আসছে ৫ ই মে ! বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি কালো অধ্যায়ের জন্মদিতে
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ০৩ মে, ২০১৬, ০৬:০৯:৪৫ সন্ধ্যা
গত ৫ ই মে ২০১৩ ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম দিন। সরকার কর্তৃক সাধারন নাগরিক ও ইসলামপ্রেমীদের উপর চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ । যা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত কে হার মানিয়েছে । কোরআন, হাদিস ,তসবি, জায়নামাজ নিয়ে ঘুমন্ত অথবা নামাজ রত লাখো মুসল্লির উপর নেমে আসে নব্য ফেরাউনের তকমা লাগানো ক্ষমতাবানদের দ্বারা অতর্কীত আক্রমন ।
ঠান্ডামাথায় এমন হত্যাযঙ্গের উদাহরণ কেবল হিটলারের গ্যাস চেম্বারের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে ।
পৃথিবীর সকল শৈরশাসকেরাই তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ীত করতে প্রতিবাদি কণ্ঠগুলোকে প্রধান বাধা হিসেবে ধরে নিয়ে ধ্বংসের প্রথম নিশানা করে তাদের । অন্যদিকে রাসুলের হাদিস হল সর্বত্তম জিহাদ হল অত্যাচারি বাদশার বিরুদ্ধে সত্য কথা বলা” আর এ সত্য বলতে গিয়েই যুগে যুগে ইতিহাসের বাকেঁ বাকেঁ যাদের নাম আসে তাদের ইতিহাস খুব মার্মান্তিক । সেই সব মানুষ গুলোকে কোন কোন শাসক জেলে ভরে অনাহারে কষ্ট দিয়ে মেরেছে কাউকে বা হেমলক বিষ দিয়ে, জলন্ত কড়ায়ে ছেড়ে দিয়ে কাউকে গর্দান উড়িয়ে দিয়ে কেউবা জীবন দিয়েছেন ফাসিঁর কাষ্টে ঝুলে ।
এতদিন যে গুলো ছিল বইয়ের পাতায় অন্য দেশের আজ তা প্রিয় বাংলায় ইতিহাস । ইতিমধ্যে হাসানুল বান্না কুতুব শহীদের পথ ধরেছেন বেশ কয়েক জন । তাদের সে পথ ধরে খুব শিঘ্রই মিশর বা তুরস্ক ও হবে এ বাংলা ।
শিরোনামের বিষয়ে আসি । “কেরানীগঞ্জে এশিয়ার সব চেয়ে বড় কারাগার যেদিন (১০ এপ্রিল ২০১৬) উদ্ভোধন করতে যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন ই নিজামীর রায়ের চুড়ান্ত ঘোষণা দেয়ার কথা ছিল । কিন্তু রক্তের নেশায় উন্মাদ এ কর্তাবাবুদের মাথায় এল নুতন ফন্দি । তারা নতুন কারাগার টির ফাসিঁর মঞ্চ উদ্ভধন করতে বেছে নিল নিজামীকে । সেদিন রায় না দিয়ে (গত ১০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এক মাস পিছিয়ে দেন রায় ঘোষণা ।“ আজকে ছিল সেই দিন । সব আয়োজন দেখে মনে হয় যেন "সব শিয়ালের এক রা"
আজকে ঘোষণা করা হল চুড়ান্ত রায় হবে ৫ ই মে ! । ( জনশ্রুত কথা গুলো আমি লিখেছি এখানে)
প্রশ্ন হল এত দিন থাকতে কেন বেঁছে নেয়া হল হেফাজত ইসলামের রক্তে ভেসে যাওয়া সেই ৫ ই মে কে? তা হলে কি ধারণার সেই কথা গুলো সত্য প্রমাণ করতে এত আয়োজন । নতুন কারাগার = বড় রাজাকার (কর্তাবাবুদের ভাষায়) । নিজামীর মত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ এদেশে খুব কম এসেছে । যার নামে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ টাকার দুর্ণীতি পায়নি । বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এমন একজন নেতার নাম বলতে পারবে কি কেউ যার নামে এমন একটা কথা পাওয়া যাবে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ঢাকা আলিয়ার এই মেধাবী নেতা বাংলাদেশের শেষ দিন অবধি উদাহরণ হয়ে থাকবে এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য ।
আমি একটি কথা ভেবে কখনোই উত্তর পাইনা সেটা হল যুদ্ধের সময় ২ লাখ মা বোনের ইজ্জত লুট করা এই তথাকথিত রাজাকাররা (জামায়াত নেতারা) কিভাবে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এত ভাল হয়ে গেল যু্দ্ধের ওই নয় মাস ছাড়া তাদের জীবনের টোটাল হিস্টোরিতে (যুদ্ধের আগে ও পড়ে ) তাদের বিরুদ্ধে কেউ একটা এমন অভিযোগ দিল না । অথচ যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সীমান্ত পারি দিয়ে বাবুদের দেশে থেকে হালুয়া রুটি খেয়েছে তারা এবং তাদের নামে দেশের আনাচে কানাচে এখনো হাজারো নারীর ইজ্জত লুটের অভিযোগ আসে । এমপি হোস্টেলে নারীর ধর্ষীতা লাস পড়ে থাকে ।
কি ভাবে রাজাকারদের চরিত্রটা যুদ্ধশেষ হওয়ার সাথে সাথে আ।লীগের আয়ত্বে চলে আসলো । চরিত্র কি এভাবে দলীয় ভাবে ইউটার্ণ করার ক্ষমতা রাখে!??
অথচ হাদিস কুরআনে পড়েছি কেউ যদি বলে পাহাড় সরে গেছে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু মানুষের চরিত্র বদলে গেছে সেটা বিশ্বাস করার মত না । মানুষের চরিত্র এভাবে বদলায় না । এত অভিযোগ আসে বিএনপি আ।লীগের বিরুদ্ধে তা হলে কেন এমন একটা অভিযোগ জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে আসে না ??
কর্তাবাবুদের একটা কথা বলি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ চৌধুরী যখন কাশিমপুর কারাগার উদ্ভোধন করতে যান তখন বলেছিলেন এমন কারাগারে কয়েদি একবার ঢুকলে তাকে বের করে দিলেও সে জোর করে থাকতে চাইবে । সেই কাশিমপুরের ভিআইপি বন্দী কিন্তু আর সবার আগে তাকেই হতে হয়েছিল ।
এ দেশের মানুষ খেতে চায়, খুন বা ফাসি দেখতে চায় না । নিরাপত্তা চায় ঘরে এবং বাহিরে, যুদ্ধপরাধের নামে তামাশা দেখতে চায় না । যে অবস্থায় বর্তমানে দেশ চলছে তাতে যতই চেষ্টা করেন শাখ দিয়ে মাছ ঢাকা সম্ভব হবে না ।
সরকারী দলের নেতাকর্মীরাও রাতে বাহিরে চলতে ভয় পায় পুলিশের ভয়ে । এক গোপালী অফিসার তার মেয়েকে এক মেডিকেল কলেজ থেকে আর এক মেডিকেল কলেজে ট্রান্সফার করতে আর এক গোপালীকে দিতে হয় পাচ লাখ টাকা । এই যখন দেশের অবস্থা তখন সাধারণ মানুষের কি অবস্থা যারা গোপালী না ?
মাননীয় প্রধানন্ত্রী আপনার খুব কাছের লোক জন আজ বলতেছে এ ভাবে দেশ চলতে পারেনা বেশি দিন । আমরাও মুক্তি চাই এই নাভিশ্বাস থেকে আমাদের কে মুক্তি দিন ।
Click this link হেফাজতে ইসলামের সাথে সে দিনের নারকীয় ইতিহাস
বিষয়: বিবিধ
১০৯২৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তা তো যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সেও চলে গেল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন