স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে এ কি বলছে ভারত! এ ধৃষ্ঠতার ভিত্তি কোথায়??
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৯:০৯ রাত
৩০ লাখ শহীদের তাজা রক্তে ভেজা বাংলার প্রতিটি ধুলিকণা । ৫৫ হাজার বর্গমাইলের কোথায় নেই সে রক্তের ছাপ ? ১৯৪ বছর বৃটিশদের হাতে গোলামী খাটার পর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করার মাধ্যমে জাতী সত্তা এবং ধর্মের ভিত্তিতে পেলাম আলাদা রাস্ট্র । কোটি জনতা ভিটে মাটি ছেড়ে পাড়ি দিল নতুন গন্তেব্যে । উদ্দেশ্য সেই আগের মতই "একটু শান্তি" । ভারতের দুই প্রান্তে আলাদ ভুখন্ডে মুসলমানদের ডিভাইড করার সুদুরপ্রসারি ষড়যন্ত্রের ফসল হিসেবে তৈরি করা হল "পাকিস্তান" ।
নতুন রাষ্ট্রে নতুন স্বপ্নে নতুন করে বাঁচার জন্য যখন মানুষ গুলো নিশ্বাস নিচ্ছিল তখন ইন্দ্রিরা গান্ধির কন্ঠে শুনলাম "মাথার দুই পাশে ব্যাথা নিয়ে ঘুমনো মুশকিল"
পূর্ব পাকিস্তানকে নিয়ে তার মাথা ব্যাথা শুরু হল । তিনি তখন এটা কে নিয়ে "সিকিম" তৈরির মহাপরিকল্পনায় ব্যাস্ত । তর দরকার হল একজন "লেন্দুপ দর্জি" । পেয়েও গেলেন । কিন্তু বাঁধা হয়ে দাড়ালো স্বাধীনতা কামী বীর বাংলাদেশী ।
পাকিস্তানী শাসকদের শোষণের বিরুদ্ধে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যু্দ্ধে শেষের দিকে ভারত মিত্র বাহীনির ভুমিকায় এসে হাজির হয় যখন বিজয় আমাদের দাড়প্রান্তে । বাংলাদেশকে "সিকিম" Click this link রাষ্ট্রের স্বপ্ন ষোলকণা পূর্ণ করার চাবি তখন তার হাতে । ১৬ই ডিসেম্বর ৭১ । ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্তসমর্পন করে । নিয়ম অনুযায়ী সেখানে সবার আগে থাকার কথা মুক্তিযু্দ্ধের সর্বাধীনায়ক জেনারেল ওসমানীর । কিন্তুু তাকে ভারতীয় লোকজন নিয়ে গেলেন সিলেটে । ভারতের উদ্দেশ্য তখনই অনেকটা পরিষ্কার হতে থাকে । এ পাক প্রধান নিয়াজিকে বাধ্য করা হল জগজিত সিং অরোরার কাছে চু্ক্তিতে সই করার । নয়মাস ধরে মুক্তিযু্দ্ধের নেতৃত্ত্ব যারা দিল সর্বাধিনায়ক ওসমানী ১১ টি সেক্টর কমান্ডার প্রধান ।মুজিবনগর সরকারের কেউ এমন কি বাংলাদেশের কোন নেতৃত্তস্তানীয়কে সেখানে রাখা হল না । দলিলে তাদের কারো সই দিতে দিলনা । সেখানে ভারত খুব সু কৌশলে বাংলাদেশের যু্দ্ধকে পাক ভারত যু্দ্ধ লেখিয়ে নিল !
তার পরের ইতিহাস আমারা সবাই যানি । ৯৩ হাজার পাকি হানাদারদের কে বন্দি করে ভারত হয়ে নিয়ে যাওয়া হল পাকিস্তানে সিমলা চু্ক্তির মাধ্যোমে । আর বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ভারতের জওয়ান রা ঘাটি গেড়ে বসে গেল । যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ থেকে শত শত ট্রাক ভর্তি করে এ দেশের দামী দামী সম্পদ গুলো পাচার করা হচ্ছিল বর্ডর দিয়ে ভারতে । প্রথমে বিষয়টি বিজয় উল্লাসে মগ্ন জাতি বুঝতে পারেনি । মিত্রবাহিনী কি এমন করবে আমাদের সাথে উপকার ছাড়া । কিন্তু যখন ৯ নং সেক্টরকমান্ডার মেজর জলিল প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ালেন লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া ট্রাক ভর্তির সামনে । প্রথমে অল্প কিছু জন তার পর সংখ্যাটা বাড়তে থাকলাো । এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার বিনিময়ে এই সেক্টর কমান্ডার পেলেন জেলের স্বাধ ।তিনি তার লেখা “অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা” বইটিতে অত্যান্ত লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন । “নয় মাস যু্দ্ধ করে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হচ্ছে জেলে” । যখন মাওলানা ভাষাণী ভারতীয় সেনাবাহীনিকে সালামালাইকুম বললেন । মেজর জলিলের পরিনতি তাকেও বরণ করতে হল একটু ভিন্ন ভাবে । এভাবে অনেক উদাহরণ ।
কিন্তু গতকাল বিজয়ের ৪৪ বছর পর বাংলাদেশী জাতী যখন বিজয় উ্ল্লাসে মগ্ন । ত্রিশলাখ শহীদের শোককে শক্তিতে পরিণত করার শপথ নিচ্ছে তখন দেখলাম ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, টিভি,পত্রিকা,অনলাইনে খবরে যে তথ্য ছিল তা চমকে উঠার মত । তাদের কোন অফিসিয়াল ইনফরমেশনেই ৭১ এর যুদ্ধকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে উল্লেখ নাই ! এমনকি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও না !! এটা নাকি ভারত আর পাকিস্তানের যু্দ্ধ ছিল! তার থেকেও অবাক হলাম ইন্ডিয়া টুডের বিশাল লেখা পড়ে তারা সেখানে আমাদের ৩০ লাখ শহীদের নিয়ে একটা শব্দ লিখলনা । সে যুদ্ধে নাকি ৩৮০০ মারা গিয়েছে !
এই অসত্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই । সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের কাছেও বলি পাকি হাইকমিশনের মত ভারতীয় হাই কমিশনের কাছেও এর ব্যাখ্যা জানতে চান
আমি এখানে কিছু স্কিন সর্ট দিলাম
বিষয়: বিবিধ
৪১৬৭ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উনার চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হইছে,
সাথে সাথে ঐ অফিসার আমাকে প্রশ্ন করলো তোমরা কি এখন স্বাধীন?? আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে আবার বলতে লাগলো, "১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংগালীদেরকে আমাদের গোলামি করিয়েছি এবং ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ভারতের অরোরা সিংয়ের কাছে আমরা আত্বসমর্পন করে এই গোলামির দায়িত্ব আমরা ভারতের হাতেই তুলে দিয়েছি। আমরা কোন বাংগালীর সামনে মাথানত করিনি, ভাল করে ইতিহাস পড়ে দেখ। আগে তোমরা পাকিস্তানীদের গোলাম ছিলে এখন তোমরা ভারতের গোলাম। আর তোমরা যে মুজিব-হাছিনাকে নিয়ে গর্ব করছ সে ভারতের পিউর এজেন্ট।"
নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে আমি কোন উত্তর পেলাম না। আমাকে নিরব দেখে সে কথার প্রসংগ পাল্টে পেললো।
আমার প্রাণের বাংলা.....আমি তোমায় ভালবাসি
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন