একদিকে ভাতের জন্য হাহাকার, অপর দিকে অপচয় হাজার টাকার!
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:১১:১৬ সকাল
বাংলাদেশীরা আজব এক জাতি !!!
এই দেশের মানুষরা খেলা, ডেটিং আর হালের পান্তা ইলিশ নিয়ে পড়ে থাকবে অথচ
এই ধরুন এবার পান্তা ইলিশ খাবার জন্য কত টাকা জমা করেছেন !! আর এইদিকে বাংলাদেশ নামক একটি দেশে রোববার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় থালা-বাসন হাতে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৭ পাটকল শ্রমিকরা মিছিল করল !
মিছিলের বিষয়বস্তু ছিল ভাত দেয়ার আবেদন, তাহলে চিন্তা করুন কতটুকু পরিমাণ অতিষ্ঠ হলে তারা খালি থালা নিয়ে আন্দোলনে নামে ?
সুত্রঃ http://www.banglanews24.com/…/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%…
সুতরাং আপনারা অসাম্প্রদায়িকতা কে নস্ট হতে দিবেন না ? কোথাকার কিছু বিচ্ছিন্ন ঘাটনা ঘটতেই পারে ! তাই বলে আমাদের পান্তা ইলিশ খাওয়া বাদ দিতে বলে ?
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়।পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি।
আস্তে আস্তে এ প্রানের উতসবে যোগ হতে থাকে ঢাকায় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ ও মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রার জন্য বানানো নয় রং-বেরঙের মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি। উদ্দেশ্য : সব অশুভকে তুচ্ছ করে বিতাড়নের অঙ্গীকার !!!
পহেলা বৈশাখ পালনের অন্যতম শিরক হচ্ছে কথিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে মঙ্গল কামনা করা হয়।
আল্লাহ্ বলেন- “শুনে রাখ তাদের অশুভ আলামতের চাবিকাঠি একমাত্র আল্লাহরই হাতে রয়েছে, অথচ এরা জানে না। (৭।সূরা আঽরাফ:১৩১)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন- হে আল্লাহ্ তুমি ছাড়া কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, তুমি ছাড়া কেউ অকল্যাণ ও দুরবস্থা দূর করতে পারে না। ক্ষমতা ও শক্তির আধার একমাত্র তুমী। (আবু দাউদ: ৩৯১৯
বাংলাদেশে আজকে যে ভাবে নববর্ষ পালন করা হয় এই যে মুখোশ , মূর্তি আরো কত হাবিজাবি এ সব কোন কালেই বাংঙ।গালীর সংস্কৃতি ছিল না । আশির দশকে যখন এরশাদ ক্ষমতায় তখন মিছিল মিটিং ছিল নিষিদ্ধ । মানুষ প্রতিবাদ করতে নামতে পারতোনা তখন চারুকলা থেকে এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে এ সংস্কৃতি চালু করা হয় ।
আর এখন তো দেখছি প্রতি বছরই নতুন নতুন করে সংস্কৃতি আ্যড করে হাজার বছরের বাঙ্গালী ঐতিহ্যের নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে !!
এরা কারা ? কি তাদের উদ্দেশ্য এসব বিষয় সজাগ থাকতে হবে । ভাস্কর্যের নামে কারা মসজিদের নগরীকে মূর্তির নগরি করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে তাদের কে চিনতে হবে ।
আমরা বাঙালী জাতি। আমাদের অনেকের আরো একটা পরিচয় , আমরা মুসলিম জাতি । জাতিগত , ধর্মীয় উভয়ের সাথে সাংঘর্ষিক " মঙ্গল শোভাযাত্রা " নামক শিরক থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন ।
বিষয়: বিবিধ
২৫৬১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
...........................................
টিভিতে সেদিন বললো এক ভদ্দলোক
বৈশাখে ইলিশ ছাড়া হওয়া যায় না বাঙ্গালীলোক।
নাদের আলী পড়ে বেশ ভাবনায়
বাঙ্গালী হওয়ার তবে কি উপায়?
কবে খেয়েছিল ইলিশ
মনে পড়ে সর্বশেষ?
সেতো বছর তিনেক হবে
সস্তায় মিলে বান এসেছিল যবে।
বাঙ্গালী হয়ে থাকা যে হলো বড় দায়
মানসম্মানটাও বুঝি এবার যায় যায়
ভাবছে খুব নাদের আলী
ইলিশ কি কিনবেই তবে এক হালি?
কতই বা দাম হবে আর
হালি হয়তো লাগবে এক হাজার।
লাগুক, বকরীটা না হয় বেঁচে দিবে
বাঙ্গালী হয়েই যে তবু থাকতে হবে।
বাজারে গিয়ে তো আক্কেল গুড়ুম!
ইলিশ একখান ই কয়েক হাজার টাকা দাম
হালি চাইলো মাত্র বারো হাজার
বিরস বদনে ছেড়ে এল বাজার।
সাহেব ভদ্দলোক তোরা বাঙ্গালী থাক
আমরা গরীব মানুষ, আমরা কৃষক
তোদের বাঙ্গালীয়ানার নিকুচি করি
ফিরিয়ে দে আমার হারানো বকরী।
১ লা বৈশাখেই কিছুটা আঁচ করা যাবে যে আমরা কতটুকু শরিয়াহপন্হী
মন্তব্য করতে লগইন করুন