে গড়ায় ।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৯০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহর দ্বীনের রাজাকার
আমরাও হতে চাই রাজাকার
তোমরাও হয়ে যাও রাজাকার।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন