আ. লীগের সাথে জামায়াতের ”অভিমানী আঁতাত” ! উদ্বিগ্ন বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ২৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:১৮:০১ রাত
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের মধ্য পুরাতনদের মধ্য একটি হল জামায়াতে ইসলামী । ১৯৪১ সালে পাকিস্তানে মা্ও: ম্ওদুদীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠার পরথেকে ভারত এবং বাংলাদেশে এর বিস্তার ঘটে । শুরু থেকেই এটি কচ্ছপ গতিতে এগুতে থাকলে্ও বাংলাদেশে এর উত্থান অনেকটা অবাক করার ।
উৎপত্তিস্থল পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশে দলটির ভীত অনেকটা খেজুর গাছের শেকড়ের মত । এই উত্থানের পেছনে তাদের যোগ্য নেতৃত্ত্ব, কঠোর আনুগত্য , সামাজিক সংগঠন এবং ছাত্রশিবির নেপথ্য শক্তি হিসেবে কাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকরা মনে করে থাকেন ।
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযু্দ্ধে বিতর্কীত ভুমিকায় সিনিয়র দুই নেতার মৃত্যুদন্ড কার্যইকরের পর দলটি তাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের সব চেয়ে দু:সময় অতিক্রম করছে । বাংলাদেশের ইতিহাসে রাজনৈতিক উত্থান পতনে প্রায় সব বড় সংগঠনগুলোর সাথেই তাদের সখ্যতা এবং তিক্ততার অভিঙ্গতা রয়েছে ।
সাম্প্রতিক দেশ কাঁপানো ব্যার্থ আন্দোলনের মধ্য ে ঘোষণা করা হয় তিন সিটির নির্বাচন ।আর সরকারের পাতা ফাঁদে ইচ্চা অনিচ্ছার মধ্যেই খুব সহযেই ধরা দেয় বিএনপি । শত নাগরীকের ব্যানারে ৩টি মেয়র সহ প্রতিটি ওয়ার্ডে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয় ।
আর এতেই বেঁকে বসে আন্দোলনের মাঠে ২০ দলের নিয়ামক শক্তি জামায়াতে ইসলামী । তারা্ও আলাদা ভাবে ৬ মহিলা প্রার্থী সহ দুই সিটিতে ৩৪ জনের নাম ঘোষণা করে । তাদের কৌশলী প্রচারে বিভিন্ন ্ওয়ার্ডে খুব ভাল ভাবেই এগিয়ে আছেন বলে তারা মনে করেন ।
গত উপজেলা নির্বাচনে দেশব্যাপি তাদের প্রার্থিরা যে ভাবে জয়লাভ করেছে তা অবাক করেছে রাজনৈতিক মহলকে । বিএনপির মত চার বার দেশকে নেতৃ্ত্ত দেয়া দলকে পেছনে ফেলে তারা ১০২ টি আসন পেয়েছিল যেখানে বিএনপির ছিল ৯৪ (উপজেলা ভাইসচেয়্যারমেন) । প্রধানমন্ত্রীর শশুরের নির্বাচনী এলাকা , বিএনপির ঘাটি বগুড়া এবং হাসানুল হক ইনুর নিজ এলাকাতেও তখন জামায়াত সমর্থীত প্রার্থিীরা জয়লাভ করে বিএনপির প্রার্থীদের কে টপকে । এবারও তারা একি পথে হাঁটছে ।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক নেতা (সাবেক শিবির সভাপতি) র ফেসবুক থেকে দেখা যায় ক্ষোভের বহি:প্রকাশ । তিনি তার ্ওয়ালে লিখেন “আমরা এমন একটা দলের সাথে জোট করেছি , যারা আমাদের নেতা মারা গেলে ইন্নানিল্লাহ পড়তে ্ও ভয় পায় “
কিন্তু বিগত তিন মাস টানা আন্দোলনে বিএনপির যে সব সিনিয়র নেতাদের কে মাঠে খুজে পা্ওয়া যায়নি তাদের পরামর্শে খালেদা জিয়া জোটকে না ডেকে একক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে ।বিএনপির সুজুগ বাদি ্ওই সিনিয়র নেতার পরামর্শ নাকি এমন ছিল “ম্যাডাম জামায়াতের ঢাকা সিটিতে তেমন ভোট নেই”
তার এই কথার জবাব দিতে জামায়াত সব ধরনের প্রস্ততি ইতোমধ্যে শেষ করেছে । স্থানীয় পরযায় বিএনপি নেতাদের অনুকুলে না পেলে তারা সিদ্ধান্তা পাল্টাবেন এমনটিই মনে করছে তাদের নেতা কর্মীরা ।
দুই সিটিতে মেয়র প্রার্থি আব্বাস এবং তাবিতের নির্বাচনি প্রচারে মিটিং এ কোথা্ও জামায়াত কে না দেখে অনেকেই তাদের নিরব প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন ।
তারা নাকি এমন ও সিদ্ধান্ত নিতে পারে শুধু কাউন্সিলর পার্থিকে ভোট দিবেন মেয়রের ব্যালট পেপার ফাঁকা রেখে আসবেন ।
এভাবে হলে তাতে তাবিথ এবং আব্বাসকে বিজয়ী হিসেবে উঠিয়ে নিয়ে আসা বিএনপির জন্য কঠিন হয়ে যাবে । বেগম জিয়ার কানে এমন নিউজ গেলে্ও তিনি জামায়াত বিদ্বেশী দলের প্রভাবশালীদের কাছে নত হয়ে আছেন বলে মনে করেন জামায়াতের কর্মীরা ।
শেষ মুহুর্তে েএসে যদি বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কিছু কাউন্সিলর প্রার্থীকে ছাড় দেয়া না হয় তাহলে ই হতে পারে আ.লীগের সাথে জামায়াতের ”অভিমানি আঁতাত” !
বিষয়: বিবিধ
১৯১৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে খানে জামায়াতের সুযোগ বেশী, সে দিকে
যাওয়া উচিৎ।
০ ৩৮০ বার পঠিত , কোন মন্তব্য নেই । ব্লগাররাও মনে হয় পোস্টে মন্তব্য করতে ভয় পেয়েছে ।
জামায়াত এখন মহাফাঁপড়ে আছে । বিএনপি চাচ্ছে জামায়াতঘেষা হতে মুক্ত হতে আর আওয়ামী লীগ যেহেতু জামায়াতের কয়েকজন নেতার শাস্তি কার্যকর করিয়েছে সেহেতু আওয়ামী লীগের সাথে গেলে শিবিরের পোলাপানরা মুখ দেখাতে পারবে না । জামায়াতকে সাথে নিলে আওয়ামী লীগ তাদের ইমেজ হারাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষদের কাছে ।
বিএনপির সাথে আছে বলে জামায়াতকে এখনও ছিঁড়ে কুঁড়ে খেতে পারেনি আওয়ামী লীগ । পাছে জামায়াতকে নেবার যে ব্যাড ইমপেক্ট তা থেকে বিএনপি এ জনমে বের হতে পারবে বলে মনে হয় না ।
আমি আপনার পোস্টার ভিত্তিতে মন্তব্য করতে পারিনি বলে স্যরি ভাইয়া
মন্তব্য করতে লগইন করুন