ভিডিও>> ইরান, আসাদ, শিয়াদের নারকীয় তান্ডবে না খেয়ে মারা যাচ্ছে লাখো মানুষ>>ধর্মের লেবাস কে এই ইরান ?
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ০৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:০৬:৪৯ দুপুর
একটা সময়ে মনে করতাম মধ্য পাচ্যের একমাত্র সমস্যার কারন ইসরাইল নামের অবৈধ রাষ্ট্রটি । কিন্তু গোটা মধ্য প্রাচ্য এবং আবর রাষ্ট্রে যে ভাবে ইরান নামের শিয়া রাষ্ট্র যে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে তা ইতিহাসের জঘন্য তম কালো অধ্যায়ের একটি । উল্লেখ্য মুসলিম ইতিহাসে শিয়া বলতে কোন সম্প্রদায় কখনো ছিলনা অভিশপ্ত ইহুদীদের ষঢ়যন্ত্রের ফসল হিসেবে মুসলমানদের মধ্যে বিভধ সৃষ্টির জন্য হজরত উসমান রা: এর সময়ে ইবনে সাবা নামের এক ইহুদী ধর্মান্তরীত হয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেন ।
এই যাদের ইতিহাস তারা মুসলমানদের আজীবনের শত্রু ।
ধর্মের লেবাসে ইরান মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষঢ়যন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করছে ।
আজকের লেখার মুল বিষয়টি আমি ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যারের লেখা থেকে দিয়ে দিচ্ছি
তার কুরআন ও হাদিসের আলোকে তার চমৎকার লেখা থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক কিছু
>>>>>>
দামাস্কাস থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, লেবানন সীমান্ত থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে। মাদায়া। শহরটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩০০ মিটার উচুতে। গত জুনের শুরু থেকে বাশার আল-আসাদের নুসাইরি আর্মি আর লেবাননের শি'আ “হিযবুল্লাহ”, সুন্নি অধ্যুষিত মাদায়া অবরোধ করে রেখেছে। ৪০,০০০ অধিবাসীর শহরটাতে সব রকম খাবার, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ সাত মাসের অবরোধের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীয় দাম অবিশ্বাস্য পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। চাল, ডাল, চিনির প্রতি কেজির দাম ১৮০ ডলার। ৯০০ গ্রাম বাচ্চাদের গুড়ো দুধের দাম ৩০০ ডলার। চাল বিক্রি হচ্ছে গ্রাম হিসাবে। গত সোমবারের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহখানের মধ্যে অনাহারে ১০ জন মানুষ মারা গেছেন। শহর ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করায় বাশার বাহিনীর স্নাইপারের গুলিতে কিংবা পুতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন আরো ১৩ জন। আরেক হিসেবে গত মাসখানেরকের মধ্যে অনাহারে মারা গেছেন দশ শিশুসহ, ৬২ জন।
গাছগুলো এখন পাতাশুন্য। ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ গাছে পাতা জ্বাল দিয়ে খাচ্ছেন। মাদায়ার রাস্তায় কুকুর-বিড়াল এখন আর দেখা যায় না। ক্ষুধার রাজ্যে পশু-অধিকার নেই, আছে ক্ষুধা আর খাদ্য। ডাস্টবিনে কুকুরের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্ছিষ্ট সন্ধানী মানুষ। ৪০,০০০ মুসলিমের শহর মাদায়, স্লো-মৌশানে মারা যাচ্ছে।
লা হাওলা ওয়ালা কু’আতা ইল্লাহ বিল্লাহ।
সিরিয়ার বিপ্লবের একেবারে প্রথমদিকে গণতন্ত্রের দাবির কথা শোনা গেলেও, কিছুদিনের মধ্যে গণতন্ত্রের বদলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পরিণত হয় জনগণের দাবিতে। যা শুরু হয়েছিল সেক্যুলার একটি আন্দোলন হিসেবে, তা পরিণত হয় একটি ইসলামী বিপ্লবে। দার, হমস, হামাম হালেবের রাস্তা মুখরিত হয়ে ওঠে স্লোগানেঃ
ইয়া আল্লাহ্! আপনি ছাড়া আমাদের আর কোন সাহায্যকর্তা নেই
কিয়ামত পর্যন্ত আমাদের একমাত্র নেতা – সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ ﷺ
লাব্বাইক, লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আল্লাহ্
লাব্বাইক, লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আল্লাহ্
বিপ্লব চলবে হুকুমতের পতনের আগ পর্যন্ত
মৃত্যু, মৃত্যু, মৃত্যু আমাদের পছন্দনীয় অপমানের আগে
লাব্বাইক, লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আল্লাহ্
লাব্বাইক, লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আল্লাহ্
প্রায় ৫ বছরে ভয়াবহ যুদ্ধের পরও, লাখো মানুষের মৃতুর পরও, ক্ষুধায়, অনাহারে, শীতের তীব্রতা আর শত্রুর শত কূটচালের পরও সিরিয়ার মানুষ এই দাবি থেকে এক চুল নড়েনি। সমগ্র বিশ্ব তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছে, সভ্য দুনিয়ার সভ্য শাসকেরা রক্তপিপাসু বাশারকে লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে নির্বিচারে খুনের। অ্যামেরিকান আর রাশিয়ান জেট ক্রমাগত বম্বিং চালাচ্ছে, পুরো দুনিয়ার শি’আদের ইরান সিরিয়ার মুসলিমদের বিরুদ্ধে একত্রিত করেছে – কিন্তু সিরিয়ার মুসলিমরা তাদের দাবি থেকে এক চুল নড়ে নি।
আব্দুল্লাহ ইবন হাওয়ালাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন যে উনি ﷺ বলেছেনঃ
“পরিস্থিতি তার কাজের ধারা অনুযায়ী চলতে থাকবে যতক্ষণ না তোমরা তিনটি বাহিনীতে পরিণত হওঃ একটি বাহিনী শামের [সিরিয়া, ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্ডান সম্মিলিতভাবে শাম], এবং একটি বাহিনী ইয়েমেনের আর আরেকটি ইরাকের।”
ইবন হাওয়ালাহ (রাঃ) বললেনঃ
“হে রাসুলুল্লাহ ﷺ! যদি আমি সেই দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকি তবে আমার জন্য একটি নির্ধারন করে দিন।”
রাসুলুল্লাহ ﷺ উত্তর দিলেন,
“তোমার শামে যাওয়া উচিত হবে কারন এটি আল্লাহ্’র ভূমিদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম, এবং উনার সবচেয়ে ভাল বান্দারাই সেখানে জড়ো হবে! এবং যদি তুমি তা না চাও তবে তোমার ইয়েমেনে যাওয়া উচিত এবং সেখানকার কূপ থেকে পানি পান করা উচিত। কারন আল্লাহ্ আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে উনি শাম এবং তার মানুষের উপর খেয়াল রাখবেন!”
ইমাম আহমেদ ৪/১১০, আবু দাউদ ২৪৮৩ [যাচাই করেছেনঃ ইমাম আবু হাতিম, ইমাম আদদিয়া আল-মাকদিসি, শায়েখ আল-আলবানী এবং শায়েখ শোয়াইব আল-আরনাউত]
নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ ﷺ সত্য বলেছেন। ইয়া আল্লাহ্ আপনি ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। ইয়া আল্লাহ্ নিশ্চয় আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য, আপনার কিতাব সত্য, আপনার নাবী সত্য, পুনরুত্থান ও বিচার সত্য, আপনার জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য, এই দ্বীন সত্য - ইয়া আল্লাহ্ আপনি ছাড়া এই মানুষগুলোর কেউ নেই। উম্মাতে মুহাম্মাদী এদের ত্যাগ করেছে। আপনি তাদের সহায় হোন। হে আল্লাহ্, আমাদের তো সাবর করার ক্ষমতা নেই আপনি আমাদের সাবর করার সক্ষমতা দান করুন।
নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর শক্তিমান। ইয়া আল্লাহ্ ! আপনি আমাদের জন্য পথ খুলে দিন দামাস্কাস থেকে আক্বসা পর্যন্ত, কান্দাহার থেকে আক্বসা পর্যন্ত, আদান-আবইয়ান থেকে আক্বসা পর্যন্ত, মাগরিব থেকে আক্বসা পর্যন্ত, সোমাল থেকে আক্বসা পর্যন্ত, হিন্দ থেকে আক্বসা পর্যন্ত। ইয়া আল্লাহ্ আপনি আমাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিন বিলাদুল হারামাইন আপনার শত্রু এবং আমাদের শত্রুদের কবল থেকে। হে ইব্রাহীমের সাহায্যকারী, হে দাউদকে বিজয় দানকারী, হে ‘আদ-সামূদের ধ্বংসকারী, হে মুহাম্মাদকে ﷺ সত্য দ্বীন হিসেবে প্রেরণকারী, আপনি আমাদের বিজয় দান করুন। আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ
“তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।“ [আল –বাকারাহ, ২১৪]
নিশ্চয় আল্লাহ্র সাহায্য নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী।
Click this link এখানে দেখুন আর একটি ভিডিও
বিষয়: বিবিধ
১৮১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাই আপনার ও আপনার অনুমোদিত লিখার অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। লিখার বিষয়বস্তুর সাথে ১০০% একমত এবং পৃথিবীর প্রতিটি ঈমানদার মানুষের মত আমারও মন কাঁদছে এবং নিজের অসহায়ত্বের জন্য নিজেকে বড় বেশী অপাংক্তেয় বলে মনে হচ্ছে।
কিন্তু আপনার লিখার হেডিং যে দেশ, যে সেক্ট ও যে প্রশাসককের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন - তা আমার কাছে আমেরিকা, বৃটেন, ইসরাইল সহ মুসলিমবিদ্বেষী শক্তির ইচ্ছার হুবহু প্রতিফলন বই অন্য কিছু মনে হয়নি।
একজন মুসলিম হিসাবে আপনাকে ও আমাকে ফ্যাক্টস্বেইজড, অনেস্ট বিচারক হতে হবে। ইমোশনাল, অন্যের মতামত হতে ধার করে বিচার করা যায়না - সেটা নাজমুল, মানিক টাইপের বিচার হবে, সেটা হাসিনার রাজ্যের বিচার হবে।
মনে রাখবেন হাফিজ আসাদ কোন ইসলামিক প্রসেস দিয়ে সিরিয়ায় পড়েন নি। আর পড়ার পর আজকের সিরিয়ার মত খুন, বোম্বিং ও বাস্তুহারা সিরিয়া গত ৩০/৪০ বছর আমাদের সামনে ছিল না।
শিয়া ইস্যু গত ১৪০০ বছরের ইস্যু এবং তা রাসুল সঃ এর উম্মাহ র ৭৩ ভাগের একভাগ। আপনি কাউকে ইসলাম হতে বের করতে চাইলে - তা বের হয় না - বড় জোর যা হতে পারে তা ভ্রাতৃঘাতি যুদ্ধ হতে পারে এবং মোহাম্মদের টোটাল উম্মাহর এক পঞ্চমাংশকে হত্যা করার জন্য অনুঘটক হতে পারেন - যা গত প্রায় ৫ বছর ধরে আমেরিকা, বৃটেন ও ইসরাইল চাইছে - শিয়া সুন্নীর যুদ্ধ এবং যার মাধ্যমে এক পঞ্চমাংশ মাথা মোটা মুসলিমের রক্ত এবং ফলশ্রুতিতে মুসলিম ডিমোরালাইজেশান এর শতভাগ।
সব শেষে আপনাকে বলবো রাসুল সঃ এর ঐ হাদীসসমূহ পড়তে যেখানে রাসুল সঃ স্পেসিফিক্যেলী শাম ও ইয়েমেন এর জন্য বার বার দোয়া করছেন এবং একই হাদীস সমূহে নজদ (হেজাজ এর ঠিক পূর্বে বর্তমান গ্রেটার রিয়াদ) হতে শয়তানের পাশ, শিং এর উদ্ভব এর কথা বলেছেন।
আজকের শাম ও ইয়েমেন (মদীনা বাসীর আত্মীয় স্বজন যাদের ঈমান ও প্রজ্ঞার জন্য রাসুল সঃ সার্টিফাই করেছেন) এর গনহত্যা, সমস্যা আগামী দিনের মুসলিম নিধনের জন্য মাস্টার ডেভিল ও এক্সিস অব ডেভিল ইউকে, ইউএস ও ইসরাইলের পর নজদ এর শয়তানের শিং কিংবা এক পাশ রূপী হাউস অব সৌদ কে ব্লেইম করুন - যারা মুসলিমদেরকে গত প্রায় ১০০ বছর ধরে প্রতারিত করেছে, যারা মুসলিমদের খেলাফত এর বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করেছে, মুসলিমদের সম্পদ চুরি করেছে, ডাকাতি করেছে এবং মুসলিমদের শত্রুদের দিয়েছে, যারা মুসলিমকে এ্যনস্লেইভ করতে সাহায্য করেছে, যারা সুরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতের আল্লাহদ্রোহীদের সহচর এবং অন্যান্য মুসলিম সংগঠনকে ডিসিভ করেছে, যারা টাকা দিয়ে আলেম ওলামাদের ভাড়া খাটাচ্ছে, যারা মুসলিমদেরকে কাপুরুষের মত ব্যাকস্টেপিং করে চলেছে।
শিয়া সুন্নী সহ শত শত মুসলিমের মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে কারন রাসুল সত্য বলেছেন। আপনাকে আমাকে ফাইট করতে বলেন নি। যুদ্ধ করতে বলেন নি। তিনি বলেছেন আপনাকে কোরান ও হাদীসের মধ্যে থাকতে এবং বলেছেন যিনি থাকবেন না তথা ৭২ গ্রুপ দোযখ এ যাবেন - সো আপনি যেহেতু আল্লাহ না, রাসুল না, জিবরাইল আঃ ও আপনার কাছে আসে না - সুতরাং কোন একটা মোহাম্মদের উম্মতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ভাল না - এতে যা হবে - আপনি মুসলিম নিধনের দোষে দুষি হবেন - এবং বেচেঁ থাকলে - বয়স হলে - পশ্চিমা প্রতারনার জাল বুঝলে - নিজেকে অপরাধী ভাববেন।
আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। দয়া করে চেষ্টা করুন আপনার সামর্থ্যানুযায়ী যাতে আমেরিকা, বৃটেন ও ইসরাইলের ইচ্ছানুযায়ী শিয়া ও সুন্নীর মধ্যে হাউজ অব সৌদ যুদ্ধ লাগাতে না পারে - যদিও আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি হাউজ অব সৌদ ওয়াশিংটনের এতটাই স্লেইভ হয়ে গেছে যে - এখন আর যুদ্ধ না বাঁধিয়ে উপায় নেই। এবং আগামী দিনে আপনি আমি বসে বসে কাঁদবো শতভাগে চিহ্ন বিচিহ্ন তথাকথিত শিয়া ও সুন্নীর মৃতদেহ দেখে - যখন ওয়াশিংটন দাঁত কেলিয়ে হাসবে এবং আপনাকে আমাকে নসীহত করবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন