চে' ! তুমি কে ?
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ২৪ মে, ২০১৫, ১২:৫৫:৫৬ দুপুর
" কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম পুরান ঢাকা, গুলিস্তান হয়ে সেদিন বাসায় ফিরছিলাম ,স্টেডিয়ামের সামনে আসতেই একটা ছেলে নেমে গেল , গায়ে চে'র টিশার্ট ; মনে প্রশ্ন জাগল :
চে তুমি কে ? কি হও আমাদের ? কি দিয়েছ তুমি আমাদেরকে যে পুরো টিনএইজ তোমার পাগল ? পুরো পৃথিবীতে কি বিপ্লবী তুমি একাই স্টেডিয়ামের সামনে মাওলানা ভাষানীর ফলকটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে প্রশ্ন করি - তোমার বিপ্লব আমাদের চোখে পড়ে না কেন ? ওই ছেলেটার বুকে আঁকা চে'র ছবি কি তোমাকে অপমানিত করে না ? তোমার কি কষ্ট লাগে না ? ইচ্ছা হয় এইসব ছেলেপেলেদের জিজ্ঞেস করি - টিশার্টের বুকে কেন ভাষানীর ছবি সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি ঠাঁই পায় না ? নাকি বীরশ্রেষ্ঠদের দারিদ্র্যপীড়িত চেহারা বা ভাষানীর বুড়ো চেহারা চে'র মত ঠিক ফটোজেনিক হয়ে ওঠে না ; হ্যাঁ তোমরাই তো , ছাব্বিশ আর ষোল তারিখে লাল সবুজের টিশার্ট পরবা , গালে পতাকা আঁকবা , একুশে , পঁচিশে বুকে কালো ব্যাজ লাগাবা ; এরপর তোমার ভার্সিটির বেতন এক টাকা বাড়ালে চেয়ার টেবিল ভাঙবা ; অবাক লাগছে ? কিসের মধ্যে কি নিয়ে আসলাম ? আমি দেশপ্রেম এর কথা বলছি যেটা তোমরা সিজনালি শো কর ;তা হলে এখানে চেয়ার টেবিল ভাঙার কথা আসে কেন ভাই ? বলছি , যে বৃদ্ধ ফকির দিনশেষে ভিক্ষার পয়সা দিয়ে এক পোয়া চাল কেনে তার কাছে কি কখনও জিজ্ঞেস করেছিলে আমরা চেয়ার ভেঙে প্রতিবাদ করছি তাতে তার আপত্তি আছে কিনা , কারণ সে কিন্তু চালের দামের সাথে ভ্যাটের টাকাও দিয়ে আসে অজান্তে ; লিসেন ব্রো , দেশপ্রেমটা সস্তা কোন শোআপ না , ভেতরের জিনিস ; সত্যি যদি দেশপ্রেম থাকে তো সেটা তোমার প্রতিদিনের চলায় , এটিচ্যুডে প্রকাশ পাবে | যে চে'র ছবি বুকে নিয়ে তুমি বিপ্লবের
চেতনা প্রকাশ কর সেটা হুজুগ , কারণ আমার
সোনার বাংলার সোনার ছেলেদের
আত্মত্যাগের বীরত্বগাঁথা চে'র থেকে কোন
অংশে কম যায় না ;
একুশে পঁচিশে ষোল ছাব্বিশে যে ভোল
তুমি বদলাও ওটাও হুজুগ ;
নাহলে তুমি ডেটিংয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের
বিলের সাথে ওয়েইটারকে দশটা টাকা টিপস
না দিয়ে ওই বৃদ্ধ
রিকশাওয়ালাকে দিয়ে আসতে , যার রিকশায়
তুমি না পারতে উঠেছ কারণ
বুড়ো স্লো চালায় ;
আবার কিসের মধ্যে কি .....
হ্যাঁ ব্রো , যে বৃদ্ধের হাতে রিকশার
হ্যান্ডেল ধরা , ওই
হাতে একাত্তরে এ.কে ফরটি সেভেন ছিল ,
রাইফেল ছিল , গ্রেনেড ছিল , মেশিন গান ছিল
যেটা তুমি এখন পিসি গেইমের সুবাদে চেনো ;
ওই বৃদ্ধ তোমার জন্য দেশটাকে স্বাধীন
করে এনে দিয়ে এখন নিঃস্ব
হয়ে রিক্সা চালায় ,
তোমাকে ডেটিংয়ে নিয়ে আসে যাতে তার এই
স্বাধীন বাংলার মানুষগুলোর
কাছে ভিক্ষা করতে না হয় |
এই বৃদ্ধ কিন্তু একুশে পঁচিশে ষোল
ছাব্বিশে তোমার মত রেড গ্রিন টিশার্ট ,
কালো ব্যাজ কেনার পয়সা পায় না ; তার
দরকারও হয়না , এগুলো তার হৃদয়ের রং ,
একাত্তর থেকে লালন করা ;
সাতই মার্চের ভাষণ
তাকে শোনাতে মাইকে বাজিয়ে কানের
পর্দা ফাটাতে হয় না , কারণ ওটা তার
হৃদয়ে বাজে হুবহু ;
আফসোস
বলিউড ব্রিটনির ভিড়ে সাতই মার্চের সেই
সুধার স্থান তোমার আইফোনের
মেমরিতে হয় না |
তোমার ভেতরে সত্যিকারের দেশপ্রেম
যদি থাকে তো সেটা প্রকাশ করতে তোমার
মাথায় রেড-গ্রিন পট্টি আর কালো ব্যাজের
প্রয়োজন পড়বে না ;
শুধু চে'র টিশার্টটা গায়ে চড়াতে একটুকয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম পুরান ঢাকা, গুলিস্তান হয়ে সেদিন বাসায় ফিরছিলাম ,
স্টেডিয়ামের সামনে আসতেই
একটা ছেলে নেমে গেল , গায়ে চে'র টিশার্ট ;
মনে প্রশ্ন জাগল :
চে তুমি কে ? কি হও আমাদের ? কি দিয়েছ
তুমি আমাদেরকে যে পুরো টিনএইজ তোমার
পাগল ?
পুরো পৃথিবীতে কি বিপ্লবী তুমি একাই ?
স্টেডিয়ামের সামনে মাওলানা ভাষানীর
ফলকটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে প্রশ্ন করি -
তোমার বিপ্লব আমাদের
চোখে পড়ে না কেন ? ওই ছেলেটার
বুকে আঁকা চে'র ছবি কি তোমাকে অপমানিত
করে না ? তোমার কি কষ্ট লাগে না ?
ইচ্ছা হয় এইসব ছেলেপেলেদের জিজ্ঞেস
করি - টিশার্টের বুকে কেন ভাষানীর ছবি সাত
বীরশ্রেষ্ঠের ছবি ঠাঁই পায় না ?
নাকি বীরশ্রেষ্ঠদের দারিদ্র্যপীড়িত
চেহারা বা ভাষানীর বুড়ো চেহারা চে'র মত
ঠিক ফটোজেনিক হয়ে ওঠে না ;
হ্যাঁ তোমরাই তো , ছাব্বিশ আর ষোল
তারিখে লাল-সবুজের টিশার্ট পরবা ,
গালে পতাকা আঁকবা , একুশে ,
পঁচিশে বুকে কালো ব্যাজ লাগাবা ;
এরপর তোমার ভার্সিটির বেতন এক
টাকা বাড়ালে চেয়ার টেবিল ভাঙবা ;
অবাক লাগছে ? কিসের
মধ্যে কি নিয়ে আসলাম ?
আমি দেশপ্রেম এর
কথা বলছি যেটা তোমরা সিজনালি শো কর ;
তাহলে এখানে চেয়ার টেবিল ভাঙার
কথা আসে কেন ভাই ?
বলছি , যে বৃদ্ধ ফকির দিনশেষে ভিক্ষার
পয়সা দিয়ে এক পোয়া চাল কেনে তার
কাছে কি কখনও জিজ্ঞেস
করেছিলে আমরা চেয়ার ভেঙে প্রতিবাদ
করছি তাতে তার আপত্তি আছে কিনা , কারণ সে কিন্তু চালের দামের
সাথে ভ্যাটের টাকাও দিয়ে আসে অজান্তে ;
লিসেন ব্রো , দেশপ্রেমটা সস্তা কোন
শোআপ না , ভেতরের জিনিস ;
সত্যি যদি দেশপ্রেম থাকে তো সেটা তোমার
প্রতিদিনের চলায় , এটিচ্যুডে প্রকাশ পাবে |
যে চে'র ছবি বুকে নিয়ে তুমি বিপ্লবের
চেতনা প্রকাশ কর সেটা হুজুগ , কারণ আমার
সোনার বাংলার সোনার ছেলেদের
আত্মত্যাগের বীরত্বগাঁথা চে'র থেকে কোন
অংশে কম যায় না ;
একুশে পঁচিশে ষোল ছাব্বিশে যে ভোল
তুমি বদলাও ওটাও হুজুগ ;
নাহলে তুমি ডেটিংয়ে গিয়ে মোটা অঙ্কের
বিলের সাথে ওয়েইটারকে দশটা টাকা টিপস
না দিয়ে ওই বৃদ্ধ
রিকশাওয়ালাকে দিয়ে আসতে , যার রিকশায়
তুমি না পারতে উঠেছ কারণ
বুড়ো স্লো চালায় ;
আবার কিসের মধ্যে কি .....
হ্যাঁ ব্রো , যে বৃদ্ধের হাতে রিকশার
হ্যান্ডেল ধরা , ওই
হাতে একাত্তরে এ.কে ফরটি সেভেন ছিল ,
রাইফেল ছিল , গ্রেনেড ছিল , মেশিন গান ছিল
যেটা তুমি এখন পিসি গেইমের সুবাদে চেনো ;
ওই বৃদ্ধ তোমার জন্য দেশটাকে স্বাধীন
করে এনে দিয়ে এখন নিঃস্ব
হয়ে রিক্সা চালায় ,
তোমাকে ডেটিংয়ে নিয়ে আসে যাতে তার এই
স্বাধীন বাংলার মানুষগুলোর
কাছে ভিক্ষা করতে না হয় |
এই বৃদ্ধ কিন্তু একুশে পঁচিশে ষোল
ছাব্বিশে তোমার মত রেড গ্রিন টিশার্ট ,
কালো ব্যাজ কেনার পয়সা পায় না ; তার
দরকারও হয়না , এগুলো তার হৃদয়ের রং ,
একাত্তর থেকে লালন করা ;
সাতই মার্চের ভাষণ
তাকে শোনাতে মাইকে বাজিয়ে কানের
পর্দা ফাটাতে হয় না , কারণ ওটা তার
হৃদয়ে বাজে হুবহু ;
আফসোস
বলিউড ব্রিটনির ভিড়ে সাতই মার্চের সেই
সুধার স্থান তোমার আইফোনের
মেমরিতে হয় না |
তোমার ভেতরে সত্যিকারের দেশপ্রেম
যদি থাকে তো সেটা প্রকাশ করতে তোমার
মাথায় রেড-গ্রিন পট্টি আর কালো ব্যাজের
প্রয়োজন পড়বে না ;
শুধু চে'র টিশার্টটা গায়ে চড়াতে একটু"
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শোআপ না ,...............এক কথায় অসাধারন...!!! পিলাচ পিলাচ পিলাচ অনেক ধন্যবাদ
লাল সবুজ পতাকার ঘুড়ি
তার নিচে চেতনার বাহাদুরি,,
চল্লিশ বছর গেল-অধিকার এলোনা
স্বাধীন হলো-পরাধীনতা গেলোনা
চল্লিশ বছর গেল-এখনো স্বাধীনতা এলোনা..
অনেক ধন্যবাদ
মজার ব্যাপার হল যারা চে এর এই টি-শার্ট বানায় তারা আদৈ চে এর সহমতের ছিল না ।
চে এর মৃত্যুই ছিল এদের কাম্য । এখন তার মৃত্যুর পরও তারা তার ছবি নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের দেশপ্রেম , স্বাধীনতা ও স্বকীয়তার মূল্যবোধ ৭১ এ যুদ্ধে না গিয়ে লেফট রাইট করাদের স্তরেরই । দেশ প্রেম সীমাবদ্ধ সবচেয়ে বড় পতাকা বানানো এবং একসাথে জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ডের মধ্যেই আর কেবল পাকিস্তানকে হারানোর মধ্যেই - এসব সহজেই হাতছাড়া হয়ে যায় ।
এত তুচ্ছ জিনিস নিয়ে যারা নিজেদের বড় দেশপ্রেমিক , চেতনাবাজ জাহির করতে চায় - প্রকৃত সময় আসলে এদেরকে দেখা যাবে যে দেওয়াল টপকাচ্ছে বা ম্যারিকা , কানাডা , অস্ট্রেলিয়ায় ফ্লাই করছে।
দেশের জন্য বরাবরের মত সেই খেটে খাওয়া কৃষক দিন মজুরেরাই নামবে মাঠে । পরে উনারা দেশে এসে মজা লুটবেন , বিরাট চেতনাবাজ হয়ে যাবেন ।
ব্যাক্তিগতভাবে চে কমিউনিস্ট হলেও ক্যাস্ট্রোরা কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করেনি।
এমেরিকার অসহযোগিতার জন্য ক্যাস্ট্রো ধীরে ধীরে রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং পরে এমেরিকার চক্ষুশুলে পরিণত হয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন