ভাষা আন্দোলন>> গোলাম আজম>>আলেম সমাজ ও কিছু অজানা ইতিহাস

লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:১৪:৩৪ দুপুর



বাংলা সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় ৬৫০ খ্রীষ্টাব্দে, এর পর অনকে চড়াই উতরাই পেরিয়ে বাংলা ভাষা আজ পৃথিবীর শ্রষ্ঠ ভাষাগুলোর অন্যতম । এই ভাষা বিশ্বে সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চর্তুথ স্থান অধিকার করেছে। আর্য্য ভাষার প্রাচীন,মধ্য,নব্য থেকে গৌরি ভাষায় রুপান্তরীত হওয়ার পর আজকের বাংলা ভাষা । প্রতি দিন ১৪ টি ভাষা পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলেও কয়েক হাজার বছর ধরে টিকে থাকার পেছনে বাংলা ভাষার আছে সংগ্রামী অতীত ।

পাল, শসাংক, মোঘল এবং নবাবদের পরে ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতী তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের উদ্ভব হয়।

বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল তদানীন্তন র্পূব পাকিস্তানে সংঘটিত একটি সাংস্কৃতকি ও রাজনতৈকি আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ দাবীর বহি:প্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ বপিত হয়ছেলি বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।



“একদল চাচ্ছে খাঁটি বাংলাকে ‘বলি ’ দিতে,

আর একদল চাচ্ছে ‘জবে ’করতে।

একদিকে কামারের খাঁড়া

আর একদিকে কসাইয়ের ছুরি..”

-ঞ্জান তাপস ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ভাষা আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখনী দিয়ে। ১৯৪৭ সালের ২৯ জুলাই “পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা” শিরোনামায় তিনি স্বনামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় বাংলা ভাষার পক্ষে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এরপর ছাত্রসমাজ, বিরোধীদলসহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ এই আন্দোলনে সমর্থন জুগিয়েছিল। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে জাতীয়তাবাদী ও বামপন্থী মহলে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃস্টি হলেও , ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের বিশেষ করে ডাকসুর নির্বাচিত জিএস অধ্যাপক গোলাম আজম সহ অন্যান্্যদের বলিষ্ট নেতৃত্ব , বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সম্মিলিত অংশগ্রহন ও সর্বোচ্চ ত্যাগের ফলে ভাষার দাবী সফল হয়েছিল।


১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে ।কিন্তু পাকিস্তানের দু’টি অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেক মৌলিক র্পাথক্য বিরাজ করছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, র্উদুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে র্পূব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কার্যত পূর্ব পাকিস্তান অংশের বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-র্মযাদার দাবিতে র্পূব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বাঁধে ।

প্রাথমিক অবস্থায় কেউই বাংলা ভাষা আন্দোলন প্রচার করতে সাহস পাচ্ছিল না, ঢাকার ছাত্রাবাস গুলিতে ফজলুল হক হল ই প্রথম ভাষার দাবীতে কিছুটা সাড়া দেয়। বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা জনাব মোঃ তোয়াহা (ঢাকা ডাইজস্টে) এর এক সাক্ষাৎকার এ বলেন, ''এ সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বপক্ষে ইশতেহার বিলি করতে গিয়ে ছাত্ররা চকবাজার এ জনতা কতৃক ঘেরাও হন। ছাত্ররা উত্তেজিত জনতার সম্মুখে অশহায় অবস্থায় পতিত হন। এ সময় তৎকালনি ডাকসুর জি এস, গোলাম আজম সাহস করে এগিয়ে যান। তার উপস্থিত বক্তব্যে সাধারণ মানুষ বাংলা ভাষার গুরুত্ব অনুধাবন করে এ আন্দোলনে শরকি হন ।

আর তাদের এ আন্দোলনে সারা দেয় “তমুদ্দুন মজলসি” । এ সংগঠনটি ১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম কতৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদশের একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন। (উ্ল্লেখ: ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমুদ্দুন মজলিস টোটাল ভাষা আন্দোলনের একক কৃতিত্ত থাকলেও আজ ভাষা আন্দোলনের সাথে ইসলামের আলেম ওলামাদের কোন ইতিহাস কেউ স্বীকার করতে চায় না)



অক্টোবর ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান তমুদ্দিন মজলিসের উদ্দ্যেগে ও পূর্ববঙ্গ সরকারের মন্ত্রী সাহিত্যিক হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরী সভাপতিত্বে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য সন্মেলনে বাংলা কে রাষ্ট্রভাষা রূপে স্বীকৃতদানের প্রথম প্রকাশ্য দাবি উত্থাপিত হয়।


মজলিস কর্মীদের দিন রাত পরিশ্রমের ফলে ছাত্র সমাজের চিন্তাধারার পরিবর্তন ঘটে এবং সর্বস্তরে কর্মীরা আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। এর পরে ভাষা আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গঠিত হয় "রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ" যার প্রথম আহবায়ক ছিলেন তমুদ্দুন মজলিস নেতা অধ্যপক নূরুল হক ভুইয়া। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তৎকালিন রাজনীতিবিধদের আচরণ সম্পর্কে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম বলেন, "এই পর্যন্ত তমুদ্দুন মজলিসের পক্ষে আমরা এককভাবে আন্দোলনটিকে আগাইয়া নিয়ে যাইতেছিলাম। এই আন্দোলনকে সাহায্য করিবার জন্য আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে যাই। মুসলমি লীগ ইহাকে মোটেই আমল দেয় নাই, কংগ্রেস র্কমীরা ইহার নাম শুনেই আঁতকে উঠেন। ঢাকা জজ কোর্টের পিছনে কমূনিষ্ট পার্টির যে বিরাট অফিস ছিল, তাহাতে একদনি কমূনিষ্ট পার্টির এক মিটিং ছিল। কমরেড মুজাফাফর আহমদ উক্ত বৈঠকে নেতৃত্ব করিতেছিলেন, সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ হইতে আমি কয়কেজন কর্মীসহ তাহাদরে নিকটে উপস্থিত হইলে তিনি পার্টির পক্ষ হইতে আমাকে জানাইয়া দেন: এই আন্দোলন কে সর্মথন করা তাহাদের পক্ষে সম্ভব হইবে না। শুধু তাই নয় , তিনি মেমোরেন্ডামে দস্তখত করিতেও অস্বীকার করেন। বামপন্থী ছাত্র ফেডারেশনেও ইহাতে যোগদান করিতে অস্বীকার করে।" ( উ্ল্লেখ্য সেই বামপন্থি সংগঠন গুলোই আজ এ সব সামাজিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার)

১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রেুয়ারী তারিখে পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজী ও র্উদ্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃা প্রদান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করনে গণপরিষদ সদস্য ধীরন্দ্রেনাথ দত্ত ইংরজেীতে প্রদত্ব বক্তৃতায় বাংলাকে অধিকাংশ জাতিগোষ্ঠীর ভাষা হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার র্মযাদা দেয়ার দাবি তোলেন। তমিজুদ্দিন খানের নেতৃত্বে খাজা নাজিমুদ্দিন সহ পরিষদের সকল মুসলিম লীগের সদস্য একযোগে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ।

সংগ্রাম পরিষদ ১৯৪৮ সালরে র্মাচ মাসের পহেলা সপ্তাহে ১১ র্মাচ কে প্রতিবাদ দিবস ঘোষণা করে বিভিন্ন পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে, সেদিন সাধারণ র্ধমঘট পালন করা হয় । এর ফলেই রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে নাজিমুদ্দিন সরকার এর সাথে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর ৭ দফা চুক্তি হয়।

এরপর ২৭ নভম্বের ১৯৪৮: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পুনরায় দানা বাধ।ে লিয়াকত আলীর আগমন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি সমাবশে আয়োজন করা হয় । সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদরে অন্যান্য দাবী দাওয়ার পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা ও গৃহীত প্রস্তাবের র্পূণ বাস্তবায়ন করার দাবীতে একটি দাবীনামা প্রস্ত্তত করা হয়। তৎকালীন ডাকসুর জি এস গোলাম আজমকে দাবীনামাটি পাঠের দায়িত্ব দেওয়া হলে বাংলা ভাষার দাবিতে স্মারকলিপি তিনি পাঠ করনে।



৩০শে জানুয়ারী ঢাকা জেলা বার কাউন্সিলে মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর সভাপতিত্বে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।


তার কিছুদিন পর কায়েদে আজম ঢাকায় আগমন করেন। রেসর্কোস ময়দানে কয়েক লাখ লোকের সামনে বক্তৃতায় তিনিি র্পূব বাঙলার সরকারী ভাষা এখানের জনসাধারনই ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেন চুক্তি অনুসারইে, কিন্তু কেন্দ্রেীয় রাষ্ট্রভাষা যে র্ঊদূ হবে তা জোরের সাথইে বলে যান।এই সময় সংগ্রাম পরিষদ নেতেৃবৃন্দ সরকারী নেতাদের তাদের দাবীর যৌক্তিকতা বুঝাতে চষ্টো করেন এবং র্ব্যথ হন। এই সময় রাজনীতিবিধরা ধীরে ধীরে এই আন্দোলনের মধ্যে নিজেদের র্স্বাথ খুজে পেতে থাকেন এবং নিজেরা এতে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। এ কথা র্সব্বজনবিদিত যে , ভাষা আন্দোলনের সংগঠনে রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির চেয়েে সাংস্কৃতিক র্কমীর ভূমিকা অনেক বেশি। যদিও আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বি ছাড়া অন্যদের কথা বা র্কম র্বতমান ইতিহাসবিধদের লেখোনীতে খুঁজে পাই না।

ভাষার দাবীটি ছিল জাতীয় দাবী। ফলে ভাষা আন্দোলন খুব অল্প সময়ের মধ্যই জাতীয় আন্দোলনে রুপ সেয় । কোন একক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এ আন্দোলনকে সীমতি না রখেে একে র্সবদলীয় রুপ দেয়ার ব্যাপারে তমুদ্দুন মজলিস এর কোন আপত্তি ছিল না। ফলে র্সবদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। বলতে গেলে তখন থেকেই ভাষা আন্দোলনে রাজনীতিবিদদের সরাসরি ও বলষ্ঠি আগমন ঘট।ে ১৯৫০ সালে ছাত্রনতো আব্দুল মতিনকে আহবায়ক করে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রভাষা কমিটিি গঠিত হয়। র্সবদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের ফলে আন্দোলন ব্যাপকতা লাভ করে ঠিকই কন্তিু র্স্বাথান্ধ মহলের জন্য তা নতুন দ্বারও উম্মূক্ত কর।ে কাজী গোলাম মাহবুবকে আহবায়ক করে ৪০ সদস্য বিশিষ্টি কেন্দ্রেীয় রাষ্ট্রভাষা র্কম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ শে ফব্রেুয়ারী র্সবাত্মক হরতাল পালতি হয়। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফব্রেুয়ারী র্সবাত্মক হরতাল ওপ্রতিবাদের প্রস্তুতরি প্রেক্ষিতে সরকার ২০ শে ফব্রেুয়ারী রাত্রি থেকেে ঢাকা জেলোর র্সবত্র ১৪৪ ধারা জারী করনে। র্সবদলীয় কর্ম পরিষদ আন্দোলনের পিঠে ছুড়িকাঘাত করে ১৪৪ ধারা ভংগ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২১ শে ফেব্রেুয়ারী বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ঐতহাসিক সমাবেশে র্সবদলীয় রাষ্ট্রভাষা র্কম পরিষদ এর পক্ষ থেকে জনাব শামছুল হক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার আবদেন জানালে সাধারন ছাত্রদের প্রতবিাদরে মূখে তিনি তার সহর্কমীসহ বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।

বিশ্বিবিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কমিটির আহবায়ক আব্দুল মতিন উদ্ভূত পরস্থিতিতিে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা সর্ম্পকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের দায়িত্ব ছাত্রদের উপর ছেড়ে দিয়ে পরর্বতী পরস্থিতির দায়িত্ব থেকে ণিজেকেে মুক্ত করে নেন। (এই সেই বাম পন্থি ভাষা মতিন যিনি মৃত্যুুর আগের দিন পর্যন্ত গোলাম আজমকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন, একটি বকতৃতায় শেখ মুজিব কে নিয়ে বিরুপ মনতব্য করায় তার লাশ শহীদ মিনারে রাখতে দেয়নি বর্তমান সরকা) শেষ র্পযন্ত ছাত্রসমাজ অনমনিয় সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সে অনুযায়ী আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করা স্লোগানে অগ্রসরমান একটি মিছিল বিকাল ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল হোস্টলের সামনে পৗেঁছলে পুলিশ অতর্কীত গুলীর্বষণ কর।ে শাহাদাত বরণ করেন রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউির প্রমুখ। তাদের বুকের তাজা রক্তে ভেসেে যায় পিচঢালা রাজপথ।ভাষা-আন্দোলনের র্কমীদের ওপর পুলিশী হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ২২শে ফেব্রেুয়ারি আইন পরিষিদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবং সৃষ্টি হয় নতুন এক রক্তাক্ত ইতহিাস----। সেখান থেকেই আজকের বাংলা ভাষা বাংলাদেশ .....



আলাদা ভাবে শুধু গোলাম আজমের ভাষা আন্দোলনের ছোট্ট একটা ইতিহাস এখানে সংযুক্তি করছি

ভাষা আন্দোলন :

ভাষা আন্দোলনে গোলাম আজম সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ..ভাষা আন্দোলনে তার উল্লেখযোগ্য ভুমিকা হলো :



@ ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ একদল ছাত্র নিয়ে ভাষা আন্দোলনের পক্ষে পিকেটিং করার সময় সদলবলে গ্রেফতার হন এবং তেজগাঁও থানায় বেড়া-বিহীন টিনের ঘরে সাত দিন রোদ বৃষ্টিতে অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগেছেন।

@১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে গোলাম আযম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তানের সামগ্রিক দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক ‘অভ্যর্থনা স্মারকলিপি’ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ঢাকসু) জি.এস. ছিলেন।

@ ১৯৫২ সালে মার্চের ৬ তারিখে রংপুরে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে একমাস রংপুর জেলে অন্তরীণ ছিলেন।

@২১ ফেব্রুয়ারী যাতে পালন করতে না পারেন তার জন্য ১৯৫৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং দু মাস পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি লাভ করেন।

@ ১৯৫৫ সালে কারান্তরীণ অবস্থায় রংপুর কারমাইকেল কলেজের চাকুরী থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়। গভর্নিংবডির পক্ষ থেকে জেলে তাকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয় যে, বার বার গ্রেফতার হওয়ায় ছাত্রদের পড়ার ক্ষতি হয় বলে কলেজে তাকে আর প্রয়োজন নেই।






রফোরন্সে :

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচতি "বাঙ্গালা ভাষার ইতবিৃত্ত , সুকুমার সনেরে "ভাষার ইতবিৃত্ত" , ঝক ঈযধঃবৎলবব রচতি "ঙৎরমরহ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঃযব ইবহমধষর খধহমঁধমব (ঠড়ষঁসব ১-৩) "ইত্যাদি গ্রন্থগুলো ।

বিষয়: বিবিধ

৭৮১৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

360026
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জাতির প্রতিটি ইতিহাসকেই মিথ্যা দিয়ে কলংকিত করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত সঠিক ইতিহাস জাতি জানেনা। এ ভাবে মহান মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসকেও বিকৃত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
360059
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:৩৯
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File